মানব পাচারের মূলে রোহিঙ্গা সমস্যা! by সি আর আবরার
সমুদ্রথেকে শিশু ও নারীসহ হাজার হাজার' রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে |
সমুদ্রপথে
রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের অনিয়মিত অভিবাসন আঞ্চলিক সমস্যায় রূপান্তরিত
হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা শুরুতে ছোট হলেও এখন মহিরুহ হয়ে হাজার
হাজার বাংলাদেশির পাচার হওয়ার সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। ২০০২ সালে
বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রতিবেশী মিয়ানমার সরকারের নিপীড়নের
তাড়ায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে। সে সময় বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক
রীতিনীতি অগ্রাহ্য করে জীবনের ভয়ে পালিয়ে আসা নিঃস্ব রোহিঙ্গাদের মুখের
ওপর সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।
যারা এসেছিল তাদের অনেককে ফেরত পাঠানো হয় এবং সমুদ্রে নৌকায় করে আসা শরণার্থীদের তীরে ভিড়তে বাধা দেওয়া হয়। ১৯৮২ সালের জাতিসংঘের কনভেনশন অন ল অব দ্য সি সমুদ্র বিষয়ে কার্যক্রমের যে রূপরেখা দেয়, তাতে সমুদ্রে চলাচলের অনুপযোগী নৌকায় করে আসা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া মানবাধিকার পরিপন্থী বলে বিবেচনা করা হয়। এটা কার্যত আশ্রয়প্রার্থী নারী ও শিশুদের জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার শামিল।
যদিও বাংলাদেশ সরকার ১৯৫১ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশন এবং ১৯৬৭ সালে ওই বিষয়ে প্রটোকল অনুসমর্থন করেনি, তার পরেও বাংলাদেশ বেশ কতগুলো আন্তর্জাতিক কনভেনশনের রাষ্ট্রপক্ষ, যা জীবনের ভয়ে ভীত আশ্রয় পার্থনাকারীকে উৎস দেশ থেকে জোর করে ফেরত পাঠানো থেকে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করে। এমন কতগুলো সনদ হলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের ঘোষণা, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ, বিশ্ব শিশু সনদ এবং নিগ্রহসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন। যেগুলোতে এ ধরনের শরণার্থীদের নিরাপত্তার বিধান রয়েছে, বাংলাদেশ সেসব আন্তর্জাতিক নীতিমালা সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ব্যাপারে সরকারকে ১৯৫১ সালের জাতিসংঘের কনভেনশন এবং ১৯৬৭ সালের কনভেনশন অন রিফিউজির নীতিমালা অনুসরণের দরকার ছিল।
দারিদ্র্য ও জনসংখ্যার চাপের কথা বলে অদূরদর্শী নীতি অনুসরণ করে রোহিঙ্গাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হলেও এ ঘটনা এখন বুমেরাং হয়ে বাংলাদেশের জন্য নতুন বিপদ বয়ে এনেছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানে আমাদের অপারগতার ফল হলো বাধ্য হয়ে তারা মানব পাচারের দালালদের শরণাপন্ন হয়। এদের একটা অংশ মালয়েশিয়ায় তাদের পরিবারের অন্যদের সঙ্গে মিলনের জন্যও দালালদের আশ্রয় নেয়। ২০১২-১৩ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে কক্সবাজার-উখিয়া-টেকনাফের দালালেরা তাদের প্রলোভন দেখায়। মূল গন্তব্য মালয়েশিয়া হওয়ার কথা থাকলেও তাদের নেওয়া হয় থাইল্যান্ডে। এরপর দুষ্ট চক্র তাদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য সিরাজগঞ্জ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নরসিংদীর মতো নতুন অভিবাসন এলাকার মানুষদের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেয়। এগুলো প্রচলিত অভিবাসনপ্রবণ এলাকা নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরোনো দিনের মতো কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়ায় কাজের খোঁজে বেড়াতে যাওয়া লোকজনকে সরাসরি অপহরণও করা হয়।
বাঁচা ও আশ্রয়ের জন্য মরিয়া রোহিঙ্গারা নিরুপায় হয়ে চোরাচালান, অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচারে জড়িত হয়ে পড়ে। তাদেরই কোনো কোনো দল নৌকায় করে থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে পাড়ি জমায়। এভাবে তাদের মাধ্যমে কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন হয়ে থাই উপকূলে পৌঁছানোর নৌপথটি চালু হয়। শুরুতে অল্প কিছু মানব পাচারকারী এতে জড়িত থাকলেও পরে আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্র এই সুযোগ গ্রহণ করে। তারা রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে চালু হওয়া পথটাকে বাংলাদেশিদের পাচারের কাজে ব্যবহার করতে শুরু করে। অভিজ্ঞ রোহিঙ্গাদেরও এ কাজে নিয়োজিত করা হয়।
সে সময় যদি রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নিয়ে তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হতো, তাহলে চোরাকারবার ও মানব পাচার এত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠতে পারত না। শুরুতে রোহিঙ্গাদের পালানোর উদ্দেশ্যে যে নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছিল, অচিরেই সেই নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের অজ্ঞ ও অভাবী যুবকদের মালয়েশিয়ায় চাকরির লোভ দেখিয়ে পাচার করা শুরু করে।
আমরা মনে করি, এই মানবিক বিপর্যয় বন্ধ করতে হলে সরকারকে কতগুলো পদক্ষেপ নিতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যার মানবিক ও যৌক্তিক সমাধান ছাড়া বাংলাদেশ থেকে মানব পাচার বন্ধ করা কঠিন। তা ছাড়া রোহিঙ্গারা বাংলাদেশকে ব্যবহার করে পাচার হওয়ার প্রক্রিয়ায় বন্দী, নির্যাতন ও মৃত্যুর শিকার হলে, সেই দায় কিছুটা বাংলাদেশের ওপরও বর্তায়। প্রথমত, আমাদের শরণার্থীবিষয়ক আইনকে যুগোপযোগী করতে হবে। রোহিঙ্গাদের আইনগত শরণার্থীর মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্যোগে তাদের প্রত্যাবাসনের কাজ করতে হবে। যত দিন তারা বাংলাদেশে রয়েছে, তত দিন খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসার নিশ্চয়তাসহ তাদের আইনগত সহায়তা দিতে হবে।
একদিকে যেমন রোহিঙ্গাদের উৎস দেশ মিয়ানমারকে তাদের সে দেশে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এমনকি ইন্দোনেশিয়াকেও এর মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের একটি জটিল আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানে সব পক্ষের অংশগ্রহণ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে আঞ্চলিক উদ্যোগের প্রয়োজন। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, মালয়েশিয়া ও মিয়ানমারকে নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ থাইল্যান্ড সরকার গ্রহণ করেছে। এই সমস্যার দ্বারা আক্রান্ত অন্যতম পক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে অবশ্যই এই প্রয়াসের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া আশু প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এই আঞ্চলিক সহযোগিতা ছাড়া এ ধরনের মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলা সম্ভব নয়।
ড. সি আর আবরার: অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসাচং ইউনিট (রামরু)–এর পরিচালক।
যারা এসেছিল তাদের অনেককে ফেরত পাঠানো হয় এবং সমুদ্রে নৌকায় করে আসা শরণার্থীদের তীরে ভিড়তে বাধা দেওয়া হয়। ১৯৮২ সালের জাতিসংঘের কনভেনশন অন ল অব দ্য সি সমুদ্র বিষয়ে কার্যক্রমের যে রূপরেখা দেয়, তাতে সমুদ্রে চলাচলের অনুপযোগী নৌকায় করে আসা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া মানবাধিকার পরিপন্থী বলে বিবেচনা করা হয়। এটা কার্যত আশ্রয়প্রার্থী নারী ও শিশুদের জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার শামিল।
যদিও বাংলাদেশ সরকার ১৯৫১ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশন এবং ১৯৬৭ সালে ওই বিষয়ে প্রটোকল অনুসমর্থন করেনি, তার পরেও বাংলাদেশ বেশ কতগুলো আন্তর্জাতিক কনভেনশনের রাষ্ট্রপক্ষ, যা জীবনের ভয়ে ভীত আশ্রয় পার্থনাকারীকে উৎস দেশ থেকে জোর করে ফেরত পাঠানো থেকে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করে। এমন কতগুলো সনদ হলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের ঘোষণা, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ, বিশ্ব শিশু সনদ এবং নিগ্রহসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন। যেগুলোতে এ ধরনের শরণার্থীদের নিরাপত্তার বিধান রয়েছে, বাংলাদেশ সেসব আন্তর্জাতিক নীতিমালা সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ব্যাপারে সরকারকে ১৯৫১ সালের জাতিসংঘের কনভেনশন এবং ১৯৬৭ সালের কনভেনশন অন রিফিউজির নীতিমালা অনুসরণের দরকার ছিল।
দারিদ্র্য ও জনসংখ্যার চাপের কথা বলে অদূরদর্শী নীতি অনুসরণ করে রোহিঙ্গাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হলেও এ ঘটনা এখন বুমেরাং হয়ে বাংলাদেশের জন্য নতুন বিপদ বয়ে এনেছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানে আমাদের অপারগতার ফল হলো বাধ্য হয়ে তারা মানব পাচারের দালালদের শরণাপন্ন হয়। এদের একটা অংশ মালয়েশিয়ায় তাদের পরিবারের অন্যদের সঙ্গে মিলনের জন্যও দালালদের আশ্রয় নেয়। ২০১২-১৩ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে কক্সবাজার-উখিয়া-টেকনাফের দালালেরা তাদের প্রলোভন দেখায়। মূল গন্তব্য মালয়েশিয়া হওয়ার কথা থাকলেও তাদের নেওয়া হয় থাইল্যান্ডে। এরপর দুষ্ট চক্র তাদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য সিরাজগঞ্জ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নরসিংদীর মতো নতুন অভিবাসন এলাকার মানুষদের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেয়। এগুলো প্রচলিত অভিবাসনপ্রবণ এলাকা নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরোনো দিনের মতো কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়ায় কাজের খোঁজে বেড়াতে যাওয়া লোকজনকে সরাসরি অপহরণও করা হয়।
বাঁচা ও আশ্রয়ের জন্য মরিয়া রোহিঙ্গারা নিরুপায় হয়ে চোরাচালান, অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচারে জড়িত হয়ে পড়ে। তাদেরই কোনো কোনো দল নৌকায় করে থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে পাড়ি জমায়। এভাবে তাদের মাধ্যমে কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন হয়ে থাই উপকূলে পৌঁছানোর নৌপথটি চালু হয়। শুরুতে অল্প কিছু মানব পাচারকারী এতে জড়িত থাকলেও পরে আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্র এই সুযোগ গ্রহণ করে। তারা রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে চালু হওয়া পথটাকে বাংলাদেশিদের পাচারের কাজে ব্যবহার করতে শুরু করে। অভিজ্ঞ রোহিঙ্গাদেরও এ কাজে নিয়োজিত করা হয়।
সে সময় যদি রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নিয়ে তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হতো, তাহলে চোরাকারবার ও মানব পাচার এত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠতে পারত না। শুরুতে রোহিঙ্গাদের পালানোর উদ্দেশ্যে যে নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছিল, অচিরেই সেই নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের অজ্ঞ ও অভাবী যুবকদের মালয়েশিয়ায় চাকরির লোভ দেখিয়ে পাচার করা শুরু করে।
আমরা মনে করি, এই মানবিক বিপর্যয় বন্ধ করতে হলে সরকারকে কতগুলো পদক্ষেপ নিতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যার মানবিক ও যৌক্তিক সমাধান ছাড়া বাংলাদেশ থেকে মানব পাচার বন্ধ করা কঠিন। তা ছাড়া রোহিঙ্গারা বাংলাদেশকে ব্যবহার করে পাচার হওয়ার প্রক্রিয়ায় বন্দী, নির্যাতন ও মৃত্যুর শিকার হলে, সেই দায় কিছুটা বাংলাদেশের ওপরও বর্তায়। প্রথমত, আমাদের শরণার্থীবিষয়ক আইনকে যুগোপযোগী করতে হবে। রোহিঙ্গাদের আইনগত শরণার্থীর মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্যোগে তাদের প্রত্যাবাসনের কাজ করতে হবে। যত দিন তারা বাংলাদেশে রয়েছে, তত দিন খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসার নিশ্চয়তাসহ তাদের আইনগত সহায়তা দিতে হবে।
একদিকে যেমন রোহিঙ্গাদের উৎস দেশ মিয়ানমারকে তাদের সে দেশে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এমনকি ইন্দোনেশিয়াকেও এর মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের একটি জটিল আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানে সব পক্ষের অংশগ্রহণ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে আঞ্চলিক উদ্যোগের প্রয়োজন। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, মালয়েশিয়া ও মিয়ানমারকে নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ থাইল্যান্ড সরকার গ্রহণ করেছে। এই সমস্যার দ্বারা আক্রান্ত অন্যতম পক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে অবশ্যই এই প্রয়াসের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া আশু প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এই আঞ্চলিক সহযোগিতা ছাড়া এ ধরনের মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলা সম্ভব নয়।
ড. সি আর আবরার: অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসাচং ইউনিট (রামরু)–এর পরিচালক।
No comments