সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আশ্বাস প্রশাসনের
শ্রেণীকক্ষে দুষ্টামি করার অপরাধে মাদারীপুরের কালকিনিতে মুরাদ হোসেন (১২) নামের এক প্রতিবন্ধী ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে প্রধান শিক্ষক। আহত ওই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রমজানপুর মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র। এ ঘটনায় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি আপোষ-মিমাংসার জন্য আহত ছাত্রের পরিবারকে একের পর এক চাপ প্রয়োগ করছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রমজানপুর এলাকার দক্ষিণ রমজানুপর গ্রামের রহমাতুল্লাহর স্কুল পড়ুয়া মানষিক প্রতিবন্ধী ছেলে মুরাদ শ্রেণী কক্ষে সহপাঠিদের সঙ্গে দুষ্টামি করে। এ অপরাধে মঙ্গলবার বিকালে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলামীন হাওলাদারের সহযোগিতায় প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান ছায়েদ ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থী মুরাদ হোসেনকে জোড় বেত দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে খবর পেয়ে ছাত্রের মা রুমা বেগম তাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হলে উপজেলার সর্বত্রই সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল ইসলাম ওই ছাত্রকে দেখতে হাসপাতালে যান। তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমানকে সঠিক বিচারের আওতায় আনা হবে বলে আহতের পরিবারকে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, তদন্ত রিপোর্ট মোতাবেক প্রধান শিক্ষককে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। শিক্ষার্থীর মা রুমা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে মারার ঘটনায় আমি সঠিক বিচার চাইলে আপোষ-মিমাংসার জন্য প্রধান শিক্ষককের পক্ষের লোকজন তাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছে।কালকিনি থানার উপপরিদর্শক এসআই মোঃ জুয়েল বলেন, আহত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
No comments