বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে ব্রিটিশ লেবার পার্টি উদ্বিগ্ন
বাংলাদেশের
গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ সম্পর্কে ব্রিটিশ লেবার পার্টি উদ্বিগ্ন
বলে জানিয়েছে বিএনপি। সেইসাথে ব্রিটিশ লেবার পার্টিকে বিএনপি জানিয়েছে,
গণতন্ত্র না থাকলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে না। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ‘হাউজ
হাউজ অব কমন্স’-এর বিরোধী দল লেবার পার্টির কয়েকজন আইন প্রণেতাসহ ১০
সদস্যের একটি প্রতিনিধি মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা
করতে গেলে তাদের কাছে এই বক্তব্য তুলে ধরে বিএনপি। বৈঠকে গণতান্ত্রিক
পরিবেশ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি ছাড়াও একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের
ব্যাপারও আলোচনায় এসেছে। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল
মঈন খান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গতকাল বিকেলে সফররত ব্রিটিশ লেবার পার্টির ‘লেবার ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের এই প্রতিনিধি দলটির সাথে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে শুরু হওয়া বৈঠকটি শেষ হয় বিকেল সোয়া ৪টায়। বৈঠকে ‘লেবার ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ এর চেয়ারম্যান হওয়ার্ড ডবার ছাড়াও লেবার পার্টির এমপি কেইর স্টার্মার, এমপি স্টিফেন টিমস, এমপি স্টিভ রিড এবং লেবার ফ্রেন্ডস বাংলাদেশ সংগঠনে মহাসচিব মতিন উজ-জামান, ভাইস চেয়ারম্যান নাসিম আলি ও রবার্ট ইভান্স, নির্বাহী সদস্য রবার্ট ল্যাথাম, আব্দুল হাই ও সৈয়দ আবুল বাশার, কোষাধ্যক্ষ ক্রিস ওয়েভার্স ছিলেন। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর ড. মঈন খান বলেন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এখন যারা বিরোধী দলের রয়েছেন তারা লেবার পার্টি। তাদের একটি সংগঠন রয়েছেন- ‘লেবার ফ্রেন্ড অব বাংলাদেশ’। সেই সংগঠনের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আমাদের কাছে দেখা করতে এসেছিলেন। তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছেন। তারা সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তারা বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলতে আমাদের এখানে এসেছেন। আমরা তাদের কথা বলেছি।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যুক্তরাজ্যের বিশেষ ভুমিকা ছিলো। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও বিবিসি তথা বিলাতে যে লেবার পার্টি তারা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিলো। গুরুত্ব ভুমিকা পালন করেছিলেন এই কারণে যে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে মূল উপজীব্য ছিলো গণতন্ত্র। সেই কারণে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র সর্ম্পকে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের আগ্রহ। এটা খুবই স্বাভাবিক।
বৈঠকে উন্নয়নের কথাও উঠেছে। আমরা তাদের স্পষ্ট করে বলেছি- গণতন্ত্র বাদ দিয়ে শুধু বাংলাদেশের নয়, তৃতীয় বিশ্বের কোথাও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না আজকের পশ্চিমা বিশ্বও বিশেষ করে বৃটেন তারা যেমন উন্নয়নের শেখরে আজকে আছে, তার পেছনে যে সত্যটি কাজ করেছে, সেটা হচ্ছে এই তারা নিজেদের দেশে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এবং মানুষের অধিকার তারা রক্ষা করেছে। বিষয়গুলো আমরা জোর দিয়ে বলেছি আজকে বাংলাদেশের বেলায় এসব প্রযোজ্য হচ্ছে না।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে বিএনপি নেতা মঈন খান বলেন, আমরা এ কথাটিও জোর দিয়ে বলেছি, আমরা একাত্তর সালে যে আর্দশের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, তখন ব্রিটেন আমাদের প্রবলভাবে সহায়তা করেছিলো। সেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ যদি এখানে আজকে বিদ্যমান না থাকে, তাহলে আমরা কী জন্য তারা সাহায্য করেছিলো। সম্প্রতি আপনারা দেখতে পেয়েছেন- ভারতের প্রথিতযশা সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার তিনিও একই কথা বলেছেন।
১৯৭১ সালে যে মূল্যবোধের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিলো, সেই মূল্যবোধগুলো আজ বাংলাদেশে নেই, সেগুলোকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। একথাটি আজকে বিশ্বের অনেকে দেশই জোর দিয়ে বলছে যে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় স্বাধীন দেশ হিসেবে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারি, তাহলে এই স্বাধীনতা কিন্তু সত্যিকার অর্থে গণমানুষের জন্য অর্থবহ হবে না।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বিষয়গুলো আমরা বার বার আলোচনা করছি, বার বার আলোচনায় আসছে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগুলো আমাদের দেশে আসছেন, তারা বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় বিরোধীদল হিসেবে আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, তখন গণতন্ত্রের বিষয়গুলো নিয়ে তারা প্রশ্ন করছেন।
দেশে বিভিন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, সাম্প্রতিককালে যেসব নির্বাচন হয়েছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশ, উপজেলা, পৌর সভা নির্বাচন ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এসব সম্বন্ধে এবং নির্বাচন কমিশনের কী ভুমিকা আলোচনায় উঠে এসেছে। নির্বাচন কমিশনের সহায়তা প্রকল্প থেকে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সহযোহিতার হাত যেভাবে বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবে তুলে নিয়েছে- এই বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে। কারণ যুক্তরাজ্যও ইউরোপীয় ইউনিয়নের শক্তিশালী সদস্য। শুধু তাই নয়, আজকে ব্রিটিশ লেবার পার্টি পার্লামেন্টের বিরোধী দলে আছে। তারা বিরোধী দলে আছে বলেই কিন্তু তারা এর গুরুত্ব আরো বেশি করে উপলব্ধি করছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি।
কীভাবে দেশের পরিস্থিতি উত্তরণ ঘটানো যায়? এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইতিহাসের সামনে দিকে তাকাতে চাই। আমরা বলেছি, এটা করতে হলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নতুন করে শুরু করতে হবে। এখানে গণতান্ত্রিক কার্যক্রম নতুন করে পরিচালিত হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আজকে গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারে সরকারি দল ও বিরোধী দল মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আমরা আমাদের দ্বন্দ্ব যেন নিরসন করতে পারি। মূল উদ্দেশ্য হবে এদেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। সেখানে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক মতামত দিতে পারবে এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতে একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার এদেশে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে।
লেবার পার্টির প্রতিনিধি দলটি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার কথা ছিলো বলে গণমাধ্যমকে আগেই জানানো হয়েছে। কিন্তু সেই সাক্ষাতটি না হয়ে কেনো বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে হয়েছে, প্রশ্ন করা হলে মঈন খান বলেন, তারা (লেবার পার্টি) একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। আমরা একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। বিএনপির প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে আমরা সবাই কথা বলেছি। এখানে বৈঠকে কারা উপস্থিত থাকবেন, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে কারা উপস্থিত থাকবেন তা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াই ঠিক করে দিয়েছেন।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গতকাল বিকেলে সফররত ব্রিটিশ লেবার পার্টির ‘লেবার ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের এই প্রতিনিধি দলটির সাথে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে শুরু হওয়া বৈঠকটি শেষ হয় বিকেল সোয়া ৪টায়। বৈঠকে ‘লেবার ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ এর চেয়ারম্যান হওয়ার্ড ডবার ছাড়াও লেবার পার্টির এমপি কেইর স্টার্মার, এমপি স্টিফেন টিমস, এমপি স্টিভ রিড এবং লেবার ফ্রেন্ডস বাংলাদেশ সংগঠনে মহাসচিব মতিন উজ-জামান, ভাইস চেয়ারম্যান নাসিম আলি ও রবার্ট ইভান্স, নির্বাহী সদস্য রবার্ট ল্যাথাম, আব্দুল হাই ও সৈয়দ আবুল বাশার, কোষাধ্যক্ষ ক্রিস ওয়েভার্স ছিলেন। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর ড. মঈন খান বলেন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এখন যারা বিরোধী দলের রয়েছেন তারা লেবার পার্টি। তাদের একটি সংগঠন রয়েছেন- ‘লেবার ফ্রেন্ড অব বাংলাদেশ’। সেই সংগঠনের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আমাদের কাছে দেখা করতে এসেছিলেন। তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছেন। তারা সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তারা বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলতে আমাদের এখানে এসেছেন। আমরা তাদের কথা বলেছি।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যুক্তরাজ্যের বিশেষ ভুমিকা ছিলো। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও বিবিসি তথা বিলাতে যে লেবার পার্টি তারা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিলো। গুরুত্ব ভুমিকা পালন করেছিলেন এই কারণে যে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে মূল উপজীব্য ছিলো গণতন্ত্র। সেই কারণে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র সর্ম্পকে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের আগ্রহ। এটা খুবই স্বাভাবিক।
বৈঠকে উন্নয়নের কথাও উঠেছে। আমরা তাদের স্পষ্ট করে বলেছি- গণতন্ত্র বাদ দিয়ে শুধু বাংলাদেশের নয়, তৃতীয় বিশ্বের কোথাও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না আজকের পশ্চিমা বিশ্বও বিশেষ করে বৃটেন তারা যেমন উন্নয়নের শেখরে আজকে আছে, তার পেছনে যে সত্যটি কাজ করেছে, সেটা হচ্ছে এই তারা নিজেদের দেশে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এবং মানুষের অধিকার তারা রক্ষা করেছে। বিষয়গুলো আমরা জোর দিয়ে বলেছি আজকে বাংলাদেশের বেলায় এসব প্রযোজ্য হচ্ছে না।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে বিএনপি নেতা মঈন খান বলেন, আমরা এ কথাটিও জোর দিয়ে বলেছি, আমরা একাত্তর সালে যে আর্দশের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, তখন ব্রিটেন আমাদের প্রবলভাবে সহায়তা করেছিলো। সেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ যদি এখানে আজকে বিদ্যমান না থাকে, তাহলে আমরা কী জন্য তারা সাহায্য করেছিলো। সম্প্রতি আপনারা দেখতে পেয়েছেন- ভারতের প্রথিতযশা সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার তিনিও একই কথা বলেছেন।
১৯৭১ সালে যে মূল্যবোধের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিলো, সেই মূল্যবোধগুলো আজ বাংলাদেশে নেই, সেগুলোকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। একথাটি আজকে বিশ্বের অনেকে দেশই জোর দিয়ে বলছে যে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় স্বাধীন দেশ হিসেবে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারি, তাহলে এই স্বাধীনতা কিন্তু সত্যিকার অর্থে গণমানুষের জন্য অর্থবহ হবে না।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বিষয়গুলো আমরা বার বার আলোচনা করছি, বার বার আলোচনায় আসছে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগুলো আমাদের দেশে আসছেন, তারা বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় বিরোধীদল হিসেবে আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, তখন গণতন্ত্রের বিষয়গুলো নিয়ে তারা প্রশ্ন করছেন।
দেশে বিভিন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, সাম্প্রতিককালে যেসব নির্বাচন হয়েছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশ, উপজেলা, পৌর সভা নির্বাচন ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এসব সম্বন্ধে এবং নির্বাচন কমিশনের কী ভুমিকা আলোচনায় উঠে এসেছে। নির্বাচন কমিশনের সহায়তা প্রকল্প থেকে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সহযোহিতার হাত যেভাবে বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবে তুলে নিয়েছে- এই বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে। কারণ যুক্তরাজ্যও ইউরোপীয় ইউনিয়নের শক্তিশালী সদস্য। শুধু তাই নয়, আজকে ব্রিটিশ লেবার পার্টি পার্লামেন্টের বিরোধী দলে আছে। তারা বিরোধী দলে আছে বলেই কিন্তু তারা এর গুরুত্ব আরো বেশি করে উপলব্ধি করছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি।
কীভাবে দেশের পরিস্থিতি উত্তরণ ঘটানো যায়? এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইতিহাসের সামনে দিকে তাকাতে চাই। আমরা বলেছি, এটা করতে হলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নতুন করে শুরু করতে হবে। এখানে গণতান্ত্রিক কার্যক্রম নতুন করে পরিচালিত হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আজকে গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারে সরকারি দল ও বিরোধী দল মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আমরা আমাদের দ্বন্দ্ব যেন নিরসন করতে পারি। মূল উদ্দেশ্য হবে এদেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। সেখানে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক মতামত দিতে পারবে এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতে একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার এদেশে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে।
লেবার পার্টির প্রতিনিধি দলটি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার কথা ছিলো বলে গণমাধ্যমকে আগেই জানানো হয়েছে। কিন্তু সেই সাক্ষাতটি না হয়ে কেনো বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে হয়েছে, প্রশ্ন করা হলে মঈন খান বলেন, তারা (লেবার পার্টি) একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। আমরা একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। বিএনপির প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে আমরা সবাই কথা বলেছি। এখানে বৈঠকে কারা উপস্থিত থাকবেন, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে কারা উপস্থিত থাকবেন তা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াই ঠিক করে দিয়েছেন।
No comments