ফ্লাইওভার গার্ডার ভেঙ্গে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে হাইকোর্টের রুল
রাজধানী ঢাকার নির্মাণাধীন মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে নিহত স্বপন মিয়াসহ আহতদের এক কোটি ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এছাড়া জনগণের নিরাপত্তা দিতে সরকারের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া মৃত স্বপন মিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা রমনা থানার ওসিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তা আদালতকে অবহিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী, ফ্লাইওভার নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রমনা থানার ওসিকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত ১৩ মার্চ রাজধানীর মালীবাগ রেলগেট এলাকায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার তোলার সময় সেটি ক্রেন থেকে ছিঁড়ে পড়ে স্বপন মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পলাশ (৪০) ও নূর নবী (৪০) নামের দুই ব্যক্তি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত স্বপন ওই ফ্লাইওভারের শ্রমিক। তার বাবার নাম আজিম উদ্দীন।
বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কুমারপুরে। আহতদের মধ্যে নূর নবী শাহ সিমেন্টের গাড়িচালক ও পলাশ প্রকৌশলী। এই ঘটনায় গত ৩ জুন মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেনস চ্যারিটি বাংলাদেশ, ফাউন্ডেশনের পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এই রুল জারি করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। পরে আইনজীবী আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি জনগণের নিরাপত্তা দিতে সরকার আইনগতভাবে বাধ্য। কিন্তু এই ফ্লাইওভার নির্মাণে জনগণের যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যা ঘটনা নিজেই নিজের বর্ণনা দেয়। এখানে সরকারের অবহেলা ছিল। তিনি আরও বলেন, আদালত নিহত স্বপন মিয়ার পরিবারকে ৫০ লাখ ও আহত অপর দুজনের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা করে দিতে রুল জারি করেছেন।
No comments