বৃহত্তম গ্রহের খোঁজ মিলল
পৃথিবী থেকে ৬৫০ আলোকবর্ষ দূরে মহাকাশে বৃহত্তম গ্রহের সন্ধান পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কিলোডিগ্রি এক্সট্রিমলি লিটল টেলিস্কোপ বা কেল্টের সহায়তায় ওই গ্যাসীয় দৈত্যাকার গ্রহের খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা। গ্রহটি যে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে তার নাম কেল্ট–নাইন। কেল্ট নাইনকে প্রদক্ষিণ করে এবং কেল্ট দূরবীক্ষণের মাধ্যমে খোঁজ মিলেছে বলে বিজ্ঞানীরা গ্রহের নাম দিয়েছেন কেল্ট–নাইন বি। কেল্ট–নাইন বি আমাদের সৌরমম্ডলের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির থেকে আকারে প্রায় ২.৮ গুণ বড়। কিন্তু ভরে তার প্রায় অর্ধেক। এর তাপমাত্রা দিনে থাকে ৪,৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৭,৭৭০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি। যা কিনা সূর্যের থেকে ১৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। একথা জানিয়েছেন কলোম্বাসের ওহায়ও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্কট গডি। এই অনুসন্ধানে তিনিই নেতৃত্ব দেন। গডি বলেছেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রার জন্য এই গ্রহে প্রাণের সঞ্চার প্রায় অসম্ভব। গ্রহটি পৃথিবীর দেড় দিনে নিজের নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ সম্পন্ন করে।
চাঁদ যেভাবে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে, কেল্ট–নাইন বি–ও কেল্ট–নাইনকে ঠিক সেভাবেই প্রদক্ষিণ করে। ফলে এর একটা দিক সবসময় আলোকিত এবং বিপরীত দিক অন্ধকারময় থাকে। মাত্র ৩০ কোটি বছরের পুরনো, এবং অন্য নক্ষত্রদের তুলনায় আয়ুতে নবীন কেল্ট–নাইন সূর্যের থেকে আকারে এবং উষ্ণতায় দ্বিগুণ। এর থেকে প্রচুর পরিমানে অতিবেগুনি রশ্মি নির্গত হয়। সেই রশ্মিতে প্রতি মুহূর্তে কেল্ট–নাইন বি–র আলোকিত অংশে বিস্ফোরণ ঘটছে। ফলে কোনও ধরনের জৈব পদার্থ তৈরির সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে অন্ধকার দিকটিতে জল, কার্বোন ডাই অক্সাইড এবং মিথেনের মতো পদার্থ তৈরি হলেও হতে পারে। কিন্তু এখনো সেই দিকটি অজানা বিজ্ঞানীদের কাছে। গডি জানিয়েছেন, সব নক্ষত্রেরই গ্যাস শেষ হলে তা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু কেল্ট–নাইন উল্টে তার গ্রহ কেল্ট–নাইন বি–কেই খেয়ে ফেলে আরও বড় হয়ে যাবে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, কেল্ট–নাইনের অতিবেগুনি রশ্মির জন্য তার গ্রহে ঘটে চলা ক্রমাগত বিস্ফোরণের ফলে একটা সময় কেল্ট–নাইন বি সম্পূর্ণ মিলিয়ে যেতে পারে। তবে এই বিস্ফোরণের ফলে গ্রহেরও ধূমকেতুর মতো লেজ তৈরির সম্ভাবনা আছে যা কেল্ট–নাইন বি–র বায়ুমণ্ডলকে রক্ষা করতে পারে।
No comments