মে দিবস-শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নতি চাই
শ্রমিকশ্রেণীর আন্তর্জাতিক সংহতি ও সংগ্রামের প্রতীকী দিন হিসেবে আবার এসেছে পয়লা মে, মহান মে দিবস। আজ থেকে ১২৫ বছর আগে ১৮৮৬ সালের ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের শ্রমিকেরা কর্মক্ষেত্রে মানবিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার দাবি জানাতে গিয়ে রাষ্ট্রশক্তির নিষ্ঠুর নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন, বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। সংগ্রামের সেই স্মৃতি বাংলাদেশের শ্রমিকেরাও বুকে ধারণ করেন, প্রতিবছর উদ্যাপন করেন দিবসটি। শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি আর শ্রমের যথাযথ মর্যাদা ও মূল্য পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা এই দিবসে যেন নবায়িত হয়। আর বর্তমানের বঞ্চনা থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দিনটি পালিত হয়। দুঃখের বিষয়, ১২৪ বছর আগে শিকাগোর শ্রমিকেরা যেসব দাবিতে রাজপথে নেমেছিলেন, আজও সেসব দাবির অনেক কিছু এ দেশে পূরণ হয়নি। বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষকে ন্যায্য মজুরি, কার্যক্ষেত্রে নিরাপত্তা, সদাচরণসহ ন্যূনতম মানবিক পরিবেশের দাবিতে এখনো রাজপথে আন্দোলন করতে হয়। আজও তাঁরা অনেক মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত।
শ্রমিকদের মজুরি, কর্মঘণ্টা, কাজের পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি ক্ষেত্রে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক পরিবর্তন এসেছে মে দিবসের পথ ধরেই। উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে শ্রমিকদের অধিকার আইন দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়েছে, শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কেও মালিকশ্রেণীর দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এসব ক্ষেত্রে খুব বেশি পরিবর্তন এসেছে এমন কথা বলা যায় না। গত দুই দশকে বিশ্বায়নের ফলে আমাদের দেশেও অর্থনৈতিক গতিশীলতা বেড়েছে, কিন্তু শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নতি একইভাবে ঘটেনি। বিশেষত তৈরি পোশাকশিল্প ও ইমারত নির্মাণশ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত কর্মপরিবেশ, শ্রমিকের নিরাপত্তা ও মৌলিক চাহিদা পূরণ করে একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা যায়নি। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার অধিকারও সর্বক্ষেত্রে স্বীকৃতি পায়নি। অনেক ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন জাতীয় রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাবে আক্রান্ত হয়ে গঠনমূলক সংঘবদ্ধ চরিত্র হারিয়েছে। কৃষিশ্রমিক, গৃহশ্রমিক, নির্মাণশ্রমিক, রিকশাচালকসহ বহু খাতের বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী মানুষের শ্রমিকের স্বীকৃতি মেলেনি। নারী ও শিশুশ্রমিকদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
দেশের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক অধিকাংশ শিল্প খাতে ন্যূনতম মজুরির বিধান নেই। যেখানে আছে সেখানেও সম্পূর্ণভাবে তার বাস্তবায়ন নেই। যেসব শিল্পের শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত মজুরিকাঠামো ঘোষণা করা হয়নি, সেগুলোতে মজুরিকাঠামো ঘোষণা করা এবং তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
শ্রমিকদের স্বার্থ ও কল্যাণের দিকটি অবহেলা করে জাতীয় অর্থনীতির টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। শ্রমিকদের স্বার্থ ও শিল্প-কারখানা লাভজনকভাবে টিকে থাকা পরস্পরের পরিপূরক। মহান মে দিবসে বাংলাদেশ ও বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে অভিনন্দন।
শ্রমিকদের মজুরি, কর্মঘণ্টা, কাজের পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি ক্ষেত্রে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক পরিবর্তন এসেছে মে দিবসের পথ ধরেই। উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে শ্রমিকদের অধিকার আইন দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়েছে, শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কেও মালিকশ্রেণীর দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এসব ক্ষেত্রে খুব বেশি পরিবর্তন এসেছে এমন কথা বলা যায় না। গত দুই দশকে বিশ্বায়নের ফলে আমাদের দেশেও অর্থনৈতিক গতিশীলতা বেড়েছে, কিন্তু শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নতি একইভাবে ঘটেনি। বিশেষত তৈরি পোশাকশিল্প ও ইমারত নির্মাণশ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত কর্মপরিবেশ, শ্রমিকের নিরাপত্তা ও মৌলিক চাহিদা পূরণ করে একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা যায়নি। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার অধিকারও সর্বক্ষেত্রে স্বীকৃতি পায়নি। অনেক ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন জাতীয় রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাবে আক্রান্ত হয়ে গঠনমূলক সংঘবদ্ধ চরিত্র হারিয়েছে। কৃষিশ্রমিক, গৃহশ্রমিক, নির্মাণশ্রমিক, রিকশাচালকসহ বহু খাতের বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী মানুষের শ্রমিকের স্বীকৃতি মেলেনি। নারী ও শিশুশ্রমিকদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
দেশের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক অধিকাংশ শিল্প খাতে ন্যূনতম মজুরির বিধান নেই। যেখানে আছে সেখানেও সম্পূর্ণভাবে তার বাস্তবায়ন নেই। যেসব শিল্পের শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত মজুরিকাঠামো ঘোষণা করা হয়নি, সেগুলোতে মজুরিকাঠামো ঘোষণা করা এবং তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
শ্রমিকদের স্বার্থ ও কল্যাণের দিকটি অবহেলা করে জাতীয় অর্থনীতির টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। শ্রমিকদের স্বার্থ ও শিল্প-কারখানা লাভজনকভাবে টিকে থাকা পরস্পরের পরিপূরক। মহান মে দিবসে বাংলাদেশ ও বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে অভিনন্দন।
No comments