মেসির ছোঁয়ায় ফুটবল জাগানোর স্বপ্ন
লিওনেল মেসিদের ঢাকায় এনে তরুণদের ফুটবলে আকৃষ্ট করতে চায় বাফুফে। বর্তমান বিশ্বের সেরা ফুটবলারটি বাংলাদেশে আসা মানে এই ভূখণ্ডে একটা আলোড়ন উঠবেই। সেটিকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নই আসল চ্যালেঞ্জ। মেসিরা ঢাকায় খেলে যাওয়া পর্যন্ত অবশ্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। তার আগে, এ মাস থেকেই দেশব্যাপী শুরু হয়ে যাচ্ছে বড়সড় একটা ফুটবল উৎসব—প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল লিগ।
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিফা অনুমোদিত আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই উৎসাহ-উদ্দীপনা চলছে বাফুফে ভবনে। ঐতিহাসিক এই সফরের কথা কাল সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে বাফুফের পক্ষ থেকে। বাফুফে, পৃষ্ঠপোষক বেক্সিমকো গ্রুপ ও কলকাতার সেলিব্রিটি ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের মধ্যে এদিন ত্রিপক্ষীয় চুক্তিও হয়ে গেল।
এই অনুষ্ঠানেই এ মাস থেকে প্রথমে বিভাগীয়, তারপর কেন্দ্রীয়ভাবে অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল লিগ করার ঘোষণা এসেছে। প্রস্তুতি, খেলার সরঞ্জামসহ, থাকা-খাওয়া এবং আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ ৬৪টি জেলাকেই কয়েক ধাপে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। দেরিতে হলেও এই লিগটা হওয়ায় তৃণমূল ফুটবলে প্রাণ ফিরবে বলে প্রত্যাশা বাফুফের। অনূর্ধ্ব-১৮ লিগটা আগামী পাঁচ বছর পৃষ্ঠপোষণা করার কথাও জানিয়ে দিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ।
বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সূচনা বক্তব্যে তাই থাকল খুশির ছোঁয়া, ‘আমরা খুবই আনন্দিত। আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচটা করছি তিনটি লক্ষ্য সামনে নিয়ে। প্রথমত, ম্যাচটা বাংলাদেশে হলে সারা পৃথিবী শুনবে বাংলাদেশ নামটা। দ্বিতীয়ত, এর মাধ্যমে তরুণদের ফুটবলে আকৃষ্ট করা যাবে। তৃতীয়ত, এই সফরটিকে আমাদের তৃণমূল ফুটবল উন্নয়নে একটা প্রকল্প হিসেবেই নিচ্ছি।’
মেসিদের বাংলাদেশে আনতে ৩০-৩৫ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলা হচ্ছে। তবে টাকার অঙ্ক কমানোর চেষ্টা চলছে। দুই দলকে যে টাকা দেওয়া হবে তার ৬৫ শতাংশ আর্জেন্টিনার, বাকিটা নাইজেরিয়ার। অনেকে অবশ্য বলছেন, এত টাকা দিয়ে এই ম্যাচ আয়োজন করে দেশের ফুটবলের লাভ কী?
সালাউদ্দিনের উত্তরে যুক্তি আছে, ‘বাফুফেকে এক টাকাও দিতে হচ্ছে না। বরং বাফুফে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। এই টাকা তো মেসিদের না আনলে আমাদের কেউ দিত না। তা ছাড়া লাভ হলে পুরো টাকাই বাফুফে পাবে ফুটবল উন্নয়নের জন্য। লোকসান হলে তা বেক্সিমকোরই দায়।’
মেসির আসা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত। চুক্তির অন্যতম শর্তই এটি। ঢাকায় মেসিদের দুটি অনুশীলন সেশন থাকছে। ম্যাচ তো বটেই, অনুশীলন সেশন এবং সংবাদ সম্মেলনও ইএসপিএনে সরাসরি দেখানো হতে পারে। টিভি স্বত্ব থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা আসবে—এটা মোটামুটি নিশ্চিতই। টিকিটের দাম কমপক্ষে ১০ হাজার করার চিন্তা আছে। এই বিষয়গুলো ১০-১২ দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার আশা।
আরেকটি আশার ঘরে বসত গড়ছে বাফুফে—সরকার থেকে ৫ বছরের জন্য পাওয়া সিলেট বিকেএসপিতে ফুটবল একাডেমি চালু করা হবে মেসিদের সফরের মাস খানেক পরই। মাস চারেকের মধ্যে অনূর্ধ্ব-১৮ লিগ শেষ করে সেখান থেকে বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের একাডেমিতে নেওয়া হবে। এই একাডেমির খরচও চালাবে বেক্সিমকো।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সায়ান এফ রহমানের মুখে ফুটবলের পাশে থাকার ঘোষণা, ‘আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচটা হবে অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলের একটা ভিত্তিপ্রস্তর। এই সফর আমরা সফল করতে চাই। এবং ভবিষ্যতে ফুটবল উন্নয়নে আমাদের প্রতিষ্ঠান সহযোগিতার হাত প্রসারিতই রাখবে।’
সেলিব্রিটি ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের করপোরেট পরিচালক ভাস্কর গোস্বামি বললেন, ‘আর্জেন্টিনা কলতাকায় খেলছে ২ সেপ্টেম্বর। এই সময় আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশে আনার প্রস্তাব আমরা এখান (ঢাকা) থেকে পেয়ে আগ্রহী হয়েছি।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ব্রাজিলকেও নাকি কলকাতায় আনছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশেও তখন আসতে পারে ব্রাজিল—এমন গুঞ্জন বাতাসে ভাসতে শুরু করেছে। আর্জেন্টিনা এলে ব্রাজিলের আসাও তো অসম্ভব নয়!
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিফা অনুমোদিত আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই উৎসাহ-উদ্দীপনা চলছে বাফুফে ভবনে। ঐতিহাসিক এই সফরের কথা কাল সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে বাফুফের পক্ষ থেকে। বাফুফে, পৃষ্ঠপোষক বেক্সিমকো গ্রুপ ও কলকাতার সেলিব্রিটি ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের মধ্যে এদিন ত্রিপক্ষীয় চুক্তিও হয়ে গেল।
এই অনুষ্ঠানেই এ মাস থেকে প্রথমে বিভাগীয়, তারপর কেন্দ্রীয়ভাবে অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল লিগ করার ঘোষণা এসেছে। প্রস্তুতি, খেলার সরঞ্জামসহ, থাকা-খাওয়া এবং আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ ৬৪টি জেলাকেই কয়েক ধাপে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। দেরিতে হলেও এই লিগটা হওয়ায় তৃণমূল ফুটবলে প্রাণ ফিরবে বলে প্রত্যাশা বাফুফের। অনূর্ধ্ব-১৮ লিগটা আগামী পাঁচ বছর পৃষ্ঠপোষণা করার কথাও জানিয়ে দিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ।
বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সূচনা বক্তব্যে তাই থাকল খুশির ছোঁয়া, ‘আমরা খুবই আনন্দিত। আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচটা করছি তিনটি লক্ষ্য সামনে নিয়ে। প্রথমত, ম্যাচটা বাংলাদেশে হলে সারা পৃথিবী শুনবে বাংলাদেশ নামটা। দ্বিতীয়ত, এর মাধ্যমে তরুণদের ফুটবলে আকৃষ্ট করা যাবে। তৃতীয়ত, এই সফরটিকে আমাদের তৃণমূল ফুটবল উন্নয়নে একটা প্রকল্প হিসেবেই নিচ্ছি।’
মেসিদের বাংলাদেশে আনতে ৩০-৩৫ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলা হচ্ছে। তবে টাকার অঙ্ক কমানোর চেষ্টা চলছে। দুই দলকে যে টাকা দেওয়া হবে তার ৬৫ শতাংশ আর্জেন্টিনার, বাকিটা নাইজেরিয়ার। অনেকে অবশ্য বলছেন, এত টাকা দিয়ে এই ম্যাচ আয়োজন করে দেশের ফুটবলের লাভ কী?
সালাউদ্দিনের উত্তরে যুক্তি আছে, ‘বাফুফেকে এক টাকাও দিতে হচ্ছে না। বরং বাফুফে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। এই টাকা তো মেসিদের না আনলে আমাদের কেউ দিত না। তা ছাড়া লাভ হলে পুরো টাকাই বাফুফে পাবে ফুটবল উন্নয়নের জন্য। লোকসান হলে তা বেক্সিমকোরই দায়।’
মেসির আসা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত। চুক্তির অন্যতম শর্তই এটি। ঢাকায় মেসিদের দুটি অনুশীলন সেশন থাকছে। ম্যাচ তো বটেই, অনুশীলন সেশন এবং সংবাদ সম্মেলনও ইএসপিএনে সরাসরি দেখানো হতে পারে। টিভি স্বত্ব থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা আসবে—এটা মোটামুটি নিশ্চিতই। টিকিটের দাম কমপক্ষে ১০ হাজার করার চিন্তা আছে। এই বিষয়গুলো ১০-১২ দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার আশা।
আরেকটি আশার ঘরে বসত গড়ছে বাফুফে—সরকার থেকে ৫ বছরের জন্য পাওয়া সিলেট বিকেএসপিতে ফুটবল একাডেমি চালু করা হবে মেসিদের সফরের মাস খানেক পরই। মাস চারেকের মধ্যে অনূর্ধ্ব-১৮ লিগ শেষ করে সেখান থেকে বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের একাডেমিতে নেওয়া হবে। এই একাডেমির খরচও চালাবে বেক্সিমকো।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সায়ান এফ রহমানের মুখে ফুটবলের পাশে থাকার ঘোষণা, ‘আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচটা হবে অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলের একটা ভিত্তিপ্রস্তর। এই সফর আমরা সফল করতে চাই। এবং ভবিষ্যতে ফুটবল উন্নয়নে আমাদের প্রতিষ্ঠান সহযোগিতার হাত প্রসারিতই রাখবে।’
সেলিব্রিটি ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের করপোরেট পরিচালক ভাস্কর গোস্বামি বললেন, ‘আর্জেন্টিনা কলতাকায় খেলছে ২ সেপ্টেম্বর। এই সময় আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশে আনার প্রস্তাব আমরা এখান (ঢাকা) থেকে পেয়ে আগ্রহী হয়েছি।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ব্রাজিলকেও নাকি কলকাতায় আনছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশেও তখন আসতে পারে ব্রাজিল—এমন গুঞ্জন বাতাসে ভাসতে শুরু করেছে। আর্জেন্টিনা এলে ব্রাজিলের আসাও তো অসম্ভব নয়!
No comments