কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর ঐতিহাসিক সমঝোতা চুক্তি
অবশেষে ফিলিস্তিনের বিবদমান দুই গোষ্ঠী ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে চার বছর ধরে চলা বিরোধের অবসান হলো। গতকাল বুধবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে দুই পক্ষ ঐতিহাসিক এক সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, উভয় পক্ষের অংশগ্রহণে শিগগিরই একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে এবং এই অন্তর্বর্তী সরকার এক বছরের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করবে।
চুক্তিতে ফাতাহর পক্ষে সই করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং হামাসের পক্ষে সংগঠনটির নেতা খালেদ মিশাল। এ সময় জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ সমন্বয়ক রবার্ট সেরি, মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাবিল আল-আরাবি ও আরব লিগের প্রধান আমর মুসা উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন আরব বংশোদ্ভূত তিনজন ইসরায়েলি এমপি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হামাসের নেতা মিশাল বলেছেন, সমঝোতার জন্য হামাস যেকোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত। মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনিরা ‘বিবাদের কালো অধ্যায় চিরদিনের জন্য শেষ করার’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এখন হয় বসতি স্থাপনের পথ, নয়তো শান্তির পথ বেছে নিতে হবে।
ঐতিহাসিক এ দিনটি উদ্যাপনে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পশ্চিম তীর ও গাজা ভূখণ্ডে সমবেত হয়। তারা নেচে-গেয়ে, আতশবাজি পুড়িয়ে, হই-হুল্লোড় করে দিনটি পার করে। গাজা ভূখণ্ডে শত শত মানুষ ফিলিস্তিনের পতাকা ও চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন লেখাসংবলিত ব্যানার হাতে হাজির হয়েছিল। ব্যানারে লেখা ছিল—‘ফিলিস্তিনিরা বিরোধের নিষ্পত্তি চায়’। এ সময় অনেকে হামাসের সবুজ পতাকাও বহন করে। অনেকে বহন করে ফাতাহর হলুদ পতাকা। অথচ গত চারটি বছর গাজা ভূখণ্ডে ফাতাহ ছিল একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের নাম।
‘এটা সেই দিন, যার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করে আছি’—বলছিলেন এক ফিলিস্তিনি। সমঝোতা চুক্তির সমর্থনে যারা গণসমাবেশের আয়োজন করেছিল, তিনি সেই ‘মার্চ ১৫ আন্দোলন’ নামের সংগঠনেরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘এটা তরুণদের কল্যাণেই সম্ভব হয়েছে। অথচ তাদের পেটানো হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
চুক্তির প্রশংসা করে ইবা রাজেক নামের ২০ বছর বয়সী এক ছাত্রী বলেছেন, এই চুক্তি স্বাক্ষরের ঘটনায় তিনি উচ্ছ্বসিত। অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘নতুন সরকার ও নির্বাচন দেখতে তর সইছে না।’
পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরের মানারা স্কয়ার ও পার্লামেন্ট ভবনের সামনে উল্লাস করেছে জনতা। তবে তারা ছিল অনেকটা সাবধানী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্চ ১৫ আন্দোলনের একজন সদস্য বলেছেন, ‘এটা (চুক্তি স্বাক্ষর) ইতিবাচক। তবে এটা বাস্তব জীবনে প্রতিফলিত হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘মিশাল ও আব্বাসকে একই কক্ষে আনতে পারাটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, কয়েক টুকরো কাগজে সই করা মানেই সমঝোতা নয়।’
মার্চ ১৫ আন্দোলনের ওই কর্মীর মতো দেশটির সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকা আল-কুদসও সতর্কতা দেখিয়েছে। পত্রিকাটির শিরোনাম করা হয়েছে—‘শুধু সই নয়, সমঝোতা চুক্তি বাস্তবায়িত হতে হবে’।
দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ বিরোধ এই চুক্তির মাধ্যমে শেষ হওয়ায় সাধারণ ফিলিস্তিনিরা উল্লাস প্রকাশ করলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাতান ভিলনাই বলেছেন, ‘হামাসের অবস্থা নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার মুহূর্তে তাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে আব্বাস ভুল করেছেন। তাঁর বোঝা উচিত ছিল, হামাস কেন সমঝোতার পথে আসতে রাজি হয়েছে।’
চুক্তিতে ফাতাহর পক্ষে সই করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং হামাসের পক্ষে সংগঠনটির নেতা খালেদ মিশাল। এ সময় জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ সমন্বয়ক রবার্ট সেরি, মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাবিল আল-আরাবি ও আরব লিগের প্রধান আমর মুসা উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন আরব বংশোদ্ভূত তিনজন ইসরায়েলি এমপি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হামাসের নেতা মিশাল বলেছেন, সমঝোতার জন্য হামাস যেকোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত। মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনিরা ‘বিবাদের কালো অধ্যায় চিরদিনের জন্য শেষ করার’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এখন হয় বসতি স্থাপনের পথ, নয়তো শান্তির পথ বেছে নিতে হবে।
ঐতিহাসিক এ দিনটি উদ্যাপনে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পশ্চিম তীর ও গাজা ভূখণ্ডে সমবেত হয়। তারা নেচে-গেয়ে, আতশবাজি পুড়িয়ে, হই-হুল্লোড় করে দিনটি পার করে। গাজা ভূখণ্ডে শত শত মানুষ ফিলিস্তিনের পতাকা ও চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন লেখাসংবলিত ব্যানার হাতে হাজির হয়েছিল। ব্যানারে লেখা ছিল—‘ফিলিস্তিনিরা বিরোধের নিষ্পত্তি চায়’। এ সময় অনেকে হামাসের সবুজ পতাকাও বহন করে। অনেকে বহন করে ফাতাহর হলুদ পতাকা। অথচ গত চারটি বছর গাজা ভূখণ্ডে ফাতাহ ছিল একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের নাম।
‘এটা সেই দিন, যার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করে আছি’—বলছিলেন এক ফিলিস্তিনি। সমঝোতা চুক্তির সমর্থনে যারা গণসমাবেশের আয়োজন করেছিল, তিনি সেই ‘মার্চ ১৫ আন্দোলন’ নামের সংগঠনেরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘এটা তরুণদের কল্যাণেই সম্ভব হয়েছে। অথচ তাদের পেটানো হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
চুক্তির প্রশংসা করে ইবা রাজেক নামের ২০ বছর বয়সী এক ছাত্রী বলেছেন, এই চুক্তি স্বাক্ষরের ঘটনায় তিনি উচ্ছ্বসিত। অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘নতুন সরকার ও নির্বাচন দেখতে তর সইছে না।’
পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরের মানারা স্কয়ার ও পার্লামেন্ট ভবনের সামনে উল্লাস করেছে জনতা। তবে তারা ছিল অনেকটা সাবধানী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্চ ১৫ আন্দোলনের একজন সদস্য বলেছেন, ‘এটা (চুক্তি স্বাক্ষর) ইতিবাচক। তবে এটা বাস্তব জীবনে প্রতিফলিত হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘মিশাল ও আব্বাসকে একই কক্ষে আনতে পারাটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, কয়েক টুকরো কাগজে সই করা মানেই সমঝোতা নয়।’
মার্চ ১৫ আন্দোলনের ওই কর্মীর মতো দেশটির সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকা আল-কুদসও সতর্কতা দেখিয়েছে। পত্রিকাটির শিরোনাম করা হয়েছে—‘শুধু সই নয়, সমঝোতা চুক্তি বাস্তবায়িত হতে হবে’।
দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ বিরোধ এই চুক্তির মাধ্যমে শেষ হওয়ায় সাধারণ ফিলিস্তিনিরা উল্লাস প্রকাশ করলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাতান ভিলনাই বলেছেন, ‘হামাসের অবস্থা নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার মুহূর্তে তাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে আব্বাস ভুল করেছেন। তাঁর বোঝা উচিত ছিল, হামাস কেন সমঝোতার পথে আসতে রাজি হয়েছে।’
No comments