'শেখ হাসিনার কারামুক্তি গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত করে'
গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে ওয়ান ইলেভেনের অগণতান্ত্রিক সরকার মুলত সারাদেশ কারারুদ্ধ করতে চেয়েছিল। ১১ জুন শেখ হাসিনার কারামুক্তির মাধ্যমে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে রোববার সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা একথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনার সূত্রপাত করলে এ বিষয়ে অনির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সরকারি দলের সদস্য আব্দুল মতিন খসরু, পঙ্কজ নাথ, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী, সাবিনা আক্তার তুহিন, বেগম নুরজাহান বেগম ও উম্মে রাজিয়া কাজল বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, ২০০৮ সালের ১১ জুন শেখ হাসিনার কারামুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছিল।
তিনি মুক্ত না হলে দেশে আজ যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চলমান তা কখনোই সম্ভব হতো না। সংসদ সদস্যরা বলেন, দুর্নীতিতে আপাদমস্তক নিমজ্জিত বেগম খালেদা জিয়াকে তখন গ্রেফতার না করে একটি সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। তার ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। এমনকি ওই সময় স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রও করা হয়। তারা এ সময় বৃটিশ পার্লামেন্টে সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রেজওয়ান সিদ্দিকসহ রুশনারা আলী ও রুপা হকের বিজয়ে অভিনন্দন জানান। ওয়ান ইলেভেনের অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা গ্রেফতার হন। কারাগারে থাকাকালে শেখ হাসিনা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় চিকিৎসার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তার মুক্তির জোর দাবি ওঠে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও দেশবাসীর আন্দোলন এবং আপোষহীন মনোভাবের কারণে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
No comments