ফাঁসির আসামী অন্তঃসত্ত্বা
ভিয়েতনামের
এক নারী নুয়েন থি হুই (৪২)-এর ফাঁসি আসন্ন। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে করুণ এই
শাস্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি চতুরতার আশ্রয় নিয়েছেন। এর ফলে তিনি এখন
অন্তঃসত্ত্বা। ফলে তাকে নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। তিনি আরেক
বন্দির শুক্রাণু কিনে নিয়েছেন ৫ কোটি ভিয়েতনামি ডং (১৬০০ পাউন্ড) দিয়ে। সেই
শুক্রাণু তিনি সিরিঞ্জের মাধ্যমে প্রবেশ করিয়েছেন গর্ভাশয়ে। ফলে তিনি এখন
অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় ওই জেলের ৪ প্রহরীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নুয়েন থি যে
পুরুষের শুক্রাণু সংগ্রহ করেছেন তার বয়স ২৭ বছর। নাম নুয়েন থুয়ান হাং।
তাদের মধ্যে অর্থের বনিবনা হওয়ার পর নুয়েন থুয়ান তার শুক্রাণু একটি
সিরিঞ্জে ভরে সরবরাহ করে নুয়ান থির কাছে। এ ঘটনা ঘটেছে ২০১৫ সালের আগস্টে,
দুবার। নুয়ান থি সেই শুক্রাণু গর্ভাশয়ে প্রবেশ করিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এ ঘটনা ঘটেছে উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ কুয়াং নিহ’তে। সেখানে মাদক পাচারের
অভিযোগে অভিযুক্ত নুয়ান থি। জেলে বসে তিনি ফাঁসি ঠেকাতে এমন অভিনব পদক্ষেপ
নিয়েছেন। এখন তদন্তকারী ও প্রসিকিউটররা বলছেন, নুয়ান থি আগামী এপ্রিলে
সন্তান প্রসব করবেন। ভিয়েতনামের আইনে কোন অন্তঃসত্ত্বা মা অথবা যে মায়ের ৩
বছর বয়সের নিচে সন্তান আছে তার ফাঁসি কার্যকর করা যায় না। এক্ষেত্রে যদি
মৃত্যুদণ্ড আরোপ করা হয়ে থাকে তাহলে তা শিথিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা
হয়। ল্যাং সন এলাকায় মাদক পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালে গ্রেপ্তার করা হয়
নুয়ান থিকে। ২০১৪ সালে তাকে অভিযুক্ত করে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া
হয়। এর আগে আরেক ভিয়েতনামি বন্দি নুয়েন থি ওনাহ’কে শাস্তি হিসেবে
মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল ২০০৭ সালে। কিন্তু তিনি জেলে এক পুরুষের সঙ্গে
শারীরিক সম্পর্ক গড়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তিনি ২০০৭ সালের মার্চে একটি
পুত্র সন্তান জন্ম দেন। এর ফলে তিনি মৃত্যুদণ্ডের হাত থেকে রেহাই পান। এ
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জেল কর্মকর্তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
No comments