৬ এপ্রিলের মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি বন্ধের নির্দেশ
রাজধানীর
হাজারীবাগের ট্যানারি কারখানাগুলো আগামী ৬ এপ্রিলের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ
দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন
তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ৬ এপ্রিলের মধ্যে
হাজারীবাগের ট্যানারি কারাখানাগুলো বন্ধ করা হলে এ-সংক্রান্ত জরিমানার
বিষয়টি বিবেচনার কথা জানিয়েছেন আদালত। আদালতে ট্যানারি মালিকদের পক্ষে
শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। আর রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন
আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। শুনানিতে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস আদালতকে বলেন,
'সবকিছুই শেষের দিকে। আমরা ৬ এপ্রিলের মধ্যে সব ট্যানারি কারখানা বন্ধ করতে
যাচ্ছি। আমাদের বকেয়া জরিমানার বিষয়টি বিবেচনা করেন।' তখন আদালত বলেন,
'আগে ৬ এপ্রিল সব বন্ধ করে আসেন। তখন বকেয়া জরিমানার বিষয়টি বিবেচনা করা
হবে।'
গত ১৯ মার্চ ১৫৪ ট্যানারি মালিককে বকেয়া বাবদ জরিমানা পরিশোধের আদেশ
স্থগিত করে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার
বিচারপতি। এর আগে ২ মার্চ ১৫৪ ট্যানারি কারখানাকে বকেয়া বাবদ ৩০ কোটি ৮৫
লাখ জরিমানা ২ সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দেন
হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ফিনিশড লেদার গুডস অ্যান্ড
ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন হাইকোর্টের সেই আদেশ স্থগিত চেয়ে
আবেদন করে। রাজধানীকে ট্যানারির পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচাতে এবং বুড়িগঙ্গা ও
শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষায় সাভারে পরিকল্পিত চামড়া নগরী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া
হয় ২০০৩ সালে। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সারানোর নির্দেশ আদালত দিয়েছিলেন
প্রায় ৩ বছর আগে। এরপর বহুবার সরকার ট্যানারি মালিকদের সাভারে কারখানা
সরাতে আলটিমেটাম দিলেও তাতে সাড়া দেননি ট্যানারি মালিকরা। সর্বশেষ
হাজারীবাগ ছাড়তে ব্যর্থ ট্যানারিগুলোর কার্যক্রম গত ৫ মার্চ বন্ধের নির্দেশ
দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। পরে সুপ্রিম কোর্টেও এ আদেশ বহাল থাকে।
ট্যানারিগুলোকে বন্ধ করে ৬ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে
পরিবেশ অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
No comments