ওবামার কাছে আফিয়া সিদ্দিকীর মায়ের আবেদন
বারাক ওবামা
প্রেসিডেন্ট
হোয়াইট হাউজ
ওয়াশিংটন, ডিসি২৯৫০০
প্রিয় মি. প্রেসিডেন্ট,
আমার নাম ইসমত সিদ্দিকী। ড. আফিয়া সিদ্দিকী আমার কন্যা। সে এমন একজন যার সম্পর্কে আপনি ইতোমধ্যে হয়তো শুনে থাকবেন। সম্ভবত, তার সম্পর্কে নেতিবাচক কিছুই শুনে থাকবেন। ইন্টারনেট ও অন্যান্য মাধ্যমে লাখ লাখ পৃষ্ঠা একজন ব্যক্তি সম্পর্কে অনুমিত বিবরণ, প্রশংসা, কটাক্ষমূলক ব্যঙ্গবিদ্রূপ এবং একই সাথে একগাদা প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তার সমর্থকেরা তাকে সেইন্টহুডে তুলে এনেছে। আর কুৎসাকারীরা তাকে অপবাদ দিয়ে দানবে রূপায়িত করেছে। একজন মানুষ সম্পর্কিত সত্যটি এর মধ্যে হারিয়ে গেছে। আসল ঘটনা হচ্ছে, আফিয়া তিন-তিনটি সন্তানের মা এবং একজন মেধাবী মুসলিম মহিলা। তার একমাত্র উৎসাহ-অনুরাগ হচ্ছে লোকদের শিক্ষিত করে তোলা। এ জন্য সে পড়াশোনা করেছে বিশ্বের উৎকৃষ্ট সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এগুলোর মধ্যে আছে এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের সুখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোও। ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বরের পর অজানা কারণে আফিয়া সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের এক শিকারে পরিণত হয়েছে।
এটি শুধু তার অসুস্থ মায়ের একটি দুঃখজনক কাহিনীই নয়। এটি সেইসব মানুষের দ্বারা নির্যাতন, অন্যায় মর্যাদাহানি, অবনমিত করা, প্রতারণা ও বর্বরতার এক বাস্তবতা- যারা নিজেদের সবচেয়ে বেশি সভ্য বলে দাবি করেন। এটি তাদের করা গুরুতর এক অন্যায়-অবিচার, যারা নিজেদের সবচেয়ে ন্যায়ানুগ বলে দাবি করেন। এটি একটি জাতির পক্ষপাতদুষ্টতার এক মহাকাব্য, যে জাতি তা থেকে নিজেকে মুক্ত বলে দাবি করে থাকে। এটি শুধু একজন নারীর কোনো অগ্নিপরীক্ষা নয়; এটি একটি জাতির অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা এবং বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী একটি জাতি ও এর শাসকদের ওপর কালিমা লেপনের কাজ। স্যার, এটি আমেরিকার দু’টি প্রশাসনের ‘লজ্জাকর উত্তরাধিকার’। আমি এই বিভৎস ঘটনা, এর মেরিট বা ডিমেরিট উল্লেখ করতে যাবো না, কারণ আমি নিশ্চিত- আপনার কাছে প্রবেশাধিকার পাওয়া উকিলেরা আপনাকে শুধু সেসব ‘ফ্যাক্ট’ জানাবেন, যা তাদের দাবিকেই যুক্তিযুক্ত করে তোলে। কিন্তু এই আশায় এর সাথে ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস নেটওয়ার্কের তৈরী একটি ফ্যাক্টশিট সংযোজন করছি যে, আপনি এক নজর তা দেখবেন এবং দেখবেন এর একটি ‘উল্টো পিঠ’ও আছে। আমাকে বলা হয়েছে, আপনি একজন মেধাবী আইনজীবী ছিলেন। হার্ভার্ডে আপনি ছিলেন আপনার সহপাঠীদের শীর্ষে। অতএব আমার আশা, আপনি কল্পকাহিনী থেকে সত্য বের করে নিয়ে আসতে পারবেন।
মি. প্রেসিডেন্ট, অপহরণের পর আমার মেয়েকে এই কয়েক বছর ধরে জোর করে তার সন্তানদের কাছ থেকে আলাদা করে রাখা, তার ওপর নির্যাতন চালানো, গুলি চালানো, মারধর করা, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা এবং বিবস্ত্র করার ভাবনায় আমার হৃদয় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এমনকি, এখনো তার ডিটেনশন ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাধারণ সৌজন্যবোধও মানা হচ্ছে না। বুলেটের ক্ষতস্থান থেকে চুঁইয়ে পড়া রক্ত নিয়ে নিউ ইয়র্কে পৌঁছার পর এক মাস তাকে কোনো চিকিৎসা দেয়া হয়নি। তার আটককারীরা নিউ ইয়র্কে এবং ফোর্টওয়ার্থের কার্সওয়েল মেডিক্যাল ফ্যাসিলিটিতে আইনজীবীদের সাথে সহায়তা করতে হুমকি অব্যাহত রাখে, যাতে তা করলে তাকে শাস্তি দেয়া যায়। তাকে এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলা হয়, যেখানে নির্মম প্রতিশোধের ভয়ে পরিবারের সাথে দেখা করতেও সে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল। ইতোমধ্যে তীব্র যন্ত্রণায় পার হয়ে গেছে তার ১২টি বছর- পাঁচ বছরের গোপন বন্দিত্ব জীবন এবং প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন সাত বছরের বন্দিত্ব।
সতের বছর বয়সে আমার মেয়েকে আপনার দেশে পাঠিয়েছিলাম, যাতে এমন শিক্ষা গ্রহণ করে যা বিশ্বের আর কোথাও সম্ভব হতো না। তাকে সেই মূল্যবোধ শিখিয়েছিলাম- দয়ালু হতে ও ন্যায়বিচারের পক্ষে কাজ করতে; প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং অসহায় মানুষকে সহায়তা দিতে। আমার মেয়েকে সেটাই শিখিয়েছিলাম, যা আমেরিকার অবস্থান। কিন্তু আমি অবাক হই, আপনারা যখন সে মূল্যবোধ ভুলে যান। যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া তার সন্তানেরা প্রশ্ন করে- কেন তাদের অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়েছিল? কেন এদের দেশ এদের ওপর এমন আচরণ করল? আপনি কি এর জবাব দিতে পারেন?
আফিয়া শান্তি ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সে সন্ত্রাসী নয়। তার শিক্ষা এবং তার সন্তানের প্রতি আগ্রহসূত্রে সে হতে পারত বিশ্বের অন্ধকারতম কোনো কোণোর একটি মেধাবী আলো। শৈশবের প্রথমাবস্থায় শিক্ষার্জনের ওপর তার গবেষণা সবখানে লাখ লাখ শিশুর জন্য সহায়ক হতে পারত। আমার কন্যা হতে পারত একটি বিশ্বসম্পদ, যে বিশ্বে তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি দরকার।
আমি আপনার কাছে আর্জি জানাই, আপনার প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা ব্যবহার করে আমাদের এই সময়ের সবচেয়ে গুরুতর অন্যায়-অবিচারের একটিকে অকার্যকর করে দিন। এটা হবে এমন একটি পদক্ষেপ, যা মুসলিম বিশ্বে আপনার জন্য প্রচুর সুনাম বয়ে আনবে; যা লাখ লাখ ডলার খরচ করেও আনা সম্ভব হবে না। আপনার একটি সাধারণ পদক্ষেপ মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানো একজন মায়ের হৃদয় উষ্ণতায় ভরিয়ে দিতে পারে। আর তা ফিরিয়ে আনতে পারে আমেরিকার ক্ষমা ও করুণার উপায়। আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি, এক মুহূর্ত চিন্তা করে দেখুন একজন বাবা হিসেবে, যে এক কন্যাকে ধ্বংস থেকে বাঁচাতে পারে। আপনার গোয়েন্দা সংস্থা যা-ই বলুক, তা বিবেচনায় না নিয়ে আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি- আমার কন্যা কারো জন্য কোনো হুমকি নয়। তাকে ছেড়ে দিলে শুধু আপনিই আরো শক্তিধর ও গৌরবোজ্জ্বল হবেন। কারণ, ক্ষমার প্রাপ্তি দ্বিগুণ। সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-ইসমত সিদ্দিকী
প্রেসিডেন্ট
হোয়াইট হাউজ
ওয়াশিংটন, ডিসি২৯৫০০
প্রিয় মি. প্রেসিডেন্ট,
আমার নাম ইসমত সিদ্দিকী। ড. আফিয়া সিদ্দিকী আমার কন্যা। সে এমন একজন যার সম্পর্কে আপনি ইতোমধ্যে হয়তো শুনে থাকবেন। সম্ভবত, তার সম্পর্কে নেতিবাচক কিছুই শুনে থাকবেন। ইন্টারনেট ও অন্যান্য মাধ্যমে লাখ লাখ পৃষ্ঠা একজন ব্যক্তি সম্পর্কে অনুমিত বিবরণ, প্রশংসা, কটাক্ষমূলক ব্যঙ্গবিদ্রূপ এবং একই সাথে একগাদা প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তার সমর্থকেরা তাকে সেইন্টহুডে তুলে এনেছে। আর কুৎসাকারীরা তাকে অপবাদ দিয়ে দানবে রূপায়িত করেছে। একজন মানুষ সম্পর্কিত সত্যটি এর মধ্যে হারিয়ে গেছে। আসল ঘটনা হচ্ছে, আফিয়া তিন-তিনটি সন্তানের মা এবং একজন মেধাবী মুসলিম মহিলা। তার একমাত্র উৎসাহ-অনুরাগ হচ্ছে লোকদের শিক্ষিত করে তোলা। এ জন্য সে পড়াশোনা করেছে বিশ্বের উৎকৃষ্ট সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এগুলোর মধ্যে আছে এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের সুখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোও। ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বরের পর অজানা কারণে আফিয়া সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের এক শিকারে পরিণত হয়েছে।
এটি শুধু তার অসুস্থ মায়ের একটি দুঃখজনক কাহিনীই নয়। এটি সেইসব মানুষের দ্বারা নির্যাতন, অন্যায় মর্যাদাহানি, অবনমিত করা, প্রতারণা ও বর্বরতার এক বাস্তবতা- যারা নিজেদের সবচেয়ে বেশি সভ্য বলে দাবি করেন। এটি তাদের করা গুরুতর এক অন্যায়-অবিচার, যারা নিজেদের সবচেয়ে ন্যায়ানুগ বলে দাবি করেন। এটি একটি জাতির পক্ষপাতদুষ্টতার এক মহাকাব্য, যে জাতি তা থেকে নিজেকে মুক্ত বলে দাবি করে থাকে। এটি শুধু একজন নারীর কোনো অগ্নিপরীক্ষা নয়; এটি একটি জাতির অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা এবং বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী একটি জাতি ও এর শাসকদের ওপর কালিমা লেপনের কাজ। স্যার, এটি আমেরিকার দু’টি প্রশাসনের ‘লজ্জাকর উত্তরাধিকার’। আমি এই বিভৎস ঘটনা, এর মেরিট বা ডিমেরিট উল্লেখ করতে যাবো না, কারণ আমি নিশ্চিত- আপনার কাছে প্রবেশাধিকার পাওয়া উকিলেরা আপনাকে শুধু সেসব ‘ফ্যাক্ট’ জানাবেন, যা তাদের দাবিকেই যুক্তিযুক্ত করে তোলে। কিন্তু এই আশায় এর সাথে ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস নেটওয়ার্কের তৈরী একটি ফ্যাক্টশিট সংযোজন করছি যে, আপনি এক নজর তা দেখবেন এবং দেখবেন এর একটি ‘উল্টো পিঠ’ও আছে। আমাকে বলা হয়েছে, আপনি একজন মেধাবী আইনজীবী ছিলেন। হার্ভার্ডে আপনি ছিলেন আপনার সহপাঠীদের শীর্ষে। অতএব আমার আশা, আপনি কল্পকাহিনী থেকে সত্য বের করে নিয়ে আসতে পারবেন।
মি. প্রেসিডেন্ট, অপহরণের পর আমার মেয়েকে এই কয়েক বছর ধরে জোর করে তার সন্তানদের কাছ থেকে আলাদা করে রাখা, তার ওপর নির্যাতন চালানো, গুলি চালানো, মারধর করা, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা এবং বিবস্ত্র করার ভাবনায় আমার হৃদয় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এমনকি, এখনো তার ডিটেনশন ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাধারণ সৌজন্যবোধও মানা হচ্ছে না। বুলেটের ক্ষতস্থান থেকে চুঁইয়ে পড়া রক্ত নিয়ে নিউ ইয়র্কে পৌঁছার পর এক মাস তাকে কোনো চিকিৎসা দেয়া হয়নি। তার আটককারীরা নিউ ইয়র্কে এবং ফোর্টওয়ার্থের কার্সওয়েল মেডিক্যাল ফ্যাসিলিটিতে আইনজীবীদের সাথে সহায়তা করতে হুমকি অব্যাহত রাখে, যাতে তা করলে তাকে শাস্তি দেয়া যায়। তাকে এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলা হয়, যেখানে নির্মম প্রতিশোধের ভয়ে পরিবারের সাথে দেখা করতেও সে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল। ইতোমধ্যে তীব্র যন্ত্রণায় পার হয়ে গেছে তার ১২টি বছর- পাঁচ বছরের গোপন বন্দিত্ব জীবন এবং প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন সাত বছরের বন্দিত্ব।
সতের বছর বয়সে আমার মেয়েকে আপনার দেশে পাঠিয়েছিলাম, যাতে এমন শিক্ষা গ্রহণ করে যা বিশ্বের আর কোথাও সম্ভব হতো না। তাকে সেই মূল্যবোধ শিখিয়েছিলাম- দয়ালু হতে ও ন্যায়বিচারের পক্ষে কাজ করতে; প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং অসহায় মানুষকে সহায়তা দিতে। আমার মেয়েকে সেটাই শিখিয়েছিলাম, যা আমেরিকার অবস্থান। কিন্তু আমি অবাক হই, আপনারা যখন সে মূল্যবোধ ভুলে যান। যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া তার সন্তানেরা প্রশ্ন করে- কেন তাদের অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়েছিল? কেন এদের দেশ এদের ওপর এমন আচরণ করল? আপনি কি এর জবাব দিতে পারেন?
আফিয়া শান্তি ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সে সন্ত্রাসী নয়। তার শিক্ষা এবং তার সন্তানের প্রতি আগ্রহসূত্রে সে হতে পারত বিশ্বের অন্ধকারতম কোনো কোণোর একটি মেধাবী আলো। শৈশবের প্রথমাবস্থায় শিক্ষার্জনের ওপর তার গবেষণা সবখানে লাখ লাখ শিশুর জন্য সহায়ক হতে পারত। আমার কন্যা হতে পারত একটি বিশ্বসম্পদ, যে বিশ্বে তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি দরকার।
আমি আপনার কাছে আর্জি জানাই, আপনার প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা ব্যবহার করে আমাদের এই সময়ের সবচেয়ে গুরুতর অন্যায়-অবিচারের একটিকে অকার্যকর করে দিন। এটা হবে এমন একটি পদক্ষেপ, যা মুসলিম বিশ্বে আপনার জন্য প্রচুর সুনাম বয়ে আনবে; যা লাখ লাখ ডলার খরচ করেও আনা সম্ভব হবে না। আপনার একটি সাধারণ পদক্ষেপ মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানো একজন মায়ের হৃদয় উষ্ণতায় ভরিয়ে দিতে পারে। আর তা ফিরিয়ে আনতে পারে আমেরিকার ক্ষমা ও করুণার উপায়। আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি, এক মুহূর্ত চিন্তা করে দেখুন একজন বাবা হিসেবে, যে এক কন্যাকে ধ্বংস থেকে বাঁচাতে পারে। আপনার গোয়েন্দা সংস্থা যা-ই বলুক, তা বিবেচনায় না নিয়ে আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি- আমার কন্যা কারো জন্য কোনো হুমকি নয়। তাকে ছেড়ে দিলে শুধু আপনিই আরো শক্তিধর ও গৌরবোজ্জ্বল হবেন। কারণ, ক্ষমার প্রাপ্তি দ্বিগুণ। সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-ইসমত সিদ্দিকী
No comments