পিছু হটতে নারাজ রাশিয়া, তুরস্ক ভূমধ্যসাগরে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন
রাশিয়া,
তুরস্ক কোন পক্ষই পিছু হটতে নারাজ। উল্টো নিজের যুদ্ধবিমানগুলোকে
নিরাপত্তা দিতে এরই মধ্যে ভূমধ্য সাগরে এডভান্সড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা
মোতায়েন করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার রাশিয়ার যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে
তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান বলেছেন, তার দেশের
আত্মরক্ষার অধিকার আছে। অর্থাৎ তাদের আকাশসীমায় রাশিয়ার যুদ্ধবিমান প্রবেশ
করায় তা গুলি করে ভূপাতিত করা সঠিক। এর জবাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির
পুতিন পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি ভূমধ্য সাগরে মোতায়েন করেছেন
অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এর সহায়তা নিয়ে তুরস্ক সীমান্তের কাছে
সিরিয়ায় অভিযান চালাবে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান। সহজেই ধারণা করা যায় যে, যদি
এরপর তুরস্ক একই কাজ করে তাহলে রাশিয়া তার কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত। বার্তা
সংস্থা রয়টার্স খবর দিয়েছে যে, বুধবার সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাক
লাতাকিয়ায় তীব্র বোমা বর্ষণ করেছে রাশিয়া। এ এলাকার কাছেই মঙ্গলবার রাশিয়ার
যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছিল। এসব ঘটনায় রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে যে
উত্তেজনা দেখা দিয়েছে তাতে তাদেরকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। তারা রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে
টেলিফোন করে কথা বলেছে। এ দুটি দেশের মধ্যে যদি যুদ্ধ লেগে যায় তা তৃতীয়
বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে আগেভাগেই বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, তুরস্ক এখন ন্যাটোর একটি সদস্য দেশ। ফলে মঙ্গলবারের ঘটনাকে গত
প্রায় অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে রাশিয়া ও ন্যাটোর এই সদস্যের মধ্যে সবচেয়ে জটিল
পরিস্থিতি বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় তুরস্কের
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান তো ক্ষমা চানই নি, উপরন্তু তিনি বলেছেন,
তার নিজের দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার অধিকার তার আছে। তিনি সে কাজটিই
করেছেন। তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, তুরস্কের নীতিতে কোন পরিবর্তন আসবে না।
তুরস্কের এমন কর্মকা-ে রাশিয়ার কর্মকর্তারা ক্ষোভে ফুঁসছেন। তারা তুরস্কের
কোন অবকাশ যাপন কেন্দ্রে যাতে কোন রাশিয়ান না যান সে জন্য নিষেধাজ্ঞা
আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্যে কিছু
বিধিনিষেধের আহ্বানও জানান।
No comments