ককটেল ফাটিয়ে কেন্দ্র দখল, ভোট বন্ধ
কুমিল্লা
সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক কাউন্সিলর
প্রার্থী ককটেল ফাটিয়ে কেন্দ্র দখল করে ভোট দেয়ায় ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ
সাময়িক বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজ
কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত
কাউন্সিলর প্রার্থী রমিজ উদ্দিন ও তার সমর্থকরা ওই কেন্দ্রে এসে ১০/১৫টি
ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে উপস্থিত ভোটারদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়লে তারা
দ্রুত কেন্দ্র ত্যাগ করে। এরই মধ্যে জোর করে প্রায় ৪০০ ব্যালটে সিল মেরে
বাক্সে ঢুকিয়ে ফেলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রমিজ উদ্দিনের সমর্থকরা। তাদের
এই কাজে বাধা দিতে গেলে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী মাহবুবুর
রহমানকে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। একই সঙ্গে তার একজন
এজেন্টকেও মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে আইনশৃংখলা
রক্ষাকারী বাহিনী টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংবাদ
পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল।
এ সময়
তিনি জোর করে ভোট দেয়ার বিষয়ে তদন্ত হবে বলে জানান। রকিব উদ্দিন মণ্ডল
বলেন, 'খবর পেয়ে ওই কেন্দ্রে বিজিবি ও র্যাবের টিম পাঠানো হয়। ওই
কেন্দ্রের আশপাশে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করায় সাময়িকভাবে ভোটগ্রহণ
স্থগিত রাখা হয়েছে।' এ কেন্দ্রটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে রিটার্নিং
কর্মকর্তার কার্যালয়ে কয়েকজন কাউন্সিলর আগেই অভিযোগ দাখিল করেছিলেন। ভোটের
দিন এখানে পর্যাপ্ত আইনশৃংখলা বাহিনী ও তাদের কার্যকর তৎপরতার অভাবে ওই
প্রার্থী এবং তার লোকজন কেন্দ্রে ঢুকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন অপর
কাউন্সিলর প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে ওয়ার্ড রয়েছে
২৭টি। মোট ভোটার ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২ হাজার
৪৪৭। মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ১১৯ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১০৩। ভোট কক্ষ
৬২৮। মোট ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ১৯৮৭ জন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন ও
কাউন্সিলর পদে ১৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে মূল লড়াই হচ্ছে
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ও বিএনপির প্রার্থী
মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে।
No comments