হজ নিবন্ধনের সময় ১১ দিন বাড়ল
চলতি
বছরের হজ নিবন্ধনের সময় ১১ দিন বাড়ানো হয়েছে। আজ ছিল নিবন্ধনের শেষ দিন।
প্রাক-নিবন্ধনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নিবন্ধন কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছে
এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। ফলে
এক লাখ ২৭ হাজার হজযাত্রীর মধ্যে এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৪ হাজার
৫২৫ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এক হাজার ৫৯৫ এবং বেসরকারি
ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন ২ হাজার ৯৩০ জন। এ অবস্থায় নিবন্ধনের সময় ১০
এপ্রিল পর্যন্ত বাড়াল ধর্ম মন্ত্রণালয়। বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে
বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি সব হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।
হজযাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হল। এ সময়ের
মধ্যে স্থানান্তর কার্যক্রমও চলবে। এ সময়ের মধ্যে কেউ নিবন্ধন কার্যক্রম
সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া
হবে। ওদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে
হাব। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের
অবস্থান ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে তারা। এ প্রসঙ্গে হাব মহাসচিব শেখ
আবদুল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, প্রাক-নিবন্ধনে অনিয়ম হয়েছে। অথচ তারা তদন্ত
কমিটি গঠন করেও খুঁজে পাচ্ছে না।
অন্যদিকে আমাদের বলা হয়েছিল, সৌদি আরবের
নির্দেশ অনুযায়ী ৩০ মার্চের পর নিবন্ধনের সময় দেয়া যাবে না। তাহলে এখন
কীভাবে সময় বাড়ানো হল। আমাদের সাফ কথা, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তার
হটকারী সিদ্ধান্তের কারণে হজ ব্যবস্থাপনার বিশৃংখলা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা
সংবাদ সম্মেলনে তার পদত্যাগ চাইব এবং এ আইনটির অধীনে কোনো নিবন্ধনে যাবে না
হাব। এ প্রসঙ্গে ধর্ম সচিব আবদুল জলিল যুগান্তরকে বলেন, অনেকের পাসপোর্ট
নেই। হজযাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
সৌদি আরবের মোয়াচ্ছাসার সঙ্গে কথা বলেছেন আমাদের কাউন্সিলর। এরপর সময়
বাড়ানো হয়েছে। আশা করি, এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীরা তাদের নিবন্ধন কার্যক্রম
সম্পন্ন করবেন। হাব বিজনেস অটোমেশনের অধীনে নিবন্ধন কার্যক্রম করবে না-
এক্ষেত্রে সরকার কী করবে? এর জবাবে ধর্ম সচিব বলেন, বিজনেস অটোমেশনের সঙ্গে
সরকারের চুক্তি রয়েছে। তারা সরকার কর্তৃক নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান। হাবের কোনো
যৌক্তিক দাবি থাকলে তারা ধর্মমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করুক।
No comments