আওয়ামী লীগ কতো বছর ক্ষমতায় থাকবে? by শফিক রেহমান
শুক্রবার
৮ জানুয়ারি ২০১৬। এক মাত্র তিন দিন অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টা আগে ৫ জানুয়ারিতে
গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন উপলক্ষে বিএনপি আহুত জনসভায় অতি অপ্রত্যাশিতভাবে
বিশাল জনসমাগম হয়েছিল। মাত্র ৬৮ ঘণ্টার নোটিশে মিটিংটি হয়েছিল। ধরে নেয়া
যায় ওই মিটিংয়ে ঢাকার বাইরে থেকে কেউ আসেননি বা আসতে পারেননি।
এই দিন ওই মিটিংয়ে মানুষের উপস্থিতি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। এর মাত্র ছয় দিন আগে ৩০ ডিসেম্বরে দেশ জুড়ে পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে বিএনপি সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল খুব কম। ৫ জানুয়ারির জনসভায় ঠিক তেমন ভাবেই মানুষের উপস্থিতি খুব কম হবে ভেবেই হয়তো কর্তৃপক্ষ শেষ মুহূর্তে সেই মিটিংয়ের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবে এত মানুষ ৫ জানুয়ারিতে সেখানে উপস্থিত হয়ে ধৈর্য ধরে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার বক্তৃতা শুনে আবারও এটাই প্রমাণ করেছে যে বিএনপির পক্ষে জনসমর্থন অটুট এবং বিশাল। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে কোনো শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বিএনপির জয়ও যে হবে বিশাল সেটা নিশ্চিত। আর এটা বুঝেই আওয়ামী লীগ সরকার কখনোই সেই ধরনের কোনো নির্বাচন দেশে দেবে না। তবে তারা পাতানো নির্বাচন দিতে চাইবে এবং বিএনপিকে সবসময়ই সেই নির্বাচনে অংশ নিতে বলবে। বিএনপি সেই ধরনের নির্বাচনে অংশ নিলে সংসদে দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় স্থান অর্থাৎ, এরশাদের জাতীয় পার্টির পরের স্থানটি পাবে। তার মানে, আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় থেকে যাবে।
এটা অভাবনীয় কিছু নয়। কারণ আওয়ামী লীগ থেকে ইতিমধ্যে বারবার বলা হয়েছে তারা ২০২১, ২০৩১, ২০৪১ প্রভৃতি বছর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায় এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে চায়। তাদের উন্নয়ন কর্মসূচি সমাপ্ত করতে চায়।
আর এজন্যই মানুষের মুখে এখন প্রশ্ন এই অত্যচারী সরকার কবে বিদায় নেবে?
সবার মনে আরো একটি প্রশ্ন আছে - ১০০০ দিন জেলবন্দি দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কবে মুক্তি পাবেন?
এই দুটি প্রশ্নেরই - একই উত্তর।
আর সেই উত্তরটা হচ্ছে ২০৭১ সালের আগে নয়।
২০৭১ কেন? কারণ ওই বছরে মুক্তিযুদ্ধের শতবর্ষ পূর্তি হবে এবং সেটা যথাযথভাবে উদযাপনের আয়োজন করবে মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্ট ও একমাত্র পরিবেশক আওয়ামী লীগ।
হয়তো এই উত্তরটি জেনে পাঠকরা নিরাশ হচ্ছেন। না। নিরাশ হবেন না। ২০৭১ সালে বাংলাদেশের অবস্থা কি হবে তার একটা আংশিক ছবি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
গত বছর ২০১৫-তে ১৯৫ জনকে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয় বাংলাদেশে। গত নভেম্বরে এক মাসে ৬৬ জনকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছিল।
শুধু ৩০ নভেম্বরেই ২৯ জনের ফাসির আদেশ দেয়া হয়েছিল। গাজীপুরে শুধু একটি মামলায় ১১ জনকে ফাসির আদেশ দেয়া হয়েছিল। এভাবে প্রতি দিনে শত শত ফাসির দেয়ার পর ২০৭১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে করবস্থানের শান্তি বিরাজ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম আবারও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রস্তাবিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে বলেছেন এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইন্টারন্যাশনাল ঘুষ খেয়ে এসব ফাসির নিন্দা করেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের এই ঘুষ খাওয়া প্রমাণিত হয়ে যাবার পরে মানব অধিকার বিষয়ক এই ধরনের সব সংগঠন বিশ্ব জুড়ে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। বাংলাদেশে এসব সংগঠন এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি) অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে।
আন্তর্জাতিকভাবে আরো একটি বড় ঘটনা ঘটবে। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র, বিশিষ্ট কমপিউটার বিজ্ঞানী, আমেরিকা প্রবাসী দেশপ্রেমিক সজীব জয়, কিনে ফেলবেন গুগল, ইয়াহু, মাইক্রোসফট এবং ফেসবুককে। ফলে তরুণ প্রজন্ম নিশ্চিন্ত হতে পারবে - বাংলাদেশে আর কখনো ফেসবুক, গুগল ইত্যাদি নিষিদ্ধ হবে না।
প্রতিবেশি দেশ ইনডিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরো ভালো হবে। এখন যেমন আওয়ামী নেতারা “বিএনপি-জামায়াত” জোট বলতে অভ্যস্ত, তখন মানুষ “আওয়ামী-ভারত” সরকার বলতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। আওয়ামী-ভারত সম্পর্ক সুমধুর হবে। এর ফলে ২০৭১-এ গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ২০৭১ টাকা হবে। বিএসএফ-এর গুলিতে বিনা প্রতিবাদে প্রতি বছরে অন্তত ৭১ জন মারা যাবে। ‘‘রাজনৈতিক বিবেচনায়’’ আগামী ৫৫ বছরে অন্ততপক্ষে আরো ৫৫০টি ব্যাংক খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে শর্ত সাপেক্ষে যে আওয়ামী পৃষ্ঠপোষিত দুর্বৃত্তদের জন্য এসব ব্যাংক উদারনীতি অবলম্বন করবে এবং তখন কোনো খেলাপি ঋণ তালিকা প্রকাশ করা হবে না। ইনডিয়ান সাহায্য সত্ত্বেও পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ বারবার বিঘ্নিত হবে। মগবাজারে ফ্লাইওভার আবার নির্মিত হয়ে আরো ৭১ বার ভাঙ্গা হবে। মগবাজারের নাম বদলে মগের মুল্লুক নাম হবে। পথবক্তা ও মন্ত্রী মি. ওবায়দুল কাদের বিরক্ত হয়ে বারবার পদত্যাগ করতে চাইলে ঢাকা মেট্রো রেল প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য রাজধানীতে সব জনচলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ঘরে ঘরে গড়ে উঠবে। সব লেখাপড়া বাড়িতে হবে। অফিস-আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজ ঘরে থেকেই চলবে। ঢাকা এখন বিশ্বের দ্বিতীয় নিকৃষ্টতম শহর রূপে গণ্য হলেও সব জন ও যান চলাচল বন্ধ রেখেও যে সরকার রাজধানী চালাতে পারে সেটি প্রমাণ করার ফলে তখন ঢাকা বিশ্বের প্রথম বিস্ময়কর শহর রূপে গণ্য হবে।
এ রকম অনেক অভূতপূর্ব সাফল্য ২০৭১ সালের মধ্যেই পাঠকরা দেখবেন।
তবে সেই বছরেই প্রধানমন্ত্রী যখন জানবেন যে তার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, রানীসভার ছড়াকার ইয়াফেস ওসমান সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন, তখন তিনি পদচ্যুত হবেন। ইয়াফেস ওসমানের লেখা শেষ ছড়াটি হবে :
কেন যে ছড়া লিখলাম ভাই
এখন আমার চাকরি নাই।
২০৭১-এ সারা বাংলাদেশ জুড়ে উদযাপিত হবে স্বাধীনতার শত বর্ষ পূর্তি। গ্রামে গঞ্জে শহরে শুধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার হাজার হাজার রঙিন বিলবোর্ড ও পোস্টারই থাকবে - অন্য কোনো পোস্টার-বিলবোর্ড থাকবে না। সেই বছরে ১৬ ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করবেন বহুল প্রতীক্ষিত সেই তারিখটি -
পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সমাপ্ত করার জন্য আরো একশ’ বছরে সময় চাইবেন।
ডিসেম্বর ২১৭১-এ পরবর্তী নির্বাচনটি হবে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এই দিন ওই মিটিংয়ে মানুষের উপস্থিতি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। এর মাত্র ছয় দিন আগে ৩০ ডিসেম্বরে দেশ জুড়ে পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে বিএনপি সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল খুব কম। ৫ জানুয়ারির জনসভায় ঠিক তেমন ভাবেই মানুষের উপস্থিতি খুব কম হবে ভেবেই হয়তো কর্তৃপক্ষ শেষ মুহূর্তে সেই মিটিংয়ের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবে এত মানুষ ৫ জানুয়ারিতে সেখানে উপস্থিত হয়ে ধৈর্য ধরে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার বক্তৃতা শুনে আবারও এটাই প্রমাণ করেছে যে বিএনপির পক্ষে জনসমর্থন অটুট এবং বিশাল। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে কোনো শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বিএনপির জয়ও যে হবে বিশাল সেটা নিশ্চিত। আর এটা বুঝেই আওয়ামী লীগ সরকার কখনোই সেই ধরনের কোনো নির্বাচন দেশে দেবে না। তবে তারা পাতানো নির্বাচন দিতে চাইবে এবং বিএনপিকে সবসময়ই সেই নির্বাচনে অংশ নিতে বলবে। বিএনপি সেই ধরনের নির্বাচনে অংশ নিলে সংসদে দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় স্থান অর্থাৎ, এরশাদের জাতীয় পার্টির পরের স্থানটি পাবে। তার মানে, আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় থেকে যাবে।
এটা অভাবনীয় কিছু নয়। কারণ আওয়ামী লীগ থেকে ইতিমধ্যে বারবার বলা হয়েছে তারা ২০২১, ২০৩১, ২০৪১ প্রভৃতি বছর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায় এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে চায়। তাদের উন্নয়ন কর্মসূচি সমাপ্ত করতে চায়।
আর এজন্যই মানুষের মুখে এখন প্রশ্ন এই অত্যচারী সরকার কবে বিদায় নেবে?
সবার মনে আরো একটি প্রশ্ন আছে - ১০০০ দিন জেলবন্দি দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কবে মুক্তি পাবেন?
এই দুটি প্রশ্নেরই - একই উত্তর।
আর সেই উত্তরটা হচ্ছে ২০৭১ সালের আগে নয়।
২০৭১ কেন? কারণ ওই বছরে মুক্তিযুদ্ধের শতবর্ষ পূর্তি হবে এবং সেটা যথাযথভাবে উদযাপনের আয়োজন করবে মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্ট ও একমাত্র পরিবেশক আওয়ামী লীগ।
হয়তো এই উত্তরটি জেনে পাঠকরা নিরাশ হচ্ছেন। না। নিরাশ হবেন না। ২০৭১ সালে বাংলাদেশের অবস্থা কি হবে তার একটা আংশিক ছবি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
গত বছর ২০১৫-তে ১৯৫ জনকে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয় বাংলাদেশে। গত নভেম্বরে এক মাসে ৬৬ জনকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছিল।
শুধু ৩০ নভেম্বরেই ২৯ জনের ফাসির আদেশ দেয়া হয়েছিল। গাজীপুরে শুধু একটি মামলায় ১১ জনকে ফাসির আদেশ দেয়া হয়েছিল। এভাবে প্রতি দিনে শত শত ফাসির দেয়ার পর ২০৭১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে করবস্থানের শান্তি বিরাজ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম আবারও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রস্তাবিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে বলেছেন এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইন্টারন্যাশনাল ঘুষ খেয়ে এসব ফাসির নিন্দা করেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের এই ঘুষ খাওয়া প্রমাণিত হয়ে যাবার পরে মানব অধিকার বিষয়ক এই ধরনের সব সংগঠন বিশ্ব জুড়ে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। বাংলাদেশে এসব সংগঠন এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি) অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে।
আন্তর্জাতিকভাবে আরো একটি বড় ঘটনা ঘটবে। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র, বিশিষ্ট কমপিউটার বিজ্ঞানী, আমেরিকা প্রবাসী দেশপ্রেমিক সজীব জয়, কিনে ফেলবেন গুগল, ইয়াহু, মাইক্রোসফট এবং ফেসবুককে। ফলে তরুণ প্রজন্ম নিশ্চিন্ত হতে পারবে - বাংলাদেশে আর কখনো ফেসবুক, গুগল ইত্যাদি নিষিদ্ধ হবে না।
প্রতিবেশি দেশ ইনডিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরো ভালো হবে। এখন যেমন আওয়ামী নেতারা “বিএনপি-জামায়াত” জোট বলতে অভ্যস্ত, তখন মানুষ “আওয়ামী-ভারত” সরকার বলতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। আওয়ামী-ভারত সম্পর্ক সুমধুর হবে। এর ফলে ২০৭১-এ গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ২০৭১ টাকা হবে। বিএসএফ-এর গুলিতে বিনা প্রতিবাদে প্রতি বছরে অন্তত ৭১ জন মারা যাবে। ‘‘রাজনৈতিক বিবেচনায়’’ আগামী ৫৫ বছরে অন্ততপক্ষে আরো ৫৫০টি ব্যাংক খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে শর্ত সাপেক্ষে যে আওয়ামী পৃষ্ঠপোষিত দুর্বৃত্তদের জন্য এসব ব্যাংক উদারনীতি অবলম্বন করবে এবং তখন কোনো খেলাপি ঋণ তালিকা প্রকাশ করা হবে না। ইনডিয়ান সাহায্য সত্ত্বেও পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ বারবার বিঘ্নিত হবে। মগবাজারে ফ্লাইওভার আবার নির্মিত হয়ে আরো ৭১ বার ভাঙ্গা হবে। মগবাজারের নাম বদলে মগের মুল্লুক নাম হবে। পথবক্তা ও মন্ত্রী মি. ওবায়দুল কাদের বিরক্ত হয়ে বারবার পদত্যাগ করতে চাইলে ঢাকা মেট্রো রেল প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য রাজধানীতে সব জনচলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ঘরে ঘরে গড়ে উঠবে। সব লেখাপড়া বাড়িতে হবে। অফিস-আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজ ঘরে থেকেই চলবে। ঢাকা এখন বিশ্বের দ্বিতীয় নিকৃষ্টতম শহর রূপে গণ্য হলেও সব জন ও যান চলাচল বন্ধ রেখেও যে সরকার রাজধানী চালাতে পারে সেটি প্রমাণ করার ফলে তখন ঢাকা বিশ্বের প্রথম বিস্ময়কর শহর রূপে গণ্য হবে।
এ রকম অনেক অভূতপূর্ব সাফল্য ২০৭১ সালের মধ্যেই পাঠকরা দেখবেন।
তবে সেই বছরেই প্রধানমন্ত্রী যখন জানবেন যে তার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, রানীসভার ছড়াকার ইয়াফেস ওসমান সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন, তখন তিনি পদচ্যুত হবেন। ইয়াফেস ওসমানের লেখা শেষ ছড়াটি হবে :
কেন যে ছড়া লিখলাম ভাই
এখন আমার চাকরি নাই।
২০৭১-এ সারা বাংলাদেশ জুড়ে উদযাপিত হবে স্বাধীনতার শত বর্ষ পূর্তি। গ্রামে গঞ্জে শহরে শুধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার হাজার হাজার রঙিন বিলবোর্ড ও পোস্টারই থাকবে - অন্য কোনো পোস্টার-বিলবোর্ড থাকবে না। সেই বছরে ১৬ ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করবেন বহুল প্রতীক্ষিত সেই তারিখটি -
পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সমাপ্ত করার জন্য আরো একশ’ বছরে সময় চাইবেন।
ডিসেম্বর ২১৭১-এ পরবর্তী নির্বাচনটি হবে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
No comments