ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের মহাপরিকল্পনা by সিরাজুস সালেকিন
একাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক পরিসরে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম)
ব্যবহার করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া আগামীতে প্রতিটি স্থানীয়
নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কাজে আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। রাজনৈতিক
দলগুলোর আপত্তির মুখে এ মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
সংখ্যা নির্ধারণ না হলেও কমিশন ইতিমধ্যে বিপুল পরিমাণ ইভিএম ক্রয়ের
পরিকল্পনা করেছে। একই সঙ্গে সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ইভিএমের
ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে ইভিএমকে পরিচিত করার
লক্ষ্যে সারা দেশে ইভিএম মেলা আয়োজনের পরিকল্পনাও রয়েছে কমিশনের। এ
প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ গতকাল বলেন, আগামী
দিনগুলোতে যত ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে সেখানে আমরা ইভিএম ব্যবহার
করবো। যদি এখানে আমরা কার্যকরী ফলাফল পাই তাহলে আগামী সংসদ নির্বাচনেও কিছু
কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করার চিন্তা থাকবে। তবে ব্যবহার করা হবে কি
হবে না এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ইভিএম ব্যবহার
করার জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
তারপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত আছে। এ ছাড়া আরপিও সংশোধনীর বিষয় তো আছেই। সব কিছু মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ইভিএমে ওপর পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করছে। গত শনিবার উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রথম ব্যাচের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। গতকাল দ্বিতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইভিএম সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণ দেবে ইসি। এমনকি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টদেরও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ রোধে সাংবাদিকদেরও ইভিএমের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হতে পারে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ইভিএমের ওপর পর্যায়ক্রমে সবাইকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যেন এর সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক বলেন, ইভিএমের ওপর প্রশিক্ষণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। শুধু সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে নয়, সব নির্বাচনের জন্য কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ থাকা উচিত। ইসি সূত্রে জানা গেছে, ইভিএমকে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত করার জন্য দশটি অঞ্চলে মেলা করার চিন্তা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বরিশাল অঞ্চলে একটি মেলা করা হয়েছে সেখানে বেশ সাড়া পাওয়া গেছে। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবেও একটি মেলার করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে এসব মেলা আয়োজন করবে ইসি। এজন্য প্রতিটি জেলাতে দুটি করে ইভিএম মেশিন পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। গত ১৫ই মে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশনের পর আসন্ন গাজীপুর নির্বাচনেও চারটি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করে ইসি।
বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনের পর আগামীতে স্থানীয় নির্বাচনের যেকোনো সিটি, উপজেলা কিংবা পৌরসভায় এককভাবে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে। ইসি সূত্র জানায় আগামীতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের পরিধি বাড়াতে ২৫৩৫টি নতুন মেশিন ক্রয় করা হয়েছে। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে ইভিএম ক্রয় করছে ইসি। প্রাথমিকভাবে ২৫৩৫টি ইভিএম ক্রয়ের পরে আরো ১৫০০ সেট কেনার জন্য প্রস্তুতি চলছে। সংসদ নির্বাচনের আগে ১০ হাজারের উপর ইভিএম কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের ৪২ হাজার কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইভিএমগুলোর প্রতিটির দাম পড়ছে গড়ে প্রায় ২ লাখ টাকা। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএমে ব্যবহারে সফলতা পেলে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করবে ইসি। এজন্য ইতিমধ্যে সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের পাশাপাশি ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করতে যাচ্ছে কমিশন। এর আগে সিইসি কেএম নূরুল হুদা জানিয়েছিলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি নেই ইসির। রাজনৈতিক দল ও ভোটাররা সর্বসম্মতি দিলেই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে। ইসির সঙ্গে সংলাপে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০শে জুলাই অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটিতে ভোট। কমিশন সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এসব নির্বাচনে ইভিএমের পরিধি বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে বরিশাল সিটিতে ১০টি এবং রাজশাহী ও সিলেটে দুটি করে কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে ভোট নেয়া হবে। এর আগে সিটি নির্বাচনে বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে একটি করে ওয়ার্ডে ইভিএমে নির্বাচন করে।
গত সিটি নির্বাচনে বুয়েটের তৈরি ইভিএমে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রাজশাহী সিটির পিটিআই কেন্দ্রে রণক্ষেত্র তৈরি হয়। ইভিএমের কারণে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া বিতর্কিত হয়ে পড়ে। সর্বপ্রথম এক এগারোর সময়কার এটিএম শামসুল হুদা কমিশন স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএমের প্রচলন ঘটায়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর সহায়তায় প্রথমে ২০১০ সালে এ প্রযুক্তির ৫৩০টি মেশিন কেনা হয়। ব্যবহার করতে গিয়ে ইভিএমে নানা যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। পরে ২০১১ সালে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) প্রস্তুত করা ৭০০ ইভিএম কেনা হয়। এগুলোও পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত ছিল না। শামসুল হুদা কমিশন ২০১১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ২১নং ওর্য়াডে বুয়েটের ইভিএম ব্যবহার করে। পরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি, টাঙ্গাইল পৌরসভা ও নরসিংদী পৌরসভায় এ প্রযুক্তি ব্যবহার হয়। পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় হুদা কমিশনের স্থলে বিধির নিয়মে নতুন কমিশন হিসেবে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদায়ী রকিব উদ্দিন কমিশন দায়িত্ব নেয়। তাদের মেয়াদে রাজশাহী সিটিতে ২০১৩ সালে ইভিএম ব্যবহার করে পুরো বিতর্কের মধ্যে পড়ে যায় ইসি। পরে কমিশনার হিসেবে মেয়াদ পূর্ণের আগে ইভিএম ব্যবহার করেনি। তবে, নতুন ইভিএমের প্রচলন চালু রেখে যায়। আর গত ফেব্রুয়ারিতে কেএম নূরুল হুদার কমিশন দায়িত্বে এসে কমিটি করে পুরনো ইভিএমকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। নতুন প্রবর্তিত ইভিএমে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১৪১নং কেন্দ্রের ৬টি কক্ষে ব্যবহার করে। কিন্তু পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত হয়নি। পুরনো ইভিএমের মতো ত্রুটি নিয়ে নির্বাচন শেষ করে। এরপর গাজীপুর নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ ও ভোটারদের ভোগান্তিতে ফেলার অভিযোগ আসে। ওই নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের অভিযোগ পাওয়া যায়।
তারপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত আছে। এ ছাড়া আরপিও সংশোধনীর বিষয় তো আছেই। সব কিছু মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ইভিএমে ওপর পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করছে। গত শনিবার উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রথম ব্যাচের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। গতকাল দ্বিতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইভিএম সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণ দেবে ইসি। এমনকি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টদেরও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ রোধে সাংবাদিকদেরও ইভিএমের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হতে পারে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ইভিএমের ওপর পর্যায়ক্রমে সবাইকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যেন এর সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক বলেন, ইভিএমের ওপর প্রশিক্ষণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। শুধু সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে নয়, সব নির্বাচনের জন্য কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ থাকা উচিত। ইসি সূত্রে জানা গেছে, ইভিএমকে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত করার জন্য দশটি অঞ্চলে মেলা করার চিন্তা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বরিশাল অঞ্চলে একটি মেলা করা হয়েছে সেখানে বেশ সাড়া পাওয়া গেছে। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবেও একটি মেলার করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে এসব মেলা আয়োজন করবে ইসি। এজন্য প্রতিটি জেলাতে দুটি করে ইভিএম মেশিন পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। গত ১৫ই মে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশনের পর আসন্ন গাজীপুর নির্বাচনেও চারটি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করে ইসি।
বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনের পর আগামীতে স্থানীয় নির্বাচনের যেকোনো সিটি, উপজেলা কিংবা পৌরসভায় এককভাবে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে। ইসি সূত্র জানায় আগামীতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের পরিধি বাড়াতে ২৫৩৫টি নতুন মেশিন ক্রয় করা হয়েছে। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে ইভিএম ক্রয় করছে ইসি। প্রাথমিকভাবে ২৫৩৫টি ইভিএম ক্রয়ের পরে আরো ১৫০০ সেট কেনার জন্য প্রস্তুতি চলছে। সংসদ নির্বাচনের আগে ১০ হাজারের উপর ইভিএম কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের ৪২ হাজার কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইভিএমগুলোর প্রতিটির দাম পড়ছে গড়ে প্রায় ২ লাখ টাকা। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএমে ব্যবহারে সফলতা পেলে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করবে ইসি। এজন্য ইতিমধ্যে সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের পাশাপাশি ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করতে যাচ্ছে কমিশন। এর আগে সিইসি কেএম নূরুল হুদা জানিয়েছিলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি নেই ইসির। রাজনৈতিক দল ও ভোটাররা সর্বসম্মতি দিলেই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে। ইসির সঙ্গে সংলাপে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০শে জুলাই অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটিতে ভোট। কমিশন সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এসব নির্বাচনে ইভিএমের পরিধি বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে বরিশাল সিটিতে ১০টি এবং রাজশাহী ও সিলেটে দুটি করে কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে ভোট নেয়া হবে। এর আগে সিটি নির্বাচনে বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে একটি করে ওয়ার্ডে ইভিএমে নির্বাচন করে।
গত সিটি নির্বাচনে বুয়েটের তৈরি ইভিএমে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রাজশাহী সিটির পিটিআই কেন্দ্রে রণক্ষেত্র তৈরি হয়। ইভিএমের কারণে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া বিতর্কিত হয়ে পড়ে। সর্বপ্রথম এক এগারোর সময়কার এটিএম শামসুল হুদা কমিশন স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএমের প্রচলন ঘটায়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর সহায়তায় প্রথমে ২০১০ সালে এ প্রযুক্তির ৫৩০টি মেশিন কেনা হয়। ব্যবহার করতে গিয়ে ইভিএমে নানা যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। পরে ২০১১ সালে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) প্রস্তুত করা ৭০০ ইভিএম কেনা হয়। এগুলোও পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত ছিল না। শামসুল হুদা কমিশন ২০১১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ২১নং ওর্য়াডে বুয়েটের ইভিএম ব্যবহার করে। পরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি, টাঙ্গাইল পৌরসভা ও নরসিংদী পৌরসভায় এ প্রযুক্তি ব্যবহার হয়। পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় হুদা কমিশনের স্থলে বিধির নিয়মে নতুন কমিশন হিসেবে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদায়ী রকিব উদ্দিন কমিশন দায়িত্ব নেয়। তাদের মেয়াদে রাজশাহী সিটিতে ২০১৩ সালে ইভিএম ব্যবহার করে পুরো বিতর্কের মধ্যে পড়ে যায় ইসি। পরে কমিশনার হিসেবে মেয়াদ পূর্ণের আগে ইভিএম ব্যবহার করেনি। তবে, নতুন ইভিএমের প্রচলন চালু রেখে যায়। আর গত ফেব্রুয়ারিতে কেএম নূরুল হুদার কমিশন দায়িত্বে এসে কমিটি করে পুরনো ইভিএমকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। নতুন প্রবর্তিত ইভিএমে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১৪১নং কেন্দ্রের ৬টি কক্ষে ব্যবহার করে। কিন্তু পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত হয়নি। পুরনো ইভিএমের মতো ত্রুটি নিয়ে নির্বাচন শেষ করে। এরপর গাজীপুর নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ ও ভোটারদের ভোগান্তিতে ফেলার অভিযোগ আসে। ওই নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের অভিযোগ পাওয়া যায়।
No comments