সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি: টিআইবি
তিন
সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছে
দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল
বাংলাদেশ (টিআইবি)। নির্বাচনে সেনা মোতায়নে দোদুল্যমনতা, প্রার্থীদের
আচরণবিধি লঙ্ঘণে সমানভাবে পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা, ভোট জালিয়াতি, কারচুপি
এবং ভোট কেন্দ্র দখলে সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না
পারায় নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ি করেছে সংস্থাটি। এক সংবাদ
সম্মেলনে সংস্থাটি দাবি করেছে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে সাংবিধানিক
দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ও
সংসদ সদস্যদের প্রভাব বিস্তারের কারণে সামগ্রিকভাবে তিনটি সিটি কর্পোরেশন
নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠুৃ ও নিরপেক্ষ বলা যায় না। আজ সকালে সংস্থার
ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে ‘ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি
কর্পোরেশন নির্বাচন ২০১৫: প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এক গবেষণা
প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিকাংশ প্রার্থীর
বিভিন্ন আচরণবিধি লঙ্ঘণ, প্রার্থী কর্তৃক অনুমোদিত সীমার তিনগুণের বেশী
ব্যয় এবং নির্বাচন কমিশনের দৃঢ় ভূমিকার অভাব ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর
পক্ষপাতিত্বে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী একটি প্রার্থীর নির্বাচনে প্রতিযোগিতার
মনোভাবের ঘাটতির কারণে গত ২৮শে এপ্রিল সমাপ্ত তিনটি সিটি কর্পোরেশন
নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আইনে নির্দলীয় নির্বাচনের কথা বলা হলেও বাস্তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এই দ্বৈততার কারণেই নির্বাচনে নানা অনিয়ম দেখা যায়। এক্ষেত্রে নির্বাচনী আইনটি পরিবর্তন করে দলীয় করা যেত পারে, যাতে দলীয় প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়ন না পায়। এতে আর্থিক অনাচার ও অনিয়মের সুযোগ কমে আসবে। এছাড়া এই নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদ ছাড়া সাধারণ আসনে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল না, যা অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রবর্তনের দাবি জানান।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি। কোন কোন ক্ষেত্রে অনুমোদিত নির্বাচনী ব্যয়ের তুলনায় সাত, এগারো বা একুশ গুণ বেশি অর্থ ব্যয়িত হয়েছে। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘণ করে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আইনে নির্দলীয় নির্বাচনের কথা বলা হলেও বাস্তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এই দ্বৈততার কারণেই নির্বাচনে নানা অনিয়ম দেখা যায়। এক্ষেত্রে নির্বাচনী আইনটি পরিবর্তন করে দলীয় করা যেত পারে, যাতে দলীয় প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়ন না পায়। এতে আর্থিক অনাচার ও অনিয়মের সুযোগ কমে আসবে। এছাড়া এই নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদ ছাড়া সাধারণ আসনে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল না, যা অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রবর্তনের দাবি জানান।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি। কোন কোন ক্ষেত্রে অনুমোদিত নির্বাচনী ব্যয়ের তুলনায় সাত, এগারো বা একুশ গুণ বেশি অর্থ ব্যয়িত হয়েছে। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘণ করে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
No comments