স্বল্পোন্নত থেকে বের হতে আরও সময় লাগবে বাংলাদেশের
জাতিসংঘের
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হতে বাংলাদেশের আরও সময় লাগবে জানিয়েছে
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। তবে তবে
২০২৪ সাল নাগাদ এই তালিকা থেকে বের হওয়ার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার
সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা আঙ্কটাডের এক
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা
সূচকের মানদ- ইতিমধ্যে পূরণ করেছে বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে
বের হতে হলে দেশটিকে ন্যূনতম আরেকটি সূচকের মানদ- পূরণ করতে হবে। আর তা
হলেই ২০১৮ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত হবে
বাংলাদেশ। এরপর ছয় বছর পর্যবেক্ষণে থেকে ২০২৪ সালে তা কার্যকর হবে। সিপিডি
বলেছে, স্বল্পোন্নত দেশের তিন সূচকের মধ্যে মানবসম্পদ সূচকেও বাংলাদেশ
লক্ষ্য পূরণের কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। ফলে এই লক্ষ্যটি পূরণ হলে ২০১৮
সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে
দেশটি। যদিও সেটি কার্যকর হবে ২০২৪ সালে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে
সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের হিসেবে
উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে বাংলাদেশের মাথাপিছু গড় আয় আগামী ছয় বছরের
মধ্যে চার গুণ বৃদ্ধি করতে হবে। কোনো বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ছাড়া এই অর্জন
সম্ভব না এবং বাস্তবভিত্তিকও না। আর সেটি সম্ভব না হলে বাংলাদেশ নিম্ন
মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবেই থাকবে। স্বল্পোন্নত দেশগুলো নিয়ে জাতিসংঘের সহযোগী
সংস্থা আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে তিনটি সূচকের (আই সূচক, মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচক
ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক) ভিত্তিতে এই তালিকাটি তৈরি করা হয়। অনুষ্ঠানে
সিপিডির পক্ষে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা ফেলো তৌফিকুল
ইসলাম খান। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ছাড়াও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।
No comments