রাষ্ট্রীয় চার প্রতিষ্ঠানের কাছে রাজস্ব বোর্ডের পাওনা ৫০০ কোটি টাকা
রাষ্ট্রীয় চার প্রতিষ্ঠানের কাছে আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং অগ্রিম কর বাবদ ৫০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব বকেয়া পড়ে গেছে। বার বার তাগাদা সত্ত্বেও এই রাজস্ব আদায় করা যাচ্ছে না। ফলে চলতি অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন শঙ্কার মুখে পড়েছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম কাস্টমস (আমদানি) থেকে পাঠানো এক চিঠিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এই শঙ্কার বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর—এই চারটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে আমদানি শুল্ক, অগ্রিম কর, সম্পূরক শুল্কসহ অন্যান্য কর বাবদ চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) প্রায় ৫০৩ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের বারবার চিঠি দিয়ে বকেয়া পরিশোধের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, কিন্তু তাতে ফল পাওয়া যায়নি। এসব চিঠিতে বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বকেয়া পরিশোধ করছে না। একবার সময় পেরিয়ে গেলে আবারও সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তাতেও কাজ হচ্ছে না।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বকেয়া পড়েছে ইস্টার্ন রিফাইনারির কাছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বকেয়ার পরিমাণ ২৯৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সর্বশেষ ১০ এপ্রিল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস (আমদানি) থেকে বকেয়া পরিশোধের জন্য এই প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে সময় দেওয়া হয় ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি বকেয়া পরিশোধ করেনি।
সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিদেশ থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি সেই অপরিশোধিত তেল পরিশোধিত করে বাজারে সরবরাহ করে। ইস্টার্ন রিফাইনারির কাছে জ্বালানি উত্তোলন ও সরবরাহ বাবদ আলোচ্য বিভিন্ন শুল্ক ও কর বাবদ নয় মাসে পাওনা দাঁড়িয়েছে ২৯৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
এই প্রতিষ্ঠানটি বছরে গড়ে ১৫ লাখ মেট্রিক টনের মতো অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধিত করে থাকে। এর বিপরীতে প্রতি মাসে রাজস্ব হিসেবে দিতে হয় ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে অর্ধেক রাজস্ব পরিশোধ করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাস করে। বাকি অর্থই বকেয়া হিসেবে জমেছে।
গত অর্থবছর শেষেও ইস্টার্ন রিফাইনারির ১৫০ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছিল। পরে প্রতিষ্ঠানটি তা ডেফার্ড পেমেন্টের (বিলম্বে পরিশোধ) মাধ্যমে পরিশোধ করে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান মোক্তাদির আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্রেতাদের কাছে আমাদেরও অনেক বকেয়া পড়ে আছে। তারা অনেকেই বিল পরিশোধ করেনি। আমরা যে দামে জ্বালানি তেল কিনি, বিক্রি করি তার চেয়ে কম দামে। তাই সরকারের কাছ থেকে অর্থ ও ক্রেতাদের বকেয়া না পেলে এনবিআরের বকেয়া পরিশোধ করব কীভাবে।’
এদিকে, পিডিবির যন্ত্রপাতি আমদানি বাবদ এ পর্যন্ত বকেয়া রাজস্বের পরিমাণ দেড় শ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী ২৪ এপ্রিল বকেয়া পরিশোধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পিডিবি কোনো বকেয়া পরিশোধ করেনি।
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর কর্তৃক সরকারিভাবে আমদানিকৃত ওষুধ ও গাড়ি আমদানি বাবদ বকেয়া পড়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। বকেয়া পরিশোধের মেয়াদও শেষ হচ্ছে ২৪ এপ্রিল।
আর বিআরটিএর প্রকল্পের গাড়ি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি আমদানি বাবদ বকেয়ার পরিমাণ প্রায় আট কোটি টাকা। বকেয়া পরিশোধের মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের (আমদানি) কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া প্রথম আলোকে জানান, এসব প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সময়ে বকেয়া পরিশোধের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনো কারও কাছ থেকে কোনো বকেয়া টাকা পাওয়া যায়নি। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বকেয়া না পেলে এবার চট্টগ্রাম কাস্টম থেকে যে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অর্জন সম্ভব না-ও হতে পারে।
গোলাম কিবরিয়া আরও বলেন, সাধারণত ডেফার্ড পেমেন্টের মাধ্যমে এসব সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের বকেয়া পরিশোধ করে। বাজেটের আগে প্রতিবার বকেয়া পরিশোধ করা হয়। কিন্তু তার পরও কিছু অর্থ বকেয়া থাকে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম কাস্টমস (আমদানি) থেকে পাঠানো এক চিঠিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এই শঙ্কার বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর—এই চারটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে আমদানি শুল্ক, অগ্রিম কর, সম্পূরক শুল্কসহ অন্যান্য কর বাবদ চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) প্রায় ৫০৩ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের বারবার চিঠি দিয়ে বকেয়া পরিশোধের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, কিন্তু তাতে ফল পাওয়া যায়নি। এসব চিঠিতে বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বকেয়া পরিশোধ করছে না। একবার সময় পেরিয়ে গেলে আবারও সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তাতেও কাজ হচ্ছে না।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বকেয়া পড়েছে ইস্টার্ন রিফাইনারির কাছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বকেয়ার পরিমাণ ২৯৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সর্বশেষ ১০ এপ্রিল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস (আমদানি) থেকে বকেয়া পরিশোধের জন্য এই প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে সময় দেওয়া হয় ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি বকেয়া পরিশোধ করেনি।
সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিদেশ থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি সেই অপরিশোধিত তেল পরিশোধিত করে বাজারে সরবরাহ করে। ইস্টার্ন রিফাইনারির কাছে জ্বালানি উত্তোলন ও সরবরাহ বাবদ আলোচ্য বিভিন্ন শুল্ক ও কর বাবদ নয় মাসে পাওনা দাঁড়িয়েছে ২৯৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
এই প্রতিষ্ঠানটি বছরে গড়ে ১৫ লাখ মেট্রিক টনের মতো অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধিত করে থাকে। এর বিপরীতে প্রতি মাসে রাজস্ব হিসেবে দিতে হয় ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে অর্ধেক রাজস্ব পরিশোধ করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাস করে। বাকি অর্থই বকেয়া হিসেবে জমেছে।
গত অর্থবছর শেষেও ইস্টার্ন রিফাইনারির ১৫০ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছিল। পরে প্রতিষ্ঠানটি তা ডেফার্ড পেমেন্টের (বিলম্বে পরিশোধ) মাধ্যমে পরিশোধ করে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান মোক্তাদির আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্রেতাদের কাছে আমাদেরও অনেক বকেয়া পড়ে আছে। তারা অনেকেই বিল পরিশোধ করেনি। আমরা যে দামে জ্বালানি তেল কিনি, বিক্রি করি তার চেয়ে কম দামে। তাই সরকারের কাছ থেকে অর্থ ও ক্রেতাদের বকেয়া না পেলে এনবিআরের বকেয়া পরিশোধ করব কীভাবে।’
এদিকে, পিডিবির যন্ত্রপাতি আমদানি বাবদ এ পর্যন্ত বকেয়া রাজস্বের পরিমাণ দেড় শ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী ২৪ এপ্রিল বকেয়া পরিশোধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পিডিবি কোনো বকেয়া পরিশোধ করেনি।
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর কর্তৃক সরকারিভাবে আমদানিকৃত ওষুধ ও গাড়ি আমদানি বাবদ বকেয়া পড়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। বকেয়া পরিশোধের মেয়াদও শেষ হচ্ছে ২৪ এপ্রিল।
আর বিআরটিএর প্রকল্পের গাড়ি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি আমদানি বাবদ বকেয়ার পরিমাণ প্রায় আট কোটি টাকা। বকেয়া পরিশোধের মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের (আমদানি) কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া প্রথম আলোকে জানান, এসব প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সময়ে বকেয়া পরিশোধের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনো কারও কাছ থেকে কোনো বকেয়া টাকা পাওয়া যায়নি। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বকেয়া না পেলে এবার চট্টগ্রাম কাস্টম থেকে যে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অর্জন সম্ভব না-ও হতে পারে।
গোলাম কিবরিয়া আরও বলেন, সাধারণত ডেফার্ড পেমেন্টের মাধ্যমে এসব সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের বকেয়া পরিশোধ করে। বাজেটের আগে প্রতিবার বকেয়া পরিশোধ করা হয়। কিন্তু তার পরও কিছু অর্থ বকেয়া থাকে।
No comments