মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব: গাদ্দাফি
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি বলেছেন, মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন, কখনোই দেশ ছেড়ে কোথাও যাবেন না। তিনি লিবিয়ার সংকট নিরসনে ন্যাটোর সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন। তিনি নতুন করে যুদ্ধবিরতিরও প্রস্তাব দেন। তবে ন্যাটো গাদ্দাফর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে।
গতকাল শনিবার লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে গাদ্দাফি এসব কথা বলেন। তাঁর ৮০ মিনিটের ভাষণ সরাসরি সম্প্র্রচার করা হয়। ভাষণ শেষে একই টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, ভাষণ সম্প্রচারের সময় টেলিভশন ভবনের পাশে ন্যাটো বিমান হামলা চালায়।
এদিকে লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতায় গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ চলছে। লিবিয়া সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহীম মিসরাতার বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ করতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।
লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আমরা এখনো যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত আছি। কিন্তু একতরফাভাবে কোনো কিছু হয় না। আমরাই প্রথমে যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করেছিলাম, কিন্তু ন্যাটো বাহিনী লিবিয়ার ওপর বিমান হামলা বন্ধ করেনি।’ তিনি বলেন, ‘শান্তি আলোচনার দরজা এখনো খোলা আছে।’ গাদ্দাফি আরও বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী ন্যাটো লিবিয়ার ওপর বিমান হামলা চালাতে ও নৌ-টহল দিতে পারে না। তার পরও এটা করা হচ্ছে। তিনি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র চীন ও রাশিয়া এবং আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় তাঁর বন্ধুরাষ্ট্রগুলোকে ওই প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে সংস্থাটির ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান।
গাদ্দাফি বলেন, ‘ন্যাটোর বিমান হামলা ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অবরোধের কারণে লিবিয়ার সাধারণ জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। হামলায় দেশের অবকাঠামা ধ্বংস হচ্ছে।’ এই ভাষণে বিদ্রোহীদের প্রতি অনেকটা নমনীয় ছিলেন গাদ্দাফি। বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা লিবিয়ার জনগণ এক পরিবারের সদস্য। পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা আমাদের উচিত নয়।’ আগের ভাষণেই বিদ্রোহীদের ‘ইঁদুর’ আখ্যা দিয়ে গাদ্দাফি বলেন, ‘ঘরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে বিদ্রোহীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে।’
গাদ্দাফি বাহিনীর হামলায় এক হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে—এ অভিযোগও নাকচ করে দেন তিনি। গাদ্দাফি অভিযোগকারীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘নিহত লোকজন কোথায়, খুঁজে বের করুন।’ হামলায় অংশ নেওয়া দেশগুলোর উদ্দেশে গাদ্দাফি বলেন, ‘আপনারা যদি জ্বালানি তেল চান, আমরা আপনাদের দেশের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করব।’
গাদ্দাফির ভাষণ শেষ হওয়ার পর টেলিভিশনে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাষণ সম্প্রচারের সময় টেলিভিশন ভবনের পাশের একটি ভবনে ন্যাটো বিমান হামলা চালায়। গাদ্দাফিকে লক্ষ্য করেই ওই হামলা চালানো হয়। কিন্তু ওই হামলা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এদিকে গাদ্দাফরি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে ন্যাটো বলেছে, যতদিন লিবিয়ার বেসামরিক লোকজন হামলার হুমকির মুখে থাকবে ততদিন সরকারিবাহিনীর ওপর পশ্চিমাবাহিনীর বিমান হামলা চলবে।
গাদ্দাফির যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বিদ্রোহীদের ট্রানজিশনাল ন্যাশনাল কাউন্সিলের মুখপাত্র আবদেল হাফিজ ঘোগা এক বিবৃতিতে বলেন, গাদ্দাফি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন, সমঝোতার সময় শেষ হয়ে গেছে। ভবিষ্যতের লিবিয়ায় গাদ্দাফি ন্যূনতম ভূমিকা রাখবেন, এটা মেনে নেওয়া হবে না।
লিবিয়া সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহীম মিসরাতার বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণে চার দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তাদের ‘সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন’ করা হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি
গতকাল শনিবার লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে গাদ্দাফি এসব কথা বলেন। তাঁর ৮০ মিনিটের ভাষণ সরাসরি সম্প্র্রচার করা হয়। ভাষণ শেষে একই টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, ভাষণ সম্প্রচারের সময় টেলিভশন ভবনের পাশে ন্যাটো বিমান হামলা চালায়।
এদিকে লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতায় গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ চলছে। লিবিয়া সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহীম মিসরাতার বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ করতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।
লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আমরা এখনো যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত আছি। কিন্তু একতরফাভাবে কোনো কিছু হয় না। আমরাই প্রথমে যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করেছিলাম, কিন্তু ন্যাটো বাহিনী লিবিয়ার ওপর বিমান হামলা বন্ধ করেনি।’ তিনি বলেন, ‘শান্তি আলোচনার দরজা এখনো খোলা আছে।’ গাদ্দাফি আরও বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী ন্যাটো লিবিয়ার ওপর বিমান হামলা চালাতে ও নৌ-টহল দিতে পারে না। তার পরও এটা করা হচ্ছে। তিনি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র চীন ও রাশিয়া এবং আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় তাঁর বন্ধুরাষ্ট্রগুলোকে ওই প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে সংস্থাটির ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান।
গাদ্দাফি বলেন, ‘ন্যাটোর বিমান হামলা ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অবরোধের কারণে লিবিয়ার সাধারণ জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। হামলায় দেশের অবকাঠামা ধ্বংস হচ্ছে।’ এই ভাষণে বিদ্রোহীদের প্রতি অনেকটা নমনীয় ছিলেন গাদ্দাফি। বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা লিবিয়ার জনগণ এক পরিবারের সদস্য। পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা আমাদের উচিত নয়।’ আগের ভাষণেই বিদ্রোহীদের ‘ইঁদুর’ আখ্যা দিয়ে গাদ্দাফি বলেন, ‘ঘরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে বিদ্রোহীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে।’
গাদ্দাফি বাহিনীর হামলায় এক হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে—এ অভিযোগও নাকচ করে দেন তিনি। গাদ্দাফি অভিযোগকারীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘নিহত লোকজন কোথায়, খুঁজে বের করুন।’ হামলায় অংশ নেওয়া দেশগুলোর উদ্দেশে গাদ্দাফি বলেন, ‘আপনারা যদি জ্বালানি তেল চান, আমরা আপনাদের দেশের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করব।’
গাদ্দাফির ভাষণ শেষ হওয়ার পর টেলিভিশনে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাষণ সম্প্রচারের সময় টেলিভিশন ভবনের পাশের একটি ভবনে ন্যাটো বিমান হামলা চালায়। গাদ্দাফিকে লক্ষ্য করেই ওই হামলা চালানো হয়। কিন্তু ওই হামলা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এদিকে গাদ্দাফরি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে ন্যাটো বলেছে, যতদিন লিবিয়ার বেসামরিক লোকজন হামলার হুমকির মুখে থাকবে ততদিন সরকারিবাহিনীর ওপর পশ্চিমাবাহিনীর বিমান হামলা চলবে।
গাদ্দাফির যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বিদ্রোহীদের ট্রানজিশনাল ন্যাশনাল কাউন্সিলের মুখপাত্র আবদেল হাফিজ ঘোগা এক বিবৃতিতে বলেন, গাদ্দাফি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন, সমঝোতার সময় শেষ হয়ে গেছে। ভবিষ্যতের লিবিয়ায় গাদ্দাফি ন্যূনতম ভূমিকা রাখবেন, এটা মেনে নেওয়া হবে না।
লিবিয়া সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহীম মিসরাতার বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণে চার দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তাদের ‘সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন’ করা হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি
No comments