তারা এ ধরনের ভুল কী করে করেন? -প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক কোটাবিরোধী আন্দোলন প্রচ্ছন্নভাবে সরকারি
চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটার বিরুদ্ধেই আন্দোলন। গতকাল
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিভাতা ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে সরাসরি (জিটুপি)
মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাংক হিসাবে প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন
তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের প্রয়োজনীয় সংখ্যায়
পাওয়া না গেলে সুপ্রিম কোটের একটি নির্দেশনার আলোকে সরকার মেধা তালিকা থেকে
শূন্য পদ পূরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা আদালতের নির্দেশ অমান্য করতে পারি
না এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা বাতিল করতে পারি না। কাজেই আমরা কেবিনেট
সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি- এই বিষয়টি দেখার জন্য। কোটা
নিয়ে আদালতের রায়ের বিষয়ে টকশোতে আসা বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী
বলেন, আমার দুঃখ হয়, তারা এ ধরনের ভুল কী করে করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে কক্সবাজার জেলার সুবিধাভোগী, প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অ্যাকাউন্টে এই সম্মানিভাতা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী এই প্রকল্প এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করেন। মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে সরকার গঠনের পর সরকারি চাকরির জন্য কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে পাওয়া যেত না। ফলে, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যাতে রাষ্ট্রপরিচালনায় মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণ থাকে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বেসরকারি টেলিভিশনের ‘টক শো’ কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী যাদের আদালতের রায় সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নেই তারা ‘টক শো’তে যখন মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে কথা বলেন তখন আমার দুঃখ হয়। আন্দোলনের নামে কতিপয় ছাত্র ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করে লুটপাট করেছে। এর চেয়ে গর্হিত কাজ শিক্ষার্থীর জন্য আর কী হতে পারে। সেটা নিয়ে তারা কোনো উচ্চবাচ্য করেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে ভিসির (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি) বাড়িতে আক্রমণ, তাকে হত্যার প্রচেষ্টা এবং ভাঙচুর ও লুটপাট, একেবারে বেডরুমে ঢুকে লুটপাট চলেছে। অরাজক পরিস্থিতি দেখে আমি বলেছিলাম, ‘ঠিক আছে কোটা থাকবে না।’ কোটা থাকবে না কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এটাও দেখতে হবে স্বাধীনতাবিরোধী যারা যুদ্ধাপরাধী তারা যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে বা রাষ্ট্রীয় কোনো পজিশন না পায়, সেটাও দেখতে হবে। আপনারা জানেন যে, হাইকোর্টে একটা রিট হয়েছিল। সে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট হুকুম দিল, এই ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে, না হলে পদ শূন্য থাকবে।
এটি যখন আপিল বিভাগে যায় তখন আপিল বিভাগ একটা রায় দেয়- ‘কোটা পূরণ করে যদি কোনো শূন্য পদ থাকে তাহলে মেধা তালিকা থেকে তা পূরণ করা যাবে।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তার সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ভাতা বৃদ্ধি, বিজয় দিবস এবং নববর্ষে ভাতার ব্যবস্থা, মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা পয়সায় যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি, বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং প্রয়োজনে বিদেশে গিয়েও চিকিৎসা গ্রহণের সুবিধা, সারাদেশের জেলা-উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স গড়ে তোলা প্রভৃতির উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে কারো কাছে হাত পেতে আমাদের চলতে হয় না। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির শতকরা ৯০ ভাগ আমাদের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে বাস্তবায়নের সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।’ তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৭৮ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য নিয়ে তার সরকার যাত্রা শুরু করেছিল, আজকে দেশ ক্ষুধামুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, যাদের মহান আত্মত্যাগে এই স্বাধীনতা, তাদের জন্য আমরা যে ভাতার ব্যবস্থা করেছি, আমি জানি কাউকে ভাতা দিয়ে সম্মান দেয়া যায় না। কিন্তু, আমি চাইনা তারা কেউ কষ্ট পাক। এ কারণেই, এই উদ্যোগটা আমরা নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশে যেখানেই মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে, এই ভাতার টাকা সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে কক্সবাজার জেলার সুবিধাভোগী, প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অ্যাকাউন্টে এই সম্মানিভাতা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী এই প্রকল্প এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করেন। মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে সরকার গঠনের পর সরকারি চাকরির জন্য কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে পাওয়া যেত না। ফলে, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যাতে রাষ্ট্রপরিচালনায় মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণ থাকে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বেসরকারি টেলিভিশনের ‘টক শো’ কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী যাদের আদালতের রায় সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নেই তারা ‘টক শো’তে যখন মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে কথা বলেন তখন আমার দুঃখ হয়। আন্দোলনের নামে কতিপয় ছাত্র ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করে লুটপাট করেছে। এর চেয়ে গর্হিত কাজ শিক্ষার্থীর জন্য আর কী হতে পারে। সেটা নিয়ে তারা কোনো উচ্চবাচ্য করেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে ভিসির (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি) বাড়িতে আক্রমণ, তাকে হত্যার প্রচেষ্টা এবং ভাঙচুর ও লুটপাট, একেবারে বেডরুমে ঢুকে লুটপাট চলেছে। অরাজক পরিস্থিতি দেখে আমি বলেছিলাম, ‘ঠিক আছে কোটা থাকবে না।’ কোটা থাকবে না কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এটাও দেখতে হবে স্বাধীনতাবিরোধী যারা যুদ্ধাপরাধী তারা যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে বা রাষ্ট্রীয় কোনো পজিশন না পায়, সেটাও দেখতে হবে। আপনারা জানেন যে, হাইকোর্টে একটা রিট হয়েছিল। সে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট হুকুম দিল, এই ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে, না হলে পদ শূন্য থাকবে।
এটি যখন আপিল বিভাগে যায় তখন আপিল বিভাগ একটা রায় দেয়- ‘কোটা পূরণ করে যদি কোনো শূন্য পদ থাকে তাহলে মেধা তালিকা থেকে তা পূরণ করা যাবে।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তার সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ভাতা বৃদ্ধি, বিজয় দিবস এবং নববর্ষে ভাতার ব্যবস্থা, মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা পয়সায় যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি, বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং প্রয়োজনে বিদেশে গিয়েও চিকিৎসা গ্রহণের সুবিধা, সারাদেশের জেলা-উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স গড়ে তোলা প্রভৃতির উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে কারো কাছে হাত পেতে আমাদের চলতে হয় না। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির শতকরা ৯০ ভাগ আমাদের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে বাস্তবায়নের সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।’ তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৭৮ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য নিয়ে তার সরকার যাত্রা শুরু করেছিল, আজকে দেশ ক্ষুধামুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, যাদের মহান আত্মত্যাগে এই স্বাধীনতা, তাদের জন্য আমরা যে ভাতার ব্যবস্থা করেছি, আমি জানি কাউকে ভাতা দিয়ে সম্মান দেয়া যায় না। কিন্তু, আমি চাইনা তারা কেউ কষ্ট পাক। এ কারণেই, এই উদ্যোগটা আমরা নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশে যেখানেই মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে, এই ভাতার টাকা সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।
No comments