বিশ্বজিৎ হত্যা: আপিলের রায় ৬ আগস্ট
আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ৬ আগস্ট। সোমবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথরেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৬ মে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথরেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান। আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও আইনজীবী শাহ আলম। ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। মৃতুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার ও মীর মো. নূরে আলম লিমন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- এএইচএম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার ডেথরেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এরপর নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। আজ এ মামলার ডেথরেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ছাত্র লীগের ২১ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই ২১ আসামির মধ্যে ৮ জন কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছে। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শিবির কর্মী ভেবে দর্জি বিশ্বজিৎ দাসকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। শাখারীবাজারে বিশ্বজিতের টেইলার্স ছিল। তিনি থাকতেন লক্ষ্মীবাজার। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর।
No comments