‘ডিভোর্স’ নোটিশে স্বাক্ষর তেরেসার
ইউরোপীয়
ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) প্রক্রিয়া
আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করতে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ব্রিটিশ
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। চিঠিটি বুধবার ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড টাস্কের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই চিঠিকে ‘ডিভোর্স নোটিশ’ বলে
মন্তব্য করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ফিফটির
আওতায় সই করা এ চিঠিটি দিয়ে মে ইইউকে জানিয়ে দিয়েছেন, তার দেশ আর ২৮
সদস্যের এই পরিবারে থাকছে না। ৪৪ বছর আগে ১৯৭৩ সালে ইইউতে যোগ দেয়
যুক্তরাজ্য। ২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বর কার্যকর হওয়া লিসবন চুক্তি ইইউর অন্যতম
সাংবিধানিক ভিত্তি। চুক্তির আর্টিকেল-ফিফটিতে জোট ছেড়ে যাওয়ার কায়দা-কানুন
সংক্ষেপে বলা রয়েছে। আর্টিকেল ফিফটি অনুযায়ী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জোট
ছাড়ার ইচ্ছা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার পর বিচ্ছেদের দর কষাকষি শেষ করতে
দুই বছর সময় পাওয়া যাবে। ওই সময়ে জোটের বাকি ২৭ দেশ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে
আলোচনায় বসবে। বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট কার্যকরের চিঠি
নিয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিলে যান ইইউয়ের ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত টিম ব্যারো। এর পর
হাউস অব কমন্সে দেয়া এক বক্তৃতায় তেরেসা মে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিদায়ের
সময় গণনা যে শুরু হয়ে গেছে তা এমপিদেরকে অবহিত করেন। এ সময় তিনি সবাইকে
একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
ব্রেক্সিট আলোচনার সময় মে
যুক্তরাজ্যের প্রতিটি মানুষেরই প্রতিনিধিত্ব করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদের মধ্যে আছে ব্রিটেনে বসবাসরত ইইউ নাগরিকরাও। ব্রেক্সিটের পর যাদের
ভাগ্যে কী হবে সেটি এখনও অনিশ্চিত। কিন্তু দেশের প্রতিটি মানুষের জন্যই
সঠিক একটি চুক্তি করতে মে বদ্ধপরিকর বলে জানান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
বলেন, ইইউ ছেড়ে গেলেও ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ‘গভীর ও বিশেষ
অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক’ বজায় থাকবে। গত বছর জুনে এক ঐতিহাসিক গণভোটে ইইউ
থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেয় ব্রিটিশ নাগরিকরা। ইউরোপীয়
ইউনিয়ন গঠনের পর যুক্তরাজ্যই প্রথম দেশ, যারা এই জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।
বিচ্ছেদের পর সম্পর্ক কীভাবে এগোবে সেই দর কষাকষির আলোচনা করবে যুক্তরাজ্য ও
ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় কাউন্সিলের বাকি ২৭ দেশের সামনে তুলে ধরা হবে
বিচ্ছেদের খসড়া চুক্তি। ওই চুক্তি কার্যকরের জন্য অন্তত ২০টি দেশের সম্মতি
লাগবে, যারা ইইউর ৬৫ শতাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রয়োজনীয় সমর্থন পেলে
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অনুসমর্থন প্রয়োজন হবে সেই বিচ্ছেদ চুক্তিতে।
প্রয়োজনীয় সমর্থন পেলে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অনুসমর্থন প্রয়োজন হবে সেই
বিচ্ছেদ চুক্তিতে। যদি দুই পক্ষই আলোচনার মেয়াদ বাড়াতে সম্মত না হয় তবে
২০১৯ সালের ২৯ মার্চ ইইউ থেকে ব্রিটেনের বিদায়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
ব্রেক্সিট কার্যকরের টাইমলাইন ২৯ মার্চ ২০১৭
আর্টিকেল-৫০ চিঠি প্রেরণ ২৯ এপ্রিল ২০১৭
সমঝোতা বিষয়ক সম্মেলন জুন ২০১৭
সমঝোতা প্রক্রিয়া শুরু নভেম্বর ২০১৭
ইইউ-যুক্তরাজ্যে গ্রেট রিপিল বিল পাস জানুয়ারি ২০১৮
সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা অক্টোবর ২০১৮
চুক্তির ডেডলাইন ২৯ মার্চ ২০১৯ ইইউ ত্যাগ কার্যকর
ব্রেক্সিট কার্যকরের টাইমলাইন ২৯ মার্চ ২০১৭
আর্টিকেল-৫০ চিঠি প্রেরণ ২৯ এপ্রিল ২০১৭
সমঝোতা বিষয়ক সম্মেলন জুন ২০১৭
সমঝোতা প্রক্রিয়া শুরু নভেম্বর ২০১৭
ইইউ-যুক্তরাজ্যে গ্রেট রিপিল বিল পাস জানুয়ারি ২০১৮
সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা অক্টোবর ২০১৮
চুক্তির ডেডলাইন ২৯ মার্চ ২০১৯ ইইউ ত্যাগ কার্যকর
No comments