তৃতীয় কোন দেশে সালাহউদ্দিনের চিকিৎসা করাতে চান হাসিনা আহমেদ
দীর্ঘ
প্রায় আড়াই মাস পর স্বামী সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তার
স্ত্রী ও সাবেক এমপি হাসিনা আহমেদ। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোনের স্বামী
মাহবুবুল কবির ও বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি।
সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। অসুস্থ্য সালাউদ্দিন স্ত্রীকে দেখেই আবেগ্লাপুত হয়ে পড়েন। এসময় স্ত্রী হাসিনাও স্বামীর সান্নিধ্য পেয়ে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। তারা কিছুক্ষণ কথা বলেন। সালাউদ্দিন দ্রুত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থাা করতে স্ত্রীকে পরামর্শ দেন।
স্বামীর সাথে সাক্ষাত শেষে হাসিনা আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে স্বামীকে আশ্রয় দেয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, তৃতীয় কোন দেশে চিকিৎসার জন্য তিনি আইনজীবিদের সাথে কথা বলবেন।
এর আগে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে সোমবার দুপুরে শিলংয়ে পৌঁছেন সালাহ উদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
রোববার বিকালে ভারতের ভিসা হাতে পেয়ে রাতেই কলকাতার উদ্দেশে বিমানে ঢাকা ছাড়েন সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। রাত পৌনে ৯টায় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে তিনি শিলংয়ের পথে কলকাতায় পাড়ি জমান। রাতে তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। যুগান্তরের কলকাতা প্রতিনিধি জানান, আজ স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে তিনি বিমানে গৌহাটি যান। সেখান থেকে সড়কপথে শিলংয়ে পৌঁছান।
হাসিনা আহমেদের সঙ্গে রয়েছেন সালাহ উদ্দিনের বোন জামাই মাহবুবুল কবির মুনমুন। রোববার রাত ৮টা ৫ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন তারা। প্রথমে সড়কপথে যাওয়ার প্রস্ততি থাকলেও শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতার কারণে বিমানপথে শিলং যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দুই মাসের বেশি সময় নিখোঁজ থাকার পর সোমবার ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে সন্ধান মেলে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের। পরের দিন সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। অসুস্থ্য সালাউদ্দিন স্ত্রীকে দেখেই আবেগ্লাপুত হয়ে পড়েন। এসময় স্ত্রী হাসিনাও স্বামীর সান্নিধ্য পেয়ে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। তারা কিছুক্ষণ কথা বলেন। সালাউদ্দিন দ্রুত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থাা করতে স্ত্রীকে পরামর্শ দেন।
স্বামীর সাথে সাক্ষাত শেষে হাসিনা আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে স্বামীকে আশ্রয় দেয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, তৃতীয় কোন দেশে চিকিৎসার জন্য তিনি আইনজীবিদের সাথে কথা বলবেন।
এর আগে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে সোমবার দুপুরে শিলংয়ে পৌঁছেন সালাহ উদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
রোববার বিকালে ভারতের ভিসা হাতে পেয়ে রাতেই কলকাতার উদ্দেশে বিমানে ঢাকা ছাড়েন সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। রাত পৌনে ৯টায় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে তিনি শিলংয়ের পথে কলকাতায় পাড়ি জমান। রাতে তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। যুগান্তরের কলকাতা প্রতিনিধি জানান, আজ স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে তিনি বিমানে গৌহাটি যান। সেখান থেকে সড়কপথে শিলংয়ে পৌঁছান।
হাসিনা আহমেদের সঙ্গে রয়েছেন সালাহ উদ্দিনের বোন জামাই মাহবুবুল কবির মুনমুন। রোববার রাত ৮টা ৫ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন তারা। প্রথমে সড়কপথে যাওয়ার প্রস্ততি থাকলেও শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতার কারণে বিমানপথে শিলং যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দুই মাসের বেশি সময় নিখোঁজ থাকার পর সোমবার ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে সন্ধান মেলে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের। পরের দিন সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
স্বামীকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন হাসিনা আহমেদ
দুই
মাস ১৫ দিন পর স্বামী সালাহউদ্দিন আহমেদকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন
তার স্ত্রী ও সাবেক এমপি হাসিনা আহমেদ। রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে শিলংয়ের
সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। ১০ মিনিট পর
তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন। সাক্ষাতের সময় হাসিনা আহমেদের ছোট বোনের
স্বামী মাহবুবুল কবির ও বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনিসহ কয়েকজন
স্বজন উপস্থিত ছিলেন। হাসিনা আহমেদের কান্না দেখে তারাও আপ্লুত হয়ে পড়েন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে হাসিনা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, এদেশের কর্তৃপক্ষ
সালাহউদ্দিন আহমেদের প্রতি যে ব্যবহার করছে আমরা তার জন্য কতৃজ্ঞতা জানাই।
সালাহউদ্দিন আহমেদের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তার আরও উন্নত চিকিৎসার
প্রয়োজন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আইনি লড়াই চালাবো। মঙ্গলবার
আবারও স্বামীকে দেখতে আসবেন বলে জানান তিনি।
সালাউদ্দিনকে নিয়ে ‘গল্প’ তৈরি হচ্ছে -সুরঞ্জিত
বিএনপি
নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে একের পর এক গল্প তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য
করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেছেন,
কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সালাহ উদ্দিনকেও আইনী জটিলতা অতিক্রম করেই
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরে আসতে হবে। সোমবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী
আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ক এক আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন তিনি। সুরঞ্জিত
বলেন, সালাহউদ্দিনকে নিয়ে একটার পর একটা গল্প তৈরি হচ্ছে। আজকে দেখলাম তার
স্মৃতিভ্রম হয়েছে। যদি স্মৃতিভ্রম হয় তাহলে স্ত্রীর সঙ্গে ১১ মিনিট কীভাবে
কথা বলেছেন? বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তাদেরকেই বলতে হবে তিনি এতোদিন
কোথায় ছিলেন? কার সঙ্গে ছিলেন? যতক্ষণ পর্যন্ত বিএনপি তার অবস্থান সম্পর্কে
কথা না বলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নানা রকমের গুজবের উপর নির্ভর না করে তার
প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে আইনানুগভাবে তিনি দেশে
ফিরে আসবেন এটাই আমাদের কামনা থাকবে। বর্ষবরণের দিন টিএসসিতে নারী লাঞ্চনার
বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, আইজিপি সাহেব এই ঘটনা নিয়ে উনার
মত পরিবর্তন করেছেন। পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন।
No comments