বিদায়ের আগে বেপরোয়া আচরণ করছে সরকার : হান্নান শাহ
ক্ষমতাসীন
আওয়ামী লীগ বিদায়ের লক্ষণ শুরু হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির
সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ। আজ শনিবার এক সভায়
তিনি বলেন, সরকারের যখন পতন আসন্ন হয়, তখন তারা বেপয়োরা হয়ে যায়।
ক্রসফায়ারের মাধ্যমে সরকার নিজ দলের নেতাকর্মীসহ যেভাবে মানুষ হত্যা করছে,
তাতে তাদের বিদায়ের লক্ষণ শুরু হয়েছে। রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স
ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির সংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৫তম
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে
আ স ম হান্নান শাহ বলেন, বিদায়ের সময় অনেকে অনেক কিছু বলে। বর্তমান সরকার
সেসব কথা বলা শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ বিদায়ের দোয়া চাওয়া শুরু করেছে। জনগণ
তাদের বিদায় দেবে সে সময় বেশি দূরে নেই।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিচার বিভাগের বাইরে গিয়ে আপনারা মানুষকে হত্যা করছেন। এই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিএনপি সমর্থন করে না। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে পাকিস্তানে যেমন ভুট্টোর ফাঁসি হয়েছে, বর্তমান ক্ষমতাসীনদের একই অবস্থা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি সাপেক্ষে আপনারা এখানে অনুষ্ঠান করতে পারছেন। তবে আমি আশা করি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যদি সঠিক সময় আন্দোলনের ডাক দেন এবং আপনারা যদি ওই আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন তাহলে আগামী ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মুক্তভাবে পালন করতে পারবেন।
বিরোধী দল ও সুশীল সমাজকে সরকার সভা সমাবেশ করতে দেয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকার সংবিধান ও আইন মানছে না। সংবিধানে আছে সবাই সভা-সমাবেশ করতে পারবে। সরকার প্রধান জনগণের সামনে আসতে ভয় পায়। ভয় পেয়ে সরকার দেখামাত্র গুলি করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে।
হান্নান শাহ বলেন, ঢাকা মহানগরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন। এই স্বেচ্ছাসেবকই হবে আগামী আন্দোলনে বিএনপির রক্ষা কবচ।
ঢাকা মহানগর আন্দোলনের যুদ্ধক্ষেত্র উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, যে সংগঠন মহানগরে শক্তিশালী হবে, তারা বিজয়ী হবে। প্রবীণরা রাজপথে কম নামেন, তারা আন্দোলন পরিচালনা করেন। তাই তরুণদেরকেই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
আওয়ামী লীগের কোনো শোক দিবস নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) শোক দিবস সঠিকভাবে পালন করে না। শোকদিবস করার আগে মন্ত্রিসভায় এবার তারা চাঁদাবাজি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে প্রমানিত এর আগে তারা চাঁদাবাজি করেছে।
বিরোধী নেতাকর্মীকে কারান্তরিত প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গণতন্ত্র চাওয়ার অপরাধে শত শত নেতাকর্মীকে আটকে রাখা হয়েছে। তাই বলে আমাদের মনোবল ভাঙেনি। নেত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন দলকে শক্তিশালী করতে হবে। সেই লক্ষ্যে সামনে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। বন্দুকের জোরে সরকার বেশিদিন টিকতে পারবে না। গণমানুষের আন্দোলনের মুখে এই সরকারের পতন হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মামলা ও ফেরারি থাকায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভাতে হাজির থাকতে পারেননি দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবুসহ অনেক নেতাকর্মী।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মনিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির মুখপাত্র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিচার বিভাগের বাইরে গিয়ে আপনারা মানুষকে হত্যা করছেন। এই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিএনপি সমর্থন করে না। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে পাকিস্তানে যেমন ভুট্টোর ফাঁসি হয়েছে, বর্তমান ক্ষমতাসীনদের একই অবস্থা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি সাপেক্ষে আপনারা এখানে অনুষ্ঠান করতে পারছেন। তবে আমি আশা করি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যদি সঠিক সময় আন্দোলনের ডাক দেন এবং আপনারা যদি ওই আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন তাহলে আগামী ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মুক্তভাবে পালন করতে পারবেন।
বিরোধী দল ও সুশীল সমাজকে সরকার সভা সমাবেশ করতে দেয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকার সংবিধান ও আইন মানছে না। সংবিধানে আছে সবাই সভা-সমাবেশ করতে পারবে। সরকার প্রধান জনগণের সামনে আসতে ভয় পায়। ভয় পেয়ে সরকার দেখামাত্র গুলি করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে।
হান্নান শাহ বলেন, ঢাকা মহানগরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন। এই স্বেচ্ছাসেবকই হবে আগামী আন্দোলনে বিএনপির রক্ষা কবচ।
ঢাকা মহানগর আন্দোলনের যুদ্ধক্ষেত্র উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, যে সংগঠন মহানগরে শক্তিশালী হবে, তারা বিজয়ী হবে। প্রবীণরা রাজপথে কম নামেন, তারা আন্দোলন পরিচালনা করেন। তাই তরুণদেরকেই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
আওয়ামী লীগের কোনো শোক দিবস নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) শোক দিবস সঠিকভাবে পালন করে না। শোকদিবস করার আগে মন্ত্রিসভায় এবার তারা চাঁদাবাজি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে প্রমানিত এর আগে তারা চাঁদাবাজি করেছে।
বিরোধী নেতাকর্মীকে কারান্তরিত প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গণতন্ত্র চাওয়ার অপরাধে শত শত নেতাকর্মীকে আটকে রাখা হয়েছে। তাই বলে আমাদের মনোবল ভাঙেনি। নেত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন দলকে শক্তিশালী করতে হবে। সেই লক্ষ্যে সামনে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। বন্দুকের জোরে সরকার বেশিদিন টিকতে পারবে না। গণমানুষের আন্দোলনের মুখে এই সরকারের পতন হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মামলা ও ফেরারি থাকায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভাতে হাজির থাকতে পারেননি দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবুসহ অনেক নেতাকর্মী।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মনিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির মুখপাত্র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।
No comments