কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে কী ঘটে
ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় দেশটিতে পরবর্তী সরকার কীভাবে গঠিত হবে তা নিয়ে অনেকের কৌতূহল রয়েছে। সংসদের ৬৫০টি আসনের সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর যে দল থেকে সবচেয়ে বেশি এমপি নির্বাচিত হন সাধারণত সেই দলকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সেই দলের নেতাই সাধারণত পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু কোনো দলই স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে, যেমনটা বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ঘটেছে, যে দল দ্বিতীয় হয়েছে সে দলও অন্য দলের সহযোগিতায় সরকার গঠন করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সবচেয়ে সহজ পথ হল হাউস অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল তারাই যাদের দল থেকে সর্বাধিকসংখ্যক এমপি নির্বাচিত হয় অর্থাৎ অন্য সব দল থেকে নির্বাচিত মোট এমপির থেকে বেশি। এ ক্ষেত্রে মোট ৩২৬টি আসনে জিততে হবে। ৩২৬টি আসন পেলে সংসদে সেই দল নতুন আইন প্রণয়নের ক্ষমতা অর্জন করে। কোনো দল যদি এককভাবে ৩২৬টি আসন না পায়, তাহলে সেটা হবে ‘ঝুলন্ত পার্লামেন্ট’ অর্থাৎ একাধিক দলকে জোটবদ্ধভাবে ৩২৬টি আসন পেতে হবে।
যেটা হয়েছিল ২০১০-এর সাধারণ নির্বাচনে। এ ধরনের পরিস্থিতি হলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটেই বসবাস করবেন যতক্ষণ না কারা নতুন সরকার গঠন করবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এ ক্ষেত্রে দলের নেতাদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক চলবে। তারা চেষ্টা করবে জোট গঠন করে একটা সরকার গঠন করতে অথবা কনজারভেটিভ দলের নেতা তেরেসা মে অথবা লেবার নেতা জেরেমি করবিনকে প্রধানমন্ত্রী করে হয়তো কোনো একটা সমঝোতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করা যেতে পারে। এ ধরনের জোট বা সমঝোতাভিত্তিক সরকার গঠনের সুযোগ প্রথমে তেরেসা মে-কে দেয়া হবে এবং দেনদরবার চলাকালীন তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। এটা যদি স্পষ্ট হয় তিনি এ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন এবং জেরেমি করবিন সফল হয়েছেন তাহলে তেরেসাকে পদত্যাগ করতে হবে। এই প্রক্রিয়া কতদিন ধরে চলতে পারে তার কোনো ধরাবাঁধা সময়সীমা নেই। ২০১০-এর নির্বাচনে একটা জোট গঠনের জন্য পাঁচ দিন সময় লেগেছিল, তবে সাধারণত এ আলোচনা ও দরকষাকষিতে আরও বেশি সময় লাগে। প্রথম দফায় চূড়ান্ত সময়সীমা দেয়া হবে ১৩ জুন পর্যন্ত। নতুন সংসদ শুরু হবে সেইদিন।
No comments