নতুন নামে সংগঠিত হবে জামায়াত
বাংলাদেশে জাময়াতে ইসলামী শেষ পর্যন্ত নাম পরিবর্তন করে টিকে থাকবে আর নেতৃত্বে আসবে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম৷ তারা ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে, ত্যাগ করবে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের৷
মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়ার পর, একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের তিনজন নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে৷ তারা হলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলি আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জান৷ এছাড়া জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডও বহাল রেখেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ আর জামাতের সাবেক আমির ও ‘থিংক ট্যাংক গোলাম আযম আজীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে কারাগারেই মারা গেছেন৷ আজীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসে সাঈদী৷ ওদিকে জামায়াতের আরেক নায়েবে আমির আবদুস সুবহান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলি ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলামের ফাঁসির দণ্ড এ মুহূর্তে আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে৷
এমন অবস্থায় জামায়াতের এখন আর কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷ তাদের তৎপরতা এখন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বা ‘প্রেসরিলিজ-এ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে৷ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের নামে এ সব সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হলেও, তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায় না৷ পাওয়া যায় না টেলিফোনেও৷ দেশের বাইরে থাকা মধ্যম বা তৃতীয় সারির কোনো নেতাও মোবাইল ফোন খোলা রাখেন না৷
শুধু তাই-ই নয়, তাদের কর্মসূচিও এখন নামকাওয়াস্তে৷ প্রথমদিকে জামায়াত নেতাদের শাস্তির পর জামায়াত-শিবির যে সহিংস প্রতিবাদ করেছে, এখন আর তা নেই৷ জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জামায়াতের ডাকা হরতালে কোনো সাড়া মেলেনি৷ এমনকি হরতালে জামাত-শিবিরের কোনো নেতা-কর্মীকেও দেখা যায়নি মাঠে৷
এই পরিস্থিতি ব্যখ্যা করতে গিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. তারেক শামসুর রেহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, নির্বাচন কমিশনে দল হিসেবে এখন আর জামায়াতের নিবন্ধন নেই৷ সরকারের যে মনোভাব, তাতে হয়ত এ বছরের মধ্যেই জামায়াত দল হিসেবে নিষিদ্ধ হবে বলে মনে হচ্ছে আমার৷ জামায়াতে ইসলামী নামের এই দলটি বাংলাদেশে আর থাকবে না৷ তবে দলের অনুসারীরা থাকবেন এবং তারা নতুন নামে দল গঠন করে রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন৷ তাঁর কথায়, সেই দলটি ২০১৯ সালের নির্বাচনেও অংশ নেবে৷ তারা কীভাবে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. তারেক বলেন, সেই প্রক্রিয়া কেমন হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ তবে আমার জানা তথ্য মতে, নতুন নেতৃত্বের জন্য জামায়াতের তরুণরা কাজ করছেন৷ জামায়াতের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে জানতে কারাগারের বাইরে থাকা কেন্দ্রীয় নেতা তো দূরের কথা, জামায়াতের জেলা পর্যায়েরও কোনো নেতাকে পাওয়া যায়নি৷
সূত্র: ডয়চে ভেলে
মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়ার পর, একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের তিনজন নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে৷ তারা হলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলি আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জান৷ এছাড়া জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডও বহাল রেখেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ আর জামাতের সাবেক আমির ও ‘থিংক ট্যাংক গোলাম আযম আজীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে কারাগারেই মারা গেছেন৷ আজীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসে সাঈদী৷ ওদিকে জামায়াতের আরেক নায়েবে আমির আবদুস সুবহান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলি ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলামের ফাঁসির দণ্ড এ মুহূর্তে আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে৷
এমন অবস্থায় জামায়াতের এখন আর কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷ তাদের তৎপরতা এখন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বা ‘প্রেসরিলিজ-এ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে৷ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের নামে এ সব সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হলেও, তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায় না৷ পাওয়া যায় না টেলিফোনেও৷ দেশের বাইরে থাকা মধ্যম বা তৃতীয় সারির কোনো নেতাও মোবাইল ফোন খোলা রাখেন না৷
শুধু তাই-ই নয়, তাদের কর্মসূচিও এখন নামকাওয়াস্তে৷ প্রথমদিকে জামায়াত নেতাদের শাস্তির পর জামায়াত-শিবির যে সহিংস প্রতিবাদ করেছে, এখন আর তা নেই৷ জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জামায়াতের ডাকা হরতালে কোনো সাড়া মেলেনি৷ এমনকি হরতালে জামাত-শিবিরের কোনো নেতা-কর্মীকেও দেখা যায়নি মাঠে৷
এই পরিস্থিতি ব্যখ্যা করতে গিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. তারেক শামসুর রেহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, নির্বাচন কমিশনে দল হিসেবে এখন আর জামায়াতের নিবন্ধন নেই৷ সরকারের যে মনোভাব, তাতে হয়ত এ বছরের মধ্যেই জামায়াত দল হিসেবে নিষিদ্ধ হবে বলে মনে হচ্ছে আমার৷ জামায়াতে ইসলামী নামের এই দলটি বাংলাদেশে আর থাকবে না৷ তবে দলের অনুসারীরা থাকবেন এবং তারা নতুন নামে দল গঠন করে রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন৷ তাঁর কথায়, সেই দলটি ২০১৯ সালের নির্বাচনেও অংশ নেবে৷ তারা কীভাবে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. তারেক বলেন, সেই প্রক্রিয়া কেমন হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ তবে আমার জানা তথ্য মতে, নতুন নেতৃত্বের জন্য জামায়াতের তরুণরা কাজ করছেন৷ জামায়াতের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে জানতে কারাগারের বাইরে থাকা কেন্দ্রীয় নেতা তো দূরের কথা, জামায়াতের জেলা পর্যায়েরও কোনো নেতাকে পাওয়া যায়নি৷
সূত্র: ডয়চে ভেলে
No comments