বিবিসির বিশ্লেষণ : বেসরকারি বিনিয়োগে গতি নেই
অর্থনীতিবিদরা বলছেন বাংলাদেশে গত প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বেসরকারি বিনিয়োগে এক ধরনের স্থবিরতা কাজ করছে।
নিয়মিত প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বার্ষিক জিডিপির ২০% থেকে ২২%-এর মধ্যেই বেসরকারি বিনিয়োগ আটকে আছে।
বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা এর পেছনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব, অবকাঠামো দুর্বলতা, সুদের উচ্চ হার এবং জ্বালানি সংকটসহ সরকারি নীতিকে দায়ী করে থাকেন।
ঢাকার একজন ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক যৌথ উদ্যোগে একটি কিচেন সিঙ্ক বা বেসিন তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন। দু`বছর আগে শুরু করে এখনো পণ্যটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পারেননি।
আব্দুর রাজ্জাক বলছিলেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে বহু রকম প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়।
তিনি বলছেন, ``অনেক চ্যালেঞ্জ। যেমন প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার। জায়গা যেমন একটা বড় সমস্যা। এখানে আসছেন, আসার সময় রাস্তার অবস্থাটা দেখতে পারছেন।``
``এরকম একটা পরিবেশে পৃথিবীর কোথাও এ ধরনের ইন্ডাস্ট্রির কোনও উদ্যোক্তা আপনার বিনিয়োগ করতে আসবে। কিন্তু আমরা লোকাল ইনভেস্টর বা লোকাল অন্ট্রেপ্রেনার যারা আমরা কিন্তু এভাবেই যুদ্ধ করে বিনিয়োগ করছি।``
বিসিক এলাকায় কারখানার জন্য একাধিকবার আবেদন করেও জমি পাননি মি. রাজ্জাক। তিনি বলছিলেন, ``ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হলে অনেক কিছু লোকাল প্রবলেম সল্ভড হয়ে যেতো। যেমন, আমি যদি নিজে একটা জমি নেই বা একটা ভাড়া জায়গা নিয়ে একটা ইন্ডাস্ট্রি করি, সেখানে লোকাল পলিটিকাল লিডার, বিভিন্ন দলের শুধু ক্ষমতায় যারা থাকে তারা না কিন্তু, সব দলের, বা দলের বাইরেও কিছু প্রফেশনাল কিছু মাস্তান থাকে, ওদের কথা চিন্তায় রাখতে হয়, ওদের চাঁদা দিয়ে করতে হয়।``
উৎপাদনমুখী ক্ষুদ্র শিল্পের একজন উদ্যোক্তা আব্দুর রাজ্জাক ৯০-এর দশক থেকে ক্ষুদ্র শিল্পের সাথে জড়িত। স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট তিনি।
রাজ্জাক বলেন, ``আমাদের অ্যাকসেস টু ফাইনান্স এ সেক্টরে নাই বললেই চলে। ৫০ কোটি টাকাও ঋণ নাই, টোটাল সব ঋণ মিলিয়েও ৫০ কোটি টাকা হবে না। তার মানে এই সেক্টরে লোক চিন্তা করে, আমাকে যদি আপনি ঋণ দেন আমাকে ঋণটা পরিশোধ করতে হবে লাভ সহ। কাজেই আমাকে তখন হিসাব কষতে হয় যে আমি সুদসহ এ টাকাটা শোধ করতে পারব কিনা।``
বাংলাদেশে গত প্রায় এক দশক ধরে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের গতি প্রায় একই রকম রয়েছে।
পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন ``গত প্রায় পাঁচ ছয় বছর ধরেই প্রাইভেট সেক্টর বিনিয়োগটা একটু গতিশীলতাটা হারিয়ে ফেলেছে। এখানে স্থবিরতাটা দেখা যাচ্ছে। স্থবিরতা ইন দ্য রিলেটিভ টার্মস, অ্যাবসল্যুট টার্মে না।``
গ্রোথ হচ্ছে, ১২-১৩% করে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে কিন্তু জিডিপি একই হারে বাড়ছে। আপেক্ষিকভাবে ব্যক্তিখাতে যে বিনিয়োগ সেটা ২০-২২%-এর মধ্যেই আছে গত প্রায় ৮/১০ বছর ধরে। এবং সেটা থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না বলে তিনি জানান।
সূত্র : বিবিসি
নিয়মিত প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বার্ষিক জিডিপির ২০% থেকে ২২%-এর মধ্যেই বেসরকারি বিনিয়োগ আটকে আছে।
বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা এর পেছনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব, অবকাঠামো দুর্বলতা, সুদের উচ্চ হার এবং জ্বালানি সংকটসহ সরকারি নীতিকে দায়ী করে থাকেন।
ঢাকার একজন ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক যৌথ উদ্যোগে একটি কিচেন সিঙ্ক বা বেসিন তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন। দু`বছর আগে শুরু করে এখনো পণ্যটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পারেননি।
আব্দুর রাজ্জাক বলছিলেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে বহু রকম প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়।
তিনি বলছেন, ``অনেক চ্যালেঞ্জ। যেমন প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার। জায়গা যেমন একটা বড় সমস্যা। এখানে আসছেন, আসার সময় রাস্তার অবস্থাটা দেখতে পারছেন।``
``এরকম একটা পরিবেশে পৃথিবীর কোথাও এ ধরনের ইন্ডাস্ট্রির কোনও উদ্যোক্তা আপনার বিনিয়োগ করতে আসবে। কিন্তু আমরা লোকাল ইনভেস্টর বা লোকাল অন্ট্রেপ্রেনার যারা আমরা কিন্তু এভাবেই যুদ্ধ করে বিনিয়োগ করছি।``
বিসিক এলাকায় কারখানার জন্য একাধিকবার আবেদন করেও জমি পাননি মি. রাজ্জাক। তিনি বলছিলেন, ``ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হলে অনেক কিছু লোকাল প্রবলেম সল্ভড হয়ে যেতো। যেমন, আমি যদি নিজে একটা জমি নেই বা একটা ভাড়া জায়গা নিয়ে একটা ইন্ডাস্ট্রি করি, সেখানে লোকাল পলিটিকাল লিডার, বিভিন্ন দলের শুধু ক্ষমতায় যারা থাকে তারা না কিন্তু, সব দলের, বা দলের বাইরেও কিছু প্রফেশনাল কিছু মাস্তান থাকে, ওদের কথা চিন্তায় রাখতে হয়, ওদের চাঁদা দিয়ে করতে হয়।``
উৎপাদনমুখী ক্ষুদ্র শিল্পের একজন উদ্যোক্তা আব্দুর রাজ্জাক ৯০-এর দশক থেকে ক্ষুদ্র শিল্পের সাথে জড়িত। স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট তিনি।
রাজ্জাক বলেন, ``আমাদের অ্যাকসেস টু ফাইনান্স এ সেক্টরে নাই বললেই চলে। ৫০ কোটি টাকাও ঋণ নাই, টোটাল সব ঋণ মিলিয়েও ৫০ কোটি টাকা হবে না। তার মানে এই সেক্টরে লোক চিন্তা করে, আমাকে যদি আপনি ঋণ দেন আমাকে ঋণটা পরিশোধ করতে হবে লাভ সহ। কাজেই আমাকে তখন হিসাব কষতে হয় যে আমি সুদসহ এ টাকাটা শোধ করতে পারব কিনা।``
বাংলাদেশে গত প্রায় এক দশক ধরে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের গতি প্রায় একই রকম রয়েছে।
পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন ``গত প্রায় পাঁচ ছয় বছর ধরেই প্রাইভেট সেক্টর বিনিয়োগটা একটু গতিশীলতাটা হারিয়ে ফেলেছে। এখানে স্থবিরতাটা দেখা যাচ্ছে। স্থবিরতা ইন দ্য রিলেটিভ টার্মস, অ্যাবসল্যুট টার্মে না।``
গ্রোথ হচ্ছে, ১২-১৩% করে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে কিন্তু জিডিপি একই হারে বাড়ছে। আপেক্ষিকভাবে ব্যক্তিখাতে যে বিনিয়োগ সেটা ২০-২২%-এর মধ্যেই আছে গত প্রায় ৮/১০ বছর ধরে। এবং সেটা থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না বলে তিনি জানান।
সূত্র : বিবিসি
No comments