কলেজছাত্রীর দেহ ব্লেড দিয়ে কেটে মরিচের গুঁড়া
নরসিংদীর বেলাবতে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইতে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে সোমবার নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে এক কলেজছাত্রী। মেয়েটির নাম তানিয়া আক্তার। সে বারৈচা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। মঙ্গলবার নির্যাতনকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। নির্যাতিত কলেজছাত্রী উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের ভাটেরচর গ্রামের সুরুজ মিয়ার মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার স্ত্রীর স্বীকৃতি নিতে শ্বশুরবাড়িতে যায় তানিয়া আক্তার। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে তার মাথার চুল কেটে দেয়। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে কেটে মরিচের গুঁড়া মাখিয়ে নির্যাতন করে। পাষণ্ডরা এতেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, তারা ওই ছাত্রীকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টাও চালায়।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ মেয়েটির শাশুড়ি সকিনা ও ননদ সুরাইয়াকে আটক করে নরসিংদী আদালতে পাঠিয়েছে। এদিকে তানিয়ার আক্তারের ওপর নির্যাতনকারীদের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুকুন্দি নামক স্থানে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়। কলেজছাত্রী তানিয়া জানান, উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের ধুকুন্দি গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেন তার সঙ্গে প্রায় ৩ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে জাকির তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে মোল্লা দিয়ে বিয়ে করে। তারা কিছুদিন ভাড়া বাড়িতে সংসার করার পর পুনরায় প্রবাসে চলে যায় জাকির। তিনি জানান, স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে সোমবার বিকালে শ্বশুরবাড়িতে গেলে জাকিরের পরিবারে লোকজন তাকে মারধর করে। তারা কিশোরীর শরীরে বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তাক্ত করে। পরে সেসব কাটা স্থানে মরিচের গুঁড়া মাখিয়ে দেয়। এছাড়া দা দিয়ে মাথার চুল কেটে অমানুষিক নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে তানিয়া বেলাব থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন তানিয়া। পুলিশ জাকিরের মা ও বোনকে আটক করে নরসিংদী আদালতে পাঠিয়েছে।
No comments