রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে হরতাল চলছে
রাঙ্গামাটির লংগদুতে যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যার প্রতিবাদে জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। এছাড়া এ ঘটনায় বান্দরবানে আধাবেলা হরতাল চলছে। হরতালে রোববার সকাল থেকে রাঙ্গামাটি জেলায় সড়ক ও নৌপথে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরনের যান চলাচল এবং দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। হরতালে আটকা পড়েছেন পর্যটকসহ যাত্রী সাধারণ। সরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক বীমা খোলা থাকলেও লোকজনের উপস্থিতি কম। বৃষ্টি উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন লোকজন। হরতালে এ পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে হরতালের সমর্থনে শহরের রিজার্ভবাজার, বনরূপা, তবলছড়ি, ভেদভেদীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পিকেটিং লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্পর্শকাতর স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ টহল জোরদার রাখা হয়েছে। সকাল ৬টা হতে শুরু হরতাল বিকাল ৫টায় শেষ হবে বলে জানান, হরতালকারীরা।
নয়ন হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং লংগদুতে পাহাড়িদের বাড়িঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় করা মামলায় গণগ্রেফতার বন্ধের দাবিতে শনিবার এ হরতাল ডাকে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ। তবে হরতাল রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় আহবান করা হলেও খাগড়াছড়িতে প্রত্যাহার করা হয় বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ৭ জুন লংগদুর মাইনি খাল হতে অজ্ঞাত পরিচয় এক বাঙালির লাশ উদ্ধারে তার প্রতিবাদে পূর্ব ঘোষিত হরতাল পূর্ণ দিবস করা হয় বলে জানান, হরতাল আহবানকারী পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের নেতারা। প্রসঙ্গত গত ১ জুন শুক্রবার রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পেশায় মোটরসাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়ন যাত্রী নিয়ে লংগদু থেকে দীঘিনালায় যায়। ওই দিনে দুপুরে দীঘিনালার চারমাইল এলাকায় তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। এই হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুদ্ধ বাঙালীদের মিছিল থেকে ২ জুন উপজেলার তিনটিলা, বাইট্টাপাড়া ও মানিকজোড়ছড়া এলাকায় পাহাড়ীদের ২১৩টি পরিবারের বসত, ৮টি দোকান ও একটি পাড়াকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় এই পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজাতে পাঠানো হয়েছে।
No comments