ট্যানারি বর্জ্যে তৈরি হচ্ছে মুরগি ও মাছের খাবার : তিন কারখানা বন্ধ
ট্যানারি
বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে মুরগি ও মাছের খাবার। একশ্রেণীর অতি
মুনাফালোভী ব্যবসায়ী এই খাবার তৈরি করে মুরগির খামারি ও মাছ চাষীদের কাছে
বিক্রি করছেন। রাজধানীর হাজারীবাগ ট্যানারীর কাছে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায়
গড়ে উঠেছে এই খাবার তৈরির কারখানা। বুধবার ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে
এরকম তিনটি কারখানার সন্ধান পায়। পরে মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করে
কারখানাগুলো সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক ড.
দিদারুল আলম ও র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের
নেতৃত্বে কালোনগরে শিপন ফিড মিল, শোয়েব এন্টারপ্রাইজ এবং খলিলের মাছের আউশ
কারখানায় অভিযান চালায় র্যাব-২। এ সময় প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি
ডাঃ মোঃ লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, মুরগি ও মাছের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার প্রতি কেজির দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আর ট্যানারীর বর্জ্যে তৈরি প্রতি কেজি খাবারের দাম মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা। কম পয়সায় অধিক মুনাফার আশায় লোভী মুরগির খামার মালিক ও মাছ চাষীরা এই বিষাক্ত খাবার কিনে থাকেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন জানান, বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ওই তিন কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিষাক্ত বর্জ্য মিশিয়ে মুরগি ও মাছের খাবার তৈরির অভিযোগে ৭ জনকে আটক করে র্যাব। আটককৃতরা তাদের দোষ স্বীকার করায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এক্ষেত্রে জয়নাল আবেদিন ও গোলাম সারোয়াকে তিন মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদকে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তিন দিনের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। কালামকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড এবং নাসির উদ্দিন ও সাইদ শেখকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে প্রত্যেককে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত।
কারখানারমালিক জয়নাল আবেদিন, গোলাম সারোয়ার ও নাসির উদ্দিন জানান, ট্যানারী থেকে চামড়ার বর্জ্য কারখানায় এনে সিদ্ধ করে ছাদে শুকিয়ে শুঁটকি বানান। এ শুঁটকি ১৭ টাকা কেজি হিসেবে পাইকারী বিক্রি করেন এবং নিজেরাই গুড়া করে ফিড তৈরী করেন। তাদের কাছ থেকে শুঁটকি কিনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ক্ষতিকর ফিড তৈরী করছে।
র্যাব জানায়, গত কয়েক বছর ধরে কারখানাগুলোতে এভাবে ফিড তৈরি হচ্ছে। মুরগী বা মাছের খাবারে ৩০ পিপিএম মাত্রার বেশি ক্রোমিয়াম থাকা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ইতিপূর্বে অভিযানকালে উক্ত কারখানাগুলিতে উৎপাদিত ফিডে প্রায় পাঁচ হাজার পিপিএম মাত্রায় ক্রোমিয়াম পাওয়া যায়। উন্নতমানের ফিড একশত কেজির মূল্য সাড়ে চার হাজার টাকা হলেও ট্যানারী বর্জ্য মিশ্রিত ফিড মাত্র তিন হাজার টাকা। কতিপয় অসাধু খামারী অধিক মুনাফার আশায় এসব কারখানা হতে বিষাক্ত খামারে ব্যবহার করে যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক ডঃ মোঃ দিদারুল আলম জানান, দুটি কারনে এই ক্ষতিকর ট্যানারী বর্জ্য মৎস ও মুরগির খাবারে ব্যবহৃত হয়। প্রথমত, এটি খাওয়ালে মুরগি বা মাছে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ডিমের আকার বড় হয়। দ্বিতীয়ত, এটি দামে সস্তা। এসব খাবারে প্রচুর পরিমানে ভারী মৌল ক্রোমিয়াম থাকে যা মারাত্মক ক্ষতিকর। বিষাক্ত এ ফিড মাছ বা মুরগি খেলে মলমূত্রের মাধ্যমে খানিকটা বের হযে গেলেও একটা বড় অংশ মাছ বা মুরগির শরীরে জমা হতে থাকে। এমনকি ডিমেও জমা হয়। উক্ত মাছ, মুরগি বা ডিম খেলে মানুষের শরীরে ক্রোমিয়াম প্রবেশ করে এবং মলমূত্রের মাধ্যমে সবটা বের হতে না পেরে শরীরে জমা হতে থাকে এবং নানা রোগ সৃষ্টি করে। যেমন-ক্যান্সার, টিউমার, পাকস্থলি আলসার, এ্যাজমা, শ¡াসকষ্ট, চর্মরোগ ইত্যাদি।
জানা গেছে, মুরগি ও মাছের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার প্রতি কেজির দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আর ট্যানারীর বর্জ্যে তৈরি প্রতি কেজি খাবারের দাম মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা। কম পয়সায় অধিক মুনাফার আশায় লোভী মুরগির খামার মালিক ও মাছ চাষীরা এই বিষাক্ত খাবার কিনে থাকেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন জানান, বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ওই তিন কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিষাক্ত বর্জ্য মিশিয়ে মুরগি ও মাছের খাবার তৈরির অভিযোগে ৭ জনকে আটক করে র্যাব। আটককৃতরা তাদের দোষ স্বীকার করায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এক্ষেত্রে জয়নাল আবেদিন ও গোলাম সারোয়াকে তিন মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদকে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তিন দিনের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। কালামকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড এবং নাসির উদ্দিন ও সাইদ শেখকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে প্রত্যেককে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত।
কারখানারমালিক জয়নাল আবেদিন, গোলাম সারোয়ার ও নাসির উদ্দিন জানান, ট্যানারী থেকে চামড়ার বর্জ্য কারখানায় এনে সিদ্ধ করে ছাদে শুকিয়ে শুঁটকি বানান। এ শুঁটকি ১৭ টাকা কেজি হিসেবে পাইকারী বিক্রি করেন এবং নিজেরাই গুড়া করে ফিড তৈরী করেন। তাদের কাছ থেকে শুঁটকি কিনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ক্ষতিকর ফিড তৈরী করছে।
র্যাব জানায়, গত কয়েক বছর ধরে কারখানাগুলোতে এভাবে ফিড তৈরি হচ্ছে। মুরগী বা মাছের খাবারে ৩০ পিপিএম মাত্রার বেশি ক্রোমিয়াম থাকা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ইতিপূর্বে অভিযানকালে উক্ত কারখানাগুলিতে উৎপাদিত ফিডে প্রায় পাঁচ হাজার পিপিএম মাত্রায় ক্রোমিয়াম পাওয়া যায়। উন্নতমানের ফিড একশত কেজির মূল্য সাড়ে চার হাজার টাকা হলেও ট্যানারী বর্জ্য মিশ্রিত ফিড মাত্র তিন হাজার টাকা। কতিপয় অসাধু খামারী অধিক মুনাফার আশায় এসব কারখানা হতে বিষাক্ত খামারে ব্যবহার করে যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক ডঃ মোঃ দিদারুল আলম জানান, দুটি কারনে এই ক্ষতিকর ট্যানারী বর্জ্য মৎস ও মুরগির খাবারে ব্যবহৃত হয়। প্রথমত, এটি খাওয়ালে মুরগি বা মাছে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ডিমের আকার বড় হয়। দ্বিতীয়ত, এটি দামে সস্তা। এসব খাবারে প্রচুর পরিমানে ভারী মৌল ক্রোমিয়াম থাকে যা মারাত্মক ক্ষতিকর। বিষাক্ত এ ফিড মাছ বা মুরগি খেলে মলমূত্রের মাধ্যমে খানিকটা বের হযে গেলেও একটা বড় অংশ মাছ বা মুরগির শরীরে জমা হতে থাকে। এমনকি ডিমেও জমা হয়। উক্ত মাছ, মুরগি বা ডিম খেলে মানুষের শরীরে ক্রোমিয়াম প্রবেশ করে এবং মলমূত্রের মাধ্যমে সবটা বের হতে না পেরে শরীরে জমা হতে থাকে এবং নানা রোগ সৃষ্টি করে। যেমন-ক্যান্সার, টিউমার, পাকস্থলি আলসার, এ্যাজমা, শ¡াসকষ্ট, চর্মরোগ ইত্যাদি।
No comments