দুর্নীতি উদ্বেগজনক -টিআই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে
গত এক বছরে দুর্নীতি কমেনি। স্কোর ২০১৪ সালের মতোই ২৫ এ অপরিবর্তিত থাকলেও
অবস্থানের একধাপ অবনতি হয়েছে। এবারো দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান
দ্বিতীয় সর্বনিন্ম হওয়ায় দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা এখনো উদ্বেগজনক
বলে উল্লেখ করেছে বার্লিন ভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)।
সংস্থা বলছে, দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ বলা না গেলেও সূচকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে
এখানে দুর্নীতির মাত্রা বেশি বলা যাবে। ১৬৮টি দেশের মধ্যে এবার বাংলাদেশের
অবস্থান নিন্মক্রমে ১১৩তম। আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত
দেশ ভুটান। তাদের স্কোর ৬৫ এবং অবস্থান ২৭। এ ছাড়া ভারতের অবস্থান ৩৭তম,
শ্রীলঙ্কা ৮৩তম, পাকিস্তান ১১৭তম ও নেপাল ১৩০তম। দুর্নীতি দমনের রাজনৈতিক
অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আরো কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দুর্নীতি দমন
কমিশন (দুদক) জবাবদিহিমূলক অপরাপর প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতার কার্যকারিতা
নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
ঢাকাস্থ টিআইবি অফিসে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০১৫তে এসব তথ্য জানানো হয়। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এই তথ্যপ্রতিবেদন তুলে ধরেন। টিআইবি ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি এম হাফিজউদ্দিন খান এবং উপনির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের। ২০১৫ সালের সিপিআইয়ের জন্য ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে আগস্ট ২০১৫ পর্যন্ত সময়ের তথ্য সংগৃহীত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বৈশ্বিক দুর্নীতি পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতির তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, ২০১৫ সালের দুর্নীতির ধারণা সূচকে বৈশ্বিকভাবেই অবস্থার অবনতি হয়েছে। সূচকে কোনো দেশই শতভাগ স্কোর পায়নি। বিশ্বের সর্বোচ্চ উন্নত দেশগুলোর অনেকেইÑ যেমন অস্ট্রেলিয়া, আইসল্যান্ড, বেলজিয়াম, জাপান, অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি ইত্যাদি ৮০ শতাংশের কম স্কোর পেয়েছে। ১৬৮টি দেশের মধ্যে ১১৪টি অর্থাৎ ৬৮ ভাগ দেশ ৫০-এর কম স্কোর পেয়েছে। ১০৩টি দেশ সূচকের গড় স্কোর ৪৩-এর চেয়ে কম পেয়েছে। এ ছাড়া ২০১৪ সালে যেখানে ৯২টি দেশের স্কোর বেড়েছিল, ২০১৫ সালে সেখানে স্কোর বেড়েছে ৬৫টি দেশের। অন্য দিকে ২০১৪ সালে ৩৬টির তুলনায় ২০১৫ সালে ৪৯টি দেশের স্কোরে অবনতি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ডেনমার্ক গতবার ৯২ স্কোর নিয়ে দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে কম তিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে থাকলেও এবার তাদের স্কোর ৯১। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, লুক্সেমবার্গ ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশের স্কোরেও অবনতি হয়েছে।
সিপিআই অনুযায়ী ৯১ স্কোর পেয়ে ২০১৫ সালে দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে কম তিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ডেনমার্ক। ৯০ স্কোর পেয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড এবং ৮৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সুইডেন। আর সর্বনি¤œ ৮ স্কোর পেয়ে ২০১৫ সালে তালিকার সর্বনি¤েœ যৌথভাবে অবস্থান করছে উত্তর কোরিয়া ও সোমালিয়া। ১১ ও ১২ স্কোর পেয়ে তালিকার সর্বনি¤েœর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দেশ হিসেবে রয়েছে আফগানিস্তান ও সুদান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উচ্চক্রম অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশের ছয় ধাপ অগ্রগতি কিছুটা সন্তোষজনক মনে হতে পারে। কিন্তু আমরা এটাতে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। কেননা বাস্তবে তা হয়েছে সাতটি দেশ এবার জরিপের আওতাভুক্ত হয়নি যারা সবসময় বাংলাদেশের তুলনায় বেশি স্কোর পেয়েছে। দণি এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এবারো বাংলাদেশের অবস্থান আফগানিস্তানের পর দ্বিতীয় সর্বনি¤œ। নি¤œক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশ এবার ২০১৪ সালের ১৪তম অবস্থানের একধাপ নিচে ১৩তম, যা ২০১৩ সালের তুলনায় ৩ ধাপ নিচে ও ২ পয়েন্ট কম। অর্থাৎ সার্বিক বিবেচনায় এবারো আমাদের অগ্রগতি হলো না।
তিনি বলেন, যেসব কারণে আমাদের অগ্রগতি হচ্ছে না তার মধ্যে রয়েছে, সরকার ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কিছু কিছু দুর্নীতিবিরোধী উদ্যোগ সত্ত্বেও প্রয়োগ ও চর্চার ঘাটতির ফলে প্রকটতর হয়েছে কার্যকরভাবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের দৃষ্টান্তের সঙ্কট। দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান দুদকের কার্যকারিতা ও স্বাধীনতা খর্ব করার অপপ্রয়াস যেমন অব্যাহত রয়েছে তেমনি দুদকের নিজস্ব সক্রিয়তা, দৃঢ়তা ও নিরপেতার ঘাটতি রয়েছে চলমান। এ ছাড়া সরকারের নীতি কাঠামো দুর্নীতিসহায়ক, দুর্নীতিতে লাভবান ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয়দানকারী মহলের করাভূত হওয়ার ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে।
টিআইবি বলছে, সিপিআই সম্পর্কে যথাযথ ধারণার অভাবে বাংলাদেশ বা তার অধিবাসীদের দুর্নীতিগ্রস্ত মনে করা হয়। বাস্তবে দেশের আপামর জনগণ দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। তারা দুর্নীতির কারণে তিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী মাত্র। মতাবানদের দুর্নীতি এবং তা প্রতিরোধে দেশের নেতৃত্ব ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতার কারণে দেশ বা জনগণকে কোনোভাবেই দুর্নীতিগ্রস্ত বলা যাবে না। প্রসঙ্গত এ বছর বাংলাদেশের সাথে একই স্কোরপ্রাপ্ত অন্য পাঁচটি দেশ হলোÑ গিনি, লাওস, কেনিয়া, পাপুয়া নিউগিনি ও উগান্ডা।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, সিপিআই র্যাংকিংয়ে আমাদের স্কোর গতবারের চেয়ে কমে না যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও আমাদের কিন্তু বসে থাকলে চলবে না। কারণ আমরা এখনো গড় যে স্কোর তার কাছাকাছিও পৌঁছতে পারিনি। তা ছাড়া সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন হলেও উন্নয়নের সাথে আমাদের দেখতে হবে দুর্নীতি কমছে কি না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না। গণতন্ত্রের বিনিময়ে উন্নয়ন কতটা গ্রহণযোগ্য সেটা নিয়েও ভাবার অবকাশ রয়েছে।
এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, যদি সংসদীয় কমিটিগুলো কার্যকর হয়, প্রশাসনযন্ত্র সংসদের জবাবদিহিতার মধ্যে থাকে, বিরোধী দল কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে তাহলে আমাদের অবস্থার আরো উন্নতি হতে পারে।
সিপিআই ২০১৫-এর জন্য বাংলাদেশের েেত্র সূত্র হিসেবে সাতটি জরিপ ব্যবহৃত হয়েছে। জরিপগুলো হলো, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি পলিসি অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল অ্যাসেসমেন্ট ২০১৪, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এক্সিউকিউটিভ ওপিনিয়ন সার্ভে ২০১৫, বার্টেলসম্যান ফাউন্ডেশন ট্রান্সফরমেশন ইনডেক্স ২০১৬, ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট ‘রুল অব ল’ ইনডেক্স ২০১৫, পলিটিক্যাল রিস্ক সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি রিস্ক গাইড ২০১৫, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস ২০১৫ এবং গ্লোবাল ইনসাইট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস ২০১৪-এর রিপোর্ট।
ঢাকাস্থ টিআইবি অফিসে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০১৫তে এসব তথ্য জানানো হয়। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এই তথ্যপ্রতিবেদন তুলে ধরেন। টিআইবি ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি এম হাফিজউদ্দিন খান এবং উপনির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের। ২০১৫ সালের সিপিআইয়ের জন্য ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে আগস্ট ২০১৫ পর্যন্ত সময়ের তথ্য সংগৃহীত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বৈশ্বিক দুর্নীতি পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতির তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, ২০১৫ সালের দুর্নীতির ধারণা সূচকে বৈশ্বিকভাবেই অবস্থার অবনতি হয়েছে। সূচকে কোনো দেশই শতভাগ স্কোর পায়নি। বিশ্বের সর্বোচ্চ উন্নত দেশগুলোর অনেকেইÑ যেমন অস্ট্রেলিয়া, আইসল্যান্ড, বেলজিয়াম, জাপান, অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি ইত্যাদি ৮০ শতাংশের কম স্কোর পেয়েছে। ১৬৮টি দেশের মধ্যে ১১৪টি অর্থাৎ ৬৮ ভাগ দেশ ৫০-এর কম স্কোর পেয়েছে। ১০৩টি দেশ সূচকের গড় স্কোর ৪৩-এর চেয়ে কম পেয়েছে। এ ছাড়া ২০১৪ সালে যেখানে ৯২টি দেশের স্কোর বেড়েছিল, ২০১৫ সালে সেখানে স্কোর বেড়েছে ৬৫টি দেশের। অন্য দিকে ২০১৪ সালে ৩৬টির তুলনায় ২০১৫ সালে ৪৯টি দেশের স্কোরে অবনতি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ডেনমার্ক গতবার ৯২ স্কোর নিয়ে দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে কম তিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে থাকলেও এবার তাদের স্কোর ৯১। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, লুক্সেমবার্গ ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশের স্কোরেও অবনতি হয়েছে।
সিপিআই অনুযায়ী ৯১ স্কোর পেয়ে ২০১৫ সালে দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে কম তিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ডেনমার্ক। ৯০ স্কোর পেয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড এবং ৮৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সুইডেন। আর সর্বনি¤œ ৮ স্কোর পেয়ে ২০১৫ সালে তালিকার সর্বনি¤েœ যৌথভাবে অবস্থান করছে উত্তর কোরিয়া ও সোমালিয়া। ১১ ও ১২ স্কোর পেয়ে তালিকার সর্বনি¤েœর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দেশ হিসেবে রয়েছে আফগানিস্তান ও সুদান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উচ্চক্রম অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশের ছয় ধাপ অগ্রগতি কিছুটা সন্তোষজনক মনে হতে পারে। কিন্তু আমরা এটাতে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। কেননা বাস্তবে তা হয়েছে সাতটি দেশ এবার জরিপের আওতাভুক্ত হয়নি যারা সবসময় বাংলাদেশের তুলনায় বেশি স্কোর পেয়েছে। দণি এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এবারো বাংলাদেশের অবস্থান আফগানিস্তানের পর দ্বিতীয় সর্বনি¤œ। নি¤œক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশ এবার ২০১৪ সালের ১৪তম অবস্থানের একধাপ নিচে ১৩তম, যা ২০১৩ সালের তুলনায় ৩ ধাপ নিচে ও ২ পয়েন্ট কম। অর্থাৎ সার্বিক বিবেচনায় এবারো আমাদের অগ্রগতি হলো না।
তিনি বলেন, যেসব কারণে আমাদের অগ্রগতি হচ্ছে না তার মধ্যে রয়েছে, সরকার ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কিছু কিছু দুর্নীতিবিরোধী উদ্যোগ সত্ত্বেও প্রয়োগ ও চর্চার ঘাটতির ফলে প্রকটতর হয়েছে কার্যকরভাবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের দৃষ্টান্তের সঙ্কট। দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান দুদকের কার্যকারিতা ও স্বাধীনতা খর্ব করার অপপ্রয়াস যেমন অব্যাহত রয়েছে তেমনি দুদকের নিজস্ব সক্রিয়তা, দৃঢ়তা ও নিরপেতার ঘাটতি রয়েছে চলমান। এ ছাড়া সরকারের নীতি কাঠামো দুর্নীতিসহায়ক, দুর্নীতিতে লাভবান ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয়দানকারী মহলের করাভূত হওয়ার ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে।
টিআইবি বলছে, সিপিআই সম্পর্কে যথাযথ ধারণার অভাবে বাংলাদেশ বা তার অধিবাসীদের দুর্নীতিগ্রস্ত মনে করা হয়। বাস্তবে দেশের আপামর জনগণ দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। তারা দুর্নীতির কারণে তিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী মাত্র। মতাবানদের দুর্নীতি এবং তা প্রতিরোধে দেশের নেতৃত্ব ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতার কারণে দেশ বা জনগণকে কোনোভাবেই দুর্নীতিগ্রস্ত বলা যাবে না। প্রসঙ্গত এ বছর বাংলাদেশের সাথে একই স্কোরপ্রাপ্ত অন্য পাঁচটি দেশ হলোÑ গিনি, লাওস, কেনিয়া, পাপুয়া নিউগিনি ও উগান্ডা।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, সিপিআই র্যাংকিংয়ে আমাদের স্কোর গতবারের চেয়ে কমে না যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও আমাদের কিন্তু বসে থাকলে চলবে না। কারণ আমরা এখনো গড় যে স্কোর তার কাছাকাছিও পৌঁছতে পারিনি। তা ছাড়া সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন হলেও উন্নয়নের সাথে আমাদের দেখতে হবে দুর্নীতি কমছে কি না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না। গণতন্ত্রের বিনিময়ে উন্নয়ন কতটা গ্রহণযোগ্য সেটা নিয়েও ভাবার অবকাশ রয়েছে।
এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, যদি সংসদীয় কমিটিগুলো কার্যকর হয়, প্রশাসনযন্ত্র সংসদের জবাবদিহিতার মধ্যে থাকে, বিরোধী দল কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে তাহলে আমাদের অবস্থার আরো উন্নতি হতে পারে।
সিপিআই ২০১৫-এর জন্য বাংলাদেশের েেত্র সূত্র হিসেবে সাতটি জরিপ ব্যবহৃত হয়েছে। জরিপগুলো হলো, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি পলিসি অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল অ্যাসেসমেন্ট ২০১৪, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এক্সিউকিউটিভ ওপিনিয়ন সার্ভে ২০১৫, বার্টেলসম্যান ফাউন্ডেশন ট্রান্সফরমেশন ইনডেক্স ২০১৬, ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট ‘রুল অব ল’ ইনডেক্স ২০১৫, পলিটিক্যাল রিস্ক সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি রিস্ক গাইড ২০১৫, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস ২০১৫ এবং গ্লোবাল ইনসাইট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস ২০১৪-এর রিপোর্ট।
No comments