মুক্তিপণ দিয়ে ছেলেকে ছাড়ালেন বাবা, ১ কোটি ৮০ লাখ টাকাসহ পাঁচজন আটক
মুক্তিপণ হিসেবে দেওয়া ২ কোটি টাকার মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। গতকাল র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে টেবিলে ওই টাকা সাজিয়ে রাখা হয় l ছবি: প্রথম আলো |
দুই
কোটি টাকা মুক্তিপণ দিয়ে আট বছর বয়সী অপহৃত ছেলেকে ফিরে পেয়েছেন তৈরি
পোশাক ব্যবসায়ী বাবা। এর ১২ দিন পর গতকাল রোববার অভিযান চালিয়ে ওই অপহরণে
জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে র্যাব। মুক্তিপণের টাকার মধ্যে ১ কোটি
৮০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা উদ্ধারের দাবিও করেছে র্যাব।
আটক পাঁচজন হলো রেজাউল করিম (৩৬), নজরুল ইসলাম (৩২), জহির উদ্দিন মো. বাবর (৩৭), মিজানুর রহমান (৩৪) ও শাহ মো. অলিউল্যা (৩৭)। এঁদের মধ্যে প্রথম তিনজন রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান টিএনজেড গ্রুপের কর্মী। টিএনজেড গ্রুপের মালিক শাহাদাত হোসেনের ছেলে আবিরকেই অপহরণ করেছিল অপহরণকারীরা। বিকেলে র্যাবের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে টেবিলের ওপর ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা সাজিয়ে রাখা হয়। সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, শিশু আবির উত্তরার একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাকে অপহরণের জন্য প্রায় চার মাস ধরে পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও তথ্য সংগ্রহ করেছিল অপহরণকারীরা। এ জন্য পল্লবীতে একটি বাসাও ভাড়া করা হয়। তাঁরা নিয়মিত শিশুটির গতিপথ অনুসরণ করে। যে মাদ্রাসায় শিশুটি পড়ে সেই মাদ্রাসায় পরিচিত একজনের বাচ্চাকে ভর্তিও করে অপহরণকারীরা। এ ছাড়া অপহরণকারীদের সঙ্গে যুক্ত টিএনজেড গ্রুপের তিন কর্মী বিশেষ করে গাড়িচালক রেজাউল নিয়মিত তথ্য দিত। পরে ২ মে শিশুটি গাড়িতে করে মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে বনানী উড়ালসড়কের নিচে অপহরণকারীরা তিনটি গাড়ি নিয়ে ওই গাড়ির গতিরোধ করে। নিজেদের একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে শিশুটি, ওই গাড়ির চালক ও শিশুটির তত্ত্বাবধানকারীকে নিজেদের গাড়িতে তুলে নেয় অপহরণকারীরা। প্রথমে শিশুটিকে তারা আশ্বস্ত করে যে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, অপরাধীদের হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে এসেছে। এরপর শিশুটিকে নিয়ে তারা পল্লবীর ভাড়া বাসায় যায়। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে শিশুটি কাঁদতে থাকে। অপহরণকারীরা শিশুটির বাবাকে ফোন করে তার কান্নার শব্দ শোনায়। শিশুটির মুক্তিপণ হিসেবে ১০ কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। শুরু হয় দর-কষাকষি। ওই রাতেই শিশুটিকে বহনকারী গাড়িটি ৩০০ ফুট (পূর্বাচল) সড়কে গাড়ির চালক ও তত্ত্বাবধানকারীসহ বিমানবন্দর এলাকায় ফেলে রেখে আসে অপহরণকারীরা।
র্যাব জানায়, চার দিন দর-কষাকষির পর দুই কোটি টাকায় রফা হয়। ৬ মে তিনটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা অপহরণকারীদের ব্যাংক হিসেবে স্থানান্তর করেন শাহাদাত হোসেন। ওই দিন সন্ধ্যায় হোটেল র্যাডিসনের সামনে ২৭ লাখ নগদ টাকা নিয়ে নিজেই অপহরণকারীদের দেন তিনি। এরপর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আসা অপহরণকারীরা শিশু আবিরকে তার বাবার কাছে বুঝিয়ে দেয়। ব্যবসায়ী তাঁর সন্তানকে ফিরে পাওয়ার পর অপহরণকারীদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে র্যাব। র্যাব বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব থেকে অপহরণকারীদের টাকা তোলার সুযোগ বন্ধ করে দেয়। তাঁদের আটকের পর মিজানুরকে নিয়ে ব্যাংক থেকে ওই টাকা তোলা হয়।
র্যাবের কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ খান বলেন, শিশুটির ক্ষতি হতে পারে—এই ভেবে তাঁরা শিশুটিকে বুঝে পাওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো ধরনের দৃশ্যমান তৎপরতা চালায়নি। তবে র্যাবের গোয়েন্দা সদস্যরা শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছিলেন। র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, অপহরণের পরপর শিশুটির পরিবার র্যাবকে সহায়তা করতে চায়নি। শেষ পর্যন্ত পরিবার শিশুটিকে বুঝে পাওয়ার পর র্যাব তৎপরতা শুরু করে।
মুফতি মাহমুদ খান জানান, আটক হওয়া টিএনজেড গ্রুপের গাড়িচালক রেজাউল জানায়, আটক মিজানুর তাদের নেতা। বিভিন্ন সময় রেজাউল তার গাড়িতে করে নগদ টাকা আনা-নেওয়া করত। মিজানুর সেই টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরে তাদের মনে হয় যে মালিকের ছেলেকে অপহরণ করলে আরও বেশি টাকা পাওয়া যাবে। সেই ধারণা থেকে তারা পরিকল্পনা শুরু করে। পুরো ঘটনায় ১৪ জনের মতো যুক্ত ছিল। এদের মধ্যে পলাতক মন্টু, কাওসার, শুভ, চন্দন, সজীব ও আবদুল্লাহ পেশাদার অপরাধী।
আটক পাঁচজন হলো রেজাউল করিম (৩৬), নজরুল ইসলাম (৩২), জহির উদ্দিন মো. বাবর (৩৭), মিজানুর রহমান (৩৪) ও শাহ মো. অলিউল্যা (৩৭)। এঁদের মধ্যে প্রথম তিনজন রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান টিএনজেড গ্রুপের কর্মী। টিএনজেড গ্রুপের মালিক শাহাদাত হোসেনের ছেলে আবিরকেই অপহরণ করেছিল অপহরণকারীরা। বিকেলে র্যাবের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে টেবিলের ওপর ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা সাজিয়ে রাখা হয়। সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, শিশু আবির উত্তরার একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাকে অপহরণের জন্য প্রায় চার মাস ধরে পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও তথ্য সংগ্রহ করেছিল অপহরণকারীরা। এ জন্য পল্লবীতে একটি বাসাও ভাড়া করা হয়। তাঁরা নিয়মিত শিশুটির গতিপথ অনুসরণ করে। যে মাদ্রাসায় শিশুটি পড়ে সেই মাদ্রাসায় পরিচিত একজনের বাচ্চাকে ভর্তিও করে অপহরণকারীরা। এ ছাড়া অপহরণকারীদের সঙ্গে যুক্ত টিএনজেড গ্রুপের তিন কর্মী বিশেষ করে গাড়িচালক রেজাউল নিয়মিত তথ্য দিত। পরে ২ মে শিশুটি গাড়িতে করে মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে বনানী উড়ালসড়কের নিচে অপহরণকারীরা তিনটি গাড়ি নিয়ে ওই গাড়ির গতিরোধ করে। নিজেদের একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে শিশুটি, ওই গাড়ির চালক ও শিশুটির তত্ত্বাবধানকারীকে নিজেদের গাড়িতে তুলে নেয় অপহরণকারীরা। প্রথমে শিশুটিকে তারা আশ্বস্ত করে যে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, অপরাধীদের হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে এসেছে। এরপর শিশুটিকে নিয়ে তারা পল্লবীর ভাড়া বাসায় যায়। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে শিশুটি কাঁদতে থাকে। অপহরণকারীরা শিশুটির বাবাকে ফোন করে তার কান্নার শব্দ শোনায়। শিশুটির মুক্তিপণ হিসেবে ১০ কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। শুরু হয় দর-কষাকষি। ওই রাতেই শিশুটিকে বহনকারী গাড়িটি ৩০০ ফুট (পূর্বাচল) সড়কে গাড়ির চালক ও তত্ত্বাবধানকারীসহ বিমানবন্দর এলাকায় ফেলে রেখে আসে অপহরণকারীরা।
র্যাব জানায়, চার দিন দর-কষাকষির পর দুই কোটি টাকায় রফা হয়। ৬ মে তিনটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা অপহরণকারীদের ব্যাংক হিসেবে স্থানান্তর করেন শাহাদাত হোসেন। ওই দিন সন্ধ্যায় হোটেল র্যাডিসনের সামনে ২৭ লাখ নগদ টাকা নিয়ে নিজেই অপহরণকারীদের দেন তিনি। এরপর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আসা অপহরণকারীরা শিশু আবিরকে তার বাবার কাছে বুঝিয়ে দেয়। ব্যবসায়ী তাঁর সন্তানকে ফিরে পাওয়ার পর অপহরণকারীদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে র্যাব। র্যাব বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব থেকে অপহরণকারীদের টাকা তোলার সুযোগ বন্ধ করে দেয়। তাঁদের আটকের পর মিজানুরকে নিয়ে ব্যাংক থেকে ওই টাকা তোলা হয়।
র্যাবের কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ খান বলেন, শিশুটির ক্ষতি হতে পারে—এই ভেবে তাঁরা শিশুটিকে বুঝে পাওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো ধরনের দৃশ্যমান তৎপরতা চালায়নি। তবে র্যাবের গোয়েন্দা সদস্যরা শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছিলেন। র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, অপহরণের পরপর শিশুটির পরিবার র্যাবকে সহায়তা করতে চায়নি। শেষ পর্যন্ত পরিবার শিশুটিকে বুঝে পাওয়ার পর র্যাব তৎপরতা শুরু করে।
মুফতি মাহমুদ খান জানান, আটক হওয়া টিএনজেড গ্রুপের গাড়িচালক রেজাউল জানায়, আটক মিজানুর তাদের নেতা। বিভিন্ন সময় রেজাউল তার গাড়িতে করে নগদ টাকা আনা-নেওয়া করত। মিজানুর সেই টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরে তাদের মনে হয় যে মালিকের ছেলেকে অপহরণ করলে আরও বেশি টাকা পাওয়া যাবে। সেই ধারণা থেকে তারা পরিকল্পনা শুরু করে। পুরো ঘটনায় ১৪ জনের মতো যুক্ত ছিল। এদের মধ্যে পলাতক মন্টু, কাওসার, শুভ, চন্দন, সজীব ও আবদুল্লাহ পেশাদার অপরাধী।
No comments