গ্রামীণফোনের সিইওসহ ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
প্রতারণার
অভিযোগে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা
করেছেন এক আইনজীবী। মামলায় কোম্পানিটির সিইওসহ ২২ কর্মকর্তাকে আসামি করা
হয়েছে। চট্টগ্রাম চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হারুন-উর রশিদের আদালতে
চট্টগ্রাম বারের সদস্য অ্যাডভোকেট এসএইচএম হাবিবুর রহমান আজাদ বাদী হয়ে
বুধবার মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে নগরীর ইপিজেড থানা পুলিশকে
এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় যাদের অভিযুক্ত করা হয়
তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন : গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
(সিইও) রাজীব শেঠি, প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা ও পরিচালক শরীফ আহমেদ,
টেকনিক্যাল বিভাগের স্পেশালিস্ট আহমেদ মঞ্জুর-উদ দৌলা, অর্থ তহবিলের
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী মো. শাহেদ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য
মাইনুর রহমান ভুঁইয়া, মঈনুল কাদের, মঞ্জুর-উদ দৌহা, হেড অব এক্সটারনাল
কমিউনিকেশন সৈয়দ তালাত কামাল প্রমুখ। মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘গ্রামীণফোনের
মোবাইল নং ০১৭১২৭৪৫৫২৫-এর ব্যবহারকারী গ্রাহক অ্যাডভোকেট এসএইচএম হাবিবুর
রহমান আজাদ। লোভনীয় নতুন অফার, যা বড় বড় বিজ্ঞপ্তি ও ছোট ছোট লিফলেটের
মাধ্যমে সর্বত্র প্রকাশিত ও প্রচার করা হয়। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ঘোষিত
একটি অফার *৫৬৬# এ ডায়াল করলে প্রতিবারই ব্যালেন্সের সঙ্গে সংযুক্ত ও
ঘোষিত- Get 40 minutes gp-gp (12am-4am) 25 paisa/min- 10+vat (01 day
validity). sent start T to 9999. অ্যাডভোকেট আজাদ গ্রামীণফোনের এ অফারে
প্রলুব্ধ হয়ে ২০১২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় তার ০১৭১২৭৪৫৫২৫
মোবাইল নম্বরে Start 'T' লিখে ৯৯৯৯-এ সেন্ট করলে ব্যালেন্স থেকে ভ্যাটসহ ১১
টাকা ৫০ পয়সা কেটে নেয়।
অফার অনুযায়ী পরবর্তী বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৪০ মিনিট
জিপি থেকে জিপি নম্বরে উপভোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ওইদিন রাত ১০টায়
*৫৬৬*২০# এ ডায়াল করলে ফিরতি এসএমএস আসে- you have 0 minutes and 0 seconds
remaining and valid till 4pm, thank you. কিন্তু মোবাইল ব্যালেন্স থেকে
টাকা কেটে নেয়া হলেও ওইদিন অফারের সুবিধা ভোগ করতে পারেননি তিনি। বিষয়টি
জানতে তিনি গ্রামীণফোন অফিসের কল সেন্টারে ফোন করেন। কল সেন্টারের রাজীব
নামে এক অপারেটর কম্পিউটারে চেক করে অফারের সুবিধা না দিয়ে টাকা কেটে নেয়ার
সত্যতা স্বীকার করেন।’ গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে এ প্রতারণার অভিযোগে
অ্যাডভোকেট এসএইচএম হাবিবুর রহমান আজাদ ২০১২ সালে এবং পরে ২০১৪ সালে
চট্টগ্রাম আদালতে মামলা করেছিলেন। এসব অভিযোগ থানায় এজাহার হিসেবে গণ্য না
করে বিটিআরসিকে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী
অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুম চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, আগে অভিযোগ করে
প্রতিকার না পাওয়ায় বাদী পুনরায় ?বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন
২০০১-এর ৬৬(২)/৭৪ ধারায় বুধবার আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ
করে ইপিজেড থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
No comments