ধলাই নদের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে দুই গ্রামের ঘরবাড়ি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের চৈতন্যগঞ্জ গ্রামের রবিদাস সম্প্রদায়ের এই ঘরটি ধলাই নদের ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। ছবিটি গত শুক্রবার তোলা l প্রথম আলো |
মৌলভীবাজারের
কমলগঞ্জে ধলাই নদের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে চৈতন্যগঞ্জ ও উবাহাটা গ্রামের অনেক
বসতবাড়ি। এ ছাড়া ভাঙনে নদের পাড়ের অনেক পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদে পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন শুরু হলে সরকারের পক্ষ থেকে চৈতন্যগঞ্জের নদের প্রতিরক্ষা বাঁধ সংস্কারে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুম চলে গেলে তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয় না।
গত শুক্রবার (১৫ মে) সরেজমিন দেখা যায়, সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় নদের পাড়ের কাছাকাছি অনেক পরিবারের বসবাস। ভাঙনে নদের পাড় ধীরে ধীরে বিলীন হচ্ছে। ফলে বেশ কয়েকটি বসতঘর নদগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
মুক্তিযোদ্ধা নিরঞ্জন কুমার দাশসহ সমেরন্দ্র দাস, নুরুল হোসেন, রেনু মিয়া, সেলিম মিয়াদের বসতঘরের আংশিক ইতিমধ্যে নদগর্ভে বিলীন হয়েছে। তিনিসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ধলাই নদের কারণে তাঁরা এখন অসহায়। বন্যা মৌসুমের আগে ধলাই নদের বাঁধ মেরামতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। চৈতন্যগঞ্জ গ্রামের ধলাই নদের তীরবর্তী মানুষ আতঙ্কে রাতে ঘুমাতে পারেন না। এ ছাড়া চৈতন্যগঞ্জসংলগ্ন পাশের মুন্সীবাজার ইউনিয়নের উবাহাটা গ্রামের ৮-১০টি পরিবারের বসতঘর নদগর্ভে বিলীন হতে চলেছে।
চৈতন্যগঞ্জের হতদরিদ্র মিঠাই রবিদাস, জগন্নাথ রবিদাস, কান্ত রবিদাস, শিপুর রবিদাস, বলরাম রবিদাস, হিরালাল রবিদাস ও সাদারীর রবিদাস জানান, তাঁরা ধলাই নদের তীরে বসবাস করেন। বাঁধ ভাঙতে ভাঙতে নদ তাঁদের ঘরের কাছে এসে গেছে। যেকোনো সময় নদগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে তাঁদের বসতঘর। তখন আর মাথা গোঁজার গোজার ঠাঁই থাকবে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইসরাইল মিয়া জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মাটি কাটিয়ে বাঁধের আংশিক মেরামত করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বরাদ্দ কম বলে সেই বরাদ্দে চৈতন্যগঞ্জ গ্রাম এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামত করা যাচ্ছে না।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান ও কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা জানান, একটি প্রকল্প গ্রহণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) দেওয়া হয়েছে। পাউবো এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে ভাঙন রোধসহ চৈতন্যগঞ্জ, উবাহাটা, নারায়ণপুর গ্রামসহ কমলগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা ভাঙনমুক্ত হবে।
পাউবো মৌলভীবাজারের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুল মন্নান বলেন, কমলগঞ্জে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ সংস্কারে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কোনো তহবিল নেই বলে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদে পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন শুরু হলে সরকারের পক্ষ থেকে চৈতন্যগঞ্জের নদের প্রতিরক্ষা বাঁধ সংস্কারে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুম চলে গেলে তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয় না।
গত শুক্রবার (১৫ মে) সরেজমিন দেখা যায়, সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় নদের পাড়ের কাছাকাছি অনেক পরিবারের বসবাস। ভাঙনে নদের পাড় ধীরে ধীরে বিলীন হচ্ছে। ফলে বেশ কয়েকটি বসতঘর নদগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
মুক্তিযোদ্ধা নিরঞ্জন কুমার দাশসহ সমেরন্দ্র দাস, নুরুল হোসেন, রেনু মিয়া, সেলিম মিয়াদের বসতঘরের আংশিক ইতিমধ্যে নদগর্ভে বিলীন হয়েছে। তিনিসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ধলাই নদের কারণে তাঁরা এখন অসহায়। বন্যা মৌসুমের আগে ধলাই নদের বাঁধ মেরামতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। চৈতন্যগঞ্জ গ্রামের ধলাই নদের তীরবর্তী মানুষ আতঙ্কে রাতে ঘুমাতে পারেন না। এ ছাড়া চৈতন্যগঞ্জসংলগ্ন পাশের মুন্সীবাজার ইউনিয়নের উবাহাটা গ্রামের ৮-১০টি পরিবারের বসতঘর নদগর্ভে বিলীন হতে চলেছে।
চৈতন্যগঞ্জের হতদরিদ্র মিঠাই রবিদাস, জগন্নাথ রবিদাস, কান্ত রবিদাস, শিপুর রবিদাস, বলরাম রবিদাস, হিরালাল রবিদাস ও সাদারীর রবিদাস জানান, তাঁরা ধলাই নদের তীরে বসবাস করেন। বাঁধ ভাঙতে ভাঙতে নদ তাঁদের ঘরের কাছে এসে গেছে। যেকোনো সময় নদগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে তাঁদের বসতঘর। তখন আর মাথা গোঁজার গোজার ঠাঁই থাকবে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইসরাইল মিয়া জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মাটি কাটিয়ে বাঁধের আংশিক মেরামত করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বরাদ্দ কম বলে সেই বরাদ্দে চৈতন্যগঞ্জ গ্রাম এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামত করা যাচ্ছে না।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান ও কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা জানান, একটি প্রকল্প গ্রহণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) দেওয়া হয়েছে। পাউবো এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে ভাঙন রোধসহ চৈতন্যগঞ্জ, উবাহাটা, নারায়ণপুর গ্রামসহ কমলগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা ভাঙনমুক্ত হবে।
পাউবো মৌলভীবাজারের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুল মন্নান বলেন, কমলগঞ্জে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ সংস্কারে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কোনো তহবিল নেই বলে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
No comments