মিলল রহস্যময় কণার খোঁজ
মহাজাগতিক বিস্ফোরণের ফলে যে কসমিক নিউট্রিনো উৎপন্ন হয় তা মুক্তভাবে আলোর চেয়ে দ্রুতগতিতে সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াতে পারে |
আমাদের
পৃথিবীকে ভেদ করে চলে যাচ্ছে রহস্যময় এক কণা। কোনো জালে আটকায় না তেমনই এক
রহস্যময় কণা এটি। সব পদার্থ ভেদ করে চলে যায়। মানুষের শরীরের মধ্য দিয়েও
লাখ লাখ রহস্যময় কণা চলে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা টের পাচ্ছি না। এই কণার নাম
নিউট্রিনো। কিন্তু কোথা থেকে আসছে তা? সম্প্রতি দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত
আইসকিউব নিউট্রিনো অবজারভেটরির গবেষকেরা এই কণার অস্তিত্ব নিশ্চিত করার
পাশাপাশি এর উৎসেরও সন্ধান দিয়েছেন। অ্যান্টার্কটিকার এই অবজারভেটরি ২০১০
সাল থেকে নিউট্রিনো শনাক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
নিউট্রিনো কণাকে রহস্যময় কণা বলা হয় এর বৈশিষ্ট্যের কারণেই। নিউট্রিনো নামের এই ক্ষুদ্র কণা হচ্ছে চার্জ নিরপেক্ষ এবং ইলেকট্রন ও প্রোটনের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্বলভাবে যোগাযোগ করে। বৈদ্যুতিক চার্জবিহীন, দুর্বল সক্রিয় ক্ষুদ্র পারমাণবিক এই কণা পদার্থের মধ্য দিয়ে অবিকৃতভাবে চলাচল করতে পারে।
গবেষকেরা মনে করেন, পরমাণুর চেয়েও ক্ষুদ্রতর এই কণার উৎস-রহস্য সমাধান করা গেলে দূরবর্তী অঞ্চলে সংঘটিত বিভিন্ন মহাজাগতিক ঘটনার (যেমন: নক্ষত্রের বিস্ফোরণ ও কৃষ্ণগহ্বর) ব্যাপারে নতুন নতুন তথ্য জানা সম্ভব হবে।
আলো কিংবা অন্য বৈদ্যুতিক আধানযুক্ত কণার সঙ্গে নিউট্রিনোর পার্থক্য হচ্ছে, এই কণা মহাশূন্যের গভীর থেকে উৎপন্ন হয়ে সারা বিশ্বে পরিভ্রমণ করতে পারে, কোনো বস্তু এই কণা শোষণ করতে পারে না। আমাদের শরীরের ভেতর দিয়েও লাখ লাখ নিউট্রিনো চলে যায়, কিন্তু সাধারণ অবস্থায় এই কণার উপস্থিতি আমরা টের পাই না।
উচ্চশক্তিসম্পন্ন নিউট্রিনোর উৎস কী, আসেই বা কোথা থেকে—সেই রহস্য জানতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসনের উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।
গবেষকেরা বলেন, উচ্চশক্তির নিউট্রিনোর উৎসের ধাঁধা অ্যাস্ট্রোফিজিকস বা জ্যোতির পদার্থবিদ্যার অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে আছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে গবেষকেরা দাবি করেন, মহাজাগতিক একটি উৎস থেকে এই নিউট্রিনো উৎপন্ন হচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রে থাকা কৃষ্ণগহ্বর থেকেও আসতে পারে এই উচ্চ ক্ষমতার নিউট্রিনো।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, আমাদের পৃথিবীতেও প্রতিনিয়ত সূর্য থেকে নিউট্রিনো নামের অতি শক্তিসম্পন্ন কণার বর্ষণ চলছে। আমাদের এই সৌরজগতের বাইরে থেকে আসা নিউট্রিনো আরও কোটি কোটি গুণ বেশি শক্তিসম্পন্ন হতে পারে। এই উচ্চশক্তির নিউট্রিনোর উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছিল গত দুই বছর ধরে।
গবেষকদের ধারণা, উচ্চশক্তির নিউট্রিনো অত্যন্ত শক্তিশালী মহাজাগতিক ঘটনার ফলে তৈরি হতে পারে। ছায়াপথের সংঘর্ষ ও একত্র হওয়া, বিশাল কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে নক্ষত্রের পতন পালসার তৈরির মতো ঘটনায় নিউট্রিনোর জন্ম হতে পারে।
অবশ্য বস্তুর মধ্য দিয়ে খুব সহজে নিউট্রিনো চলে যেতে পারে বলে এর উৎস খুঁজে বের করার শনাক্তকারী যন্ত্র নির্মাণ খুব কঠিন। এবারে অ্যান্টার্কটিকের বরফের গভীরে অবস্থিত আইসকিউব নিউট্রিনো অবজারভেটরির গবেষকেরা কসমিক নিউট্রিনোর অস্তিত্বের খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছেন। ফিজিক্যাল রিভিউ লেটার্স সাময়িকীর ২০ আগস্টের সংখ্যায় এই গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। রহস্যময়-ভৌতিক আর প্রায় ভরশূন্য এই কণাগুলো আমাদের এই ছায়াপথের ভেতর থেকে আসছে বলে মনে করেন তাঁরা।
নিউট্রিনো কণাকে রহস্যময় কণা বলা হয় এর বৈশিষ্ট্যের কারণেই। নিউট্রিনো নামের এই ক্ষুদ্র কণা হচ্ছে চার্জ নিরপেক্ষ এবং ইলেকট্রন ও প্রোটনের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্বলভাবে যোগাযোগ করে। বৈদ্যুতিক চার্জবিহীন, দুর্বল সক্রিয় ক্ষুদ্র পারমাণবিক এই কণা পদার্থের মধ্য দিয়ে অবিকৃতভাবে চলাচল করতে পারে।
গবেষকেরা মনে করেন, পরমাণুর চেয়েও ক্ষুদ্রতর এই কণার উৎস-রহস্য সমাধান করা গেলে দূরবর্তী অঞ্চলে সংঘটিত বিভিন্ন মহাজাগতিক ঘটনার (যেমন: নক্ষত্রের বিস্ফোরণ ও কৃষ্ণগহ্বর) ব্যাপারে নতুন নতুন তথ্য জানা সম্ভব হবে।
আলো কিংবা অন্য বৈদ্যুতিক আধানযুক্ত কণার সঙ্গে নিউট্রিনোর পার্থক্য হচ্ছে, এই কণা মহাশূন্যের গভীর থেকে উৎপন্ন হয়ে সারা বিশ্বে পরিভ্রমণ করতে পারে, কোনো বস্তু এই কণা শোষণ করতে পারে না। আমাদের শরীরের ভেতর দিয়েও লাখ লাখ নিউট্রিনো চলে যায়, কিন্তু সাধারণ অবস্থায় এই কণার উপস্থিতি আমরা টের পাই না।
উচ্চশক্তিসম্পন্ন নিউট্রিনোর উৎস কী, আসেই বা কোথা থেকে—সেই রহস্য জানতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসনের উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।
গবেষকেরা বলেন, উচ্চশক্তির নিউট্রিনোর উৎসের ধাঁধা অ্যাস্ট্রোফিজিকস বা জ্যোতির পদার্থবিদ্যার অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে আছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে গবেষকেরা দাবি করেন, মহাজাগতিক একটি উৎস থেকে এই নিউট্রিনো উৎপন্ন হচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রে থাকা কৃষ্ণগহ্বর থেকেও আসতে পারে এই উচ্চ ক্ষমতার নিউট্রিনো।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, আমাদের পৃথিবীতেও প্রতিনিয়ত সূর্য থেকে নিউট্রিনো নামের অতি শক্তিসম্পন্ন কণার বর্ষণ চলছে। আমাদের এই সৌরজগতের বাইরে থেকে আসা নিউট্রিনো আরও কোটি কোটি গুণ বেশি শক্তিসম্পন্ন হতে পারে। এই উচ্চশক্তির নিউট্রিনোর উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছিল গত দুই বছর ধরে।
গবেষকদের ধারণা, উচ্চশক্তির নিউট্রিনো অত্যন্ত শক্তিশালী মহাজাগতিক ঘটনার ফলে তৈরি হতে পারে। ছায়াপথের সংঘর্ষ ও একত্র হওয়া, বিশাল কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে নক্ষত্রের পতন পালসার তৈরির মতো ঘটনায় নিউট্রিনোর জন্ম হতে পারে।
অবশ্য বস্তুর মধ্য দিয়ে খুব সহজে নিউট্রিনো চলে যেতে পারে বলে এর উৎস খুঁজে বের করার শনাক্তকারী যন্ত্র নির্মাণ খুব কঠিন। এবারে অ্যান্টার্কটিকের বরফের গভীরে অবস্থিত আইসকিউব নিউট্রিনো অবজারভেটরির গবেষকেরা কসমিক নিউট্রিনোর অস্তিত্বের খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছেন। ফিজিক্যাল রিভিউ লেটার্স সাময়িকীর ২০ আগস্টের সংখ্যায় এই গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। রহস্যময়-ভৌতিক আর প্রায় ভরশূন্য এই কণাগুলো আমাদের এই ছায়াপথের ভেতর থেকে আসছে বলে মনে করেন তাঁরা।
No comments