কড়া নিরাপত্তায় ব্রিটেনে চলছে শেষ দিনের প্রচারণা
লন্ডন ও ম্যানচেস্টারে সন্ত্রাসী হামলার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শেষ দিনের মতো চলছে ব্রিটেনের নির্বাচনী প্রচারণা। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছেন, নির্বাচিত হলে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় মানবাধিকার আইন পরিবর্তন করবেন তিনি। বিদেশী সন্ত্রাসী হিসেবে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করার এবং বর্তমান হুমকি হিসেবে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের স্বাধীনতা ও চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ আনবেন তিনি। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবেলার ক্ষেত্রে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাজকে বাধাগ্রস্ত করে মানবাধিকার বিষয়ক এমন যেকোনো ধরনের আইনের পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত আছে তার সরকার।
লন্ডনে শনিবারের সন্ত্রাসী হামলার পর এই নতুন প্রতিক্রিয়া দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যদি মানবাধিকার আইন আমাদের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে আমরা আমাদের আইন বদলে ফেলবো। তিনি আরও বলেন, 'যখন আমরা হুমকির মুখে তখন যেকোনো পরিবর্তনই জটিল হয়ে দাঁড়ায়। আমরা নিশ্চিত করতে চাই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দাদের হাতে যেন যথেষ্ট ক্ষমতা থাকে।' রক্ষণশীলরা বলছে, যদি মিসেস মে পুনরায় নির্বাচিত হন তাহলে তার সরকার ইউরোপীয় মানবাধিকার আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো বাদ দিতে প্রস্তুত । নিজের একটি চূড়ান্ত নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে তেরেসা মে বলেন, তিনি সন্দেহভাজনদের স্বাধীনতা সীমিত করা এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি আরও সহজ করতে চান। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো পুলিশ সদস্যদের বরখাস্ত করায় টোরি পার্টির সমালোচনা করেছে। এই বক্ত্যব্যের পর লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এমন কোনও বার্তা সমাজের কাছে কিংবা সন্ত্রাসীদের কাছে পৌঁছাতে চান না তারা। আর লিবারেল ডেমোক্র্যাট দল বলছে, এর ফলে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস নয় বরং মানুষের স্বাধীনতাই হ্রাস করতে চাইছেন। সূত্র: বিবিসি।
No comments