তিন বাঙালি কন্যার অভূতপূর্ব জয়
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে অভূতপূর্ব জয় পেয়েছেন তিন বাঙালি কন্যা। গতবারের চেয়ে এবার তারা আরও বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। এদের তিনজনই নির্বাচিত হয়েছেন লেবার দলের টিকিটে। বৃৃহস্পতিবারের নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনে, রুশনারা আলী বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে ও রূপা হক ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে জয়ী হন। এবার পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোট ১৫ প্রার্থী নির্বাচন করেন। এর মধ্যে জয় পেয়েছেন আগের মেয়াদে এমপি থাকা ওই তিনজন।
টিউলিপ সিদ্দিক : লন্ডনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নে লেবার দলের প্রার্থী টিউলিপ পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী ক্লেয়ার লুইচ লিল্যান্ড পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯০৪ ভোট। ১৫ হাজার ৫৬০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন টিউলিপ। ৩৫ বছর বয়সী টিউলিপ টুইটারে লিখেছেন, ‘আমার আসন হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন থেকে আবারও নির্বাচিত হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। আমার প্রতি দৃঢ় সমর্থন রাখার জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।’ ২০১৫ সালে মাত্র ১ হাজার ১৩৮ ভোটের ব্যবধানে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন টিউলিপ। পরে তিনি বিরোধী দলনেতা জেরেমি করবিনের ছায়া মন্ত্রিসভারও সদস্য হয়েছিলেন। টিউলিপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে। একদিকে পারিবারিক পরিচয়, অন্যদিকে লন্ডনের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনে প্রার্থী হওয়ায় তিনি আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন। টিউলিপের শৈশব কেটেছে বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরে। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিক্স, পলিসি ও গভর্মেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেটার লন্ডন এবং সেইভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গে কাজ করেন টিউলিপ। তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হন। ২০১০ সালে ক্যামডেন কাউন্সিলে প্রথম বাঙালি নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হন টিউলিপ। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে স্থানীয় পার্টির সদস্যদের ভোটে টিউলিপ হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে লেবার পার্টির হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকিট পান।
রুশনারা আলী : ৩৫ হাজার ৫৯৩ ভোটের ব্যবধানে বড় জয় পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলী। এ নিয়ে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে তৃতীয় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হলেন তিনি। রুশনারা ৪২ হাজার ৯৬৯ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির চার্লট চিরিকো পেয়েছেন ৭ হাজার ৫৭৬ ভোট। নির্বাচনে বিজয়ী রুশনারা আলী তার টুইটে লিখেছেন, ‘পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে আবারও আমাকে নির্বাচিত করায় বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বোর বাসিন্দাদের আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে ধন্যবাদ জানাই। এটি আমার কাছে এক সম্মানজনক প্রাপ্তি।’ ২০১০ সালের নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী হিসেবে রুশনারা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমপি নির্বাচিত হন। সেবার তিনি প্রায় ১২ হাজার ভোটে জয়ী হন। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে ২৪ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হন। পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনটি লেবার দলের নিরাপদ আসন। অক্সফোর্ডপড়ুয়া রুশনারার জন্ম সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। সাত বছর বয়সে তিনি মা-বাবার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে যান।
রূপা হক : লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে দ্বিতীয় মেয়াদে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রূপা হক। লেবার দলীয় প্রার্থী রূপা হকের প্রাপ্ত ভোট ৩৩ হাজার ৩৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী জয় মোরিসি পেয়েছেন ১৯ হাজার ২৩০ ভোট। গতবার মাত্র ২৭৪ ভোটে জয় পাওয়া রূপা এবার জিতেছেন ১৩ হাজার ৮০৭ ভোটের ব্যবধানে। ২০১৫ সালে রূপা হক প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। রূপার আসনটি বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। এ আসনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী জয় মোরিসের বিজয় ঠেকাতে এবার পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টি কোনো প্রার্থী দেয়নি। তারা লেবার প্রার্থী রূপাকেই সমর্থন দিয়েছেন। অন্যদিকে ডানপন্থী ইউকে ইনডিপেনডেন্ট পার্টি (ইউকিপ) কনজারভেটিভ প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে এই আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি। মাত্র তিনজন প্রার্থী এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অপর প্রার্থী হলেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের জনবল। কিংসটন ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক রূপা লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশে তার আদি বাড়ি পাবনায়।
অভিনন্দন : বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক, রুশনারা আলী এবং ড. রূপা হককে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, তাদের এই বিজয়ে বাংলাদেশের জনগণের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃত দিয়ে তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক, রুশনারা আলী এবং ড. রূপা হক এই তিন কন্যার বিজয় আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমি আশা করি, তারা যে বিজয়ের মুকুট অর্জন করেছে তার আলোর বর্ণালি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।’
রুশনারা আলী : ৩৫ হাজার ৫৯৩ ভোটের ব্যবধানে বড় জয় পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলী। এ নিয়ে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে তৃতীয় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হলেন তিনি। রুশনারা ৪২ হাজার ৯৬৯ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির চার্লট চিরিকো পেয়েছেন ৭ হাজার ৫৭৬ ভোট। নির্বাচনে বিজয়ী রুশনারা আলী তার টুইটে লিখেছেন, ‘পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে আবারও আমাকে নির্বাচিত করায় বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বোর বাসিন্দাদের আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে ধন্যবাদ জানাই। এটি আমার কাছে এক সম্মানজনক প্রাপ্তি।’ ২০১০ সালের নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী হিসেবে রুশনারা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমপি নির্বাচিত হন। সেবার তিনি প্রায় ১২ হাজার ভোটে জয়ী হন। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে ২৪ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হন। পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনটি লেবার দলের নিরাপদ আসন। অক্সফোর্ডপড়ুয়া রুশনারার জন্ম সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। সাত বছর বয়সে তিনি মা-বাবার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে যান।
রূপা হক : লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে দ্বিতীয় মেয়াদে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রূপা হক। লেবার দলীয় প্রার্থী রূপা হকের প্রাপ্ত ভোট ৩৩ হাজার ৩৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী জয় মোরিসি পেয়েছেন ১৯ হাজার ২৩০ ভোট। গতবার মাত্র ২৭৪ ভোটে জয় পাওয়া রূপা এবার জিতেছেন ১৩ হাজার ৮০৭ ভোটের ব্যবধানে। ২০১৫ সালে রূপা হক প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। রূপার আসনটি বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। এ আসনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী জয় মোরিসের বিজয় ঠেকাতে এবার পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টি কোনো প্রার্থী দেয়নি। তারা লেবার প্রার্থী রূপাকেই সমর্থন দিয়েছেন। অন্যদিকে ডানপন্থী ইউকে ইনডিপেনডেন্ট পার্টি (ইউকিপ) কনজারভেটিভ প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে এই আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি। মাত্র তিনজন প্রার্থী এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অপর প্রার্থী হলেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের জনবল। কিংসটন ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক রূপা লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশে তার আদি বাড়ি পাবনায়।
অভিনন্দন : বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক, রুশনারা আলী এবং ড. রূপা হককে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, তাদের এই বিজয়ে বাংলাদেশের জনগণের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃত দিয়ে তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক, রুশনারা আলী এবং ড. রূপা হক এই তিন কন্যার বিজয় আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমি আশা করি, তারা যে বিজয়ের মুকুট অর্জন করেছে তার আলোর বর্ণালি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।’
No comments