আ’লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যানের নির্যাতনে কাতরাচ্ছেন গৃহবধূ ফজিলা by মোঃ শহীদুল হক সরকার
নাটোরের
সিংড়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ ওরফে বাবা
সুলতানের প্রকাশ্য নির্যাতনের শিকার গৃহবধু ফজিলা বেগম এখন সিংড়া উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডে যন্ত্রনায় ছটফট করছেন। প্রকাশ্যে
রাস্তা দিয়ে অস্ত্রের মুখে টেনে বনকুড়ি ব্রীজে নিয়ে গিয়ে তার মাথায় রামদা
দিয়ে কুপিয়ে জখম করার পর ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে তার বাম পা ও হাত। এ ঘটনায়
সোমবার বিকেলে নাটোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চেয়ারম্যান
সুলতান আহমেদ ওরফে বাবা সুলতানসহ নয় জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন স্থানীয়
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাতেম আলী।
সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্যাতিত ফজিলা বেগম ও তার স্বামী বাবলু মিয়া এবং এলাকাবাসী জানান, রোববার দুপুরে উপজেলার বনকুড়ি গ্রামে বনকুড়ি মসজিদের নিয়ন্ত্রনে থাকা খাস জলাশয়ের মাছ ধরতে যায় ১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ ওরফে বাবা সুলতান ও তার সহযোগীরা। এ সময় এলাকার নারী পুরুষ সকলে এসে মাছ মারতে বাঁধা দিলে তিনি পকেট থেকে পিস্তল বের করে সবাইকে তাড়িয়ে দেন। ঘটনার সময় বনকুড়ি গ্রামের বাবলু মিয়ার স্ত্রী ফজিলা বেগম (৩৮) সকলের পিছনে পড়ে গেলে বাবা সুলতান তাকে ধরে রাস্তা দিয়ে টেনে হিচড়ে বনকুড়ি ব্রিজে নিয়ে আসে। পরে তার সহযোগী শামীম ও এনামুলসহ কয়েকজন এলোপাথারিভাবে মারপিটের পর তার মাথায় রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ও তার বাম পা এবং হাত ভেঙ্গে দেয়। বাবা সুলতার চলে যাওয়ার পর এলাকাবাসী আহত গৃহবধু ফজিলা বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে ‘বাবা সুলতান’ খ্যাত সুলতান আহমেদ ২০১১ সালের ২৫ জুন ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের কারণে তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা হলে তিনি চলে যান আত্মগোপনে। বেশির ভাগ সময়ই ইউনিয়ন পরিষদ চলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিয়ে। সুলতান আতঙ্কে সাধারণ মানুষেরা কেউ আর ইউনিয়ন কার্যালয়ে যায় না। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে একটি গোপন কক্ষ রয়েছে। সেটা সবার কাছে সুলতানের টর্চার সেল নামে পরিচিত। নির্যাতনের ভয়ে প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতেও চায় না। বগুড়া অবস্থান করে সপ্তাহে ২/১দিন তিনি অফিস করেন।
এর আগে এই চেয়ারম্যান সুলতানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে দুর্নীতিসহ সতেরোটি অভিযোগে তার উপর অনাস্থা এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেন ইউনিয়ন পরিষদের ১০ ইউপি সদস্য। পরে চেয়ারম্যানের রোষানল থেকে বাঁচতে রাতেই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সিংড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তারা।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বাবা সুলতানের মোবাইল নম্বরে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সিংড়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন মন্ডল বলেছেন, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি। মামলা করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্যাতিত ফজিলা বেগম ও তার স্বামী বাবলু মিয়া এবং এলাকাবাসী জানান, রোববার দুপুরে উপজেলার বনকুড়ি গ্রামে বনকুড়ি মসজিদের নিয়ন্ত্রনে থাকা খাস জলাশয়ের মাছ ধরতে যায় ১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ ওরফে বাবা সুলতান ও তার সহযোগীরা। এ সময় এলাকার নারী পুরুষ সকলে এসে মাছ মারতে বাঁধা দিলে তিনি পকেট থেকে পিস্তল বের করে সবাইকে তাড়িয়ে দেন। ঘটনার সময় বনকুড়ি গ্রামের বাবলু মিয়ার স্ত্রী ফজিলা বেগম (৩৮) সকলের পিছনে পড়ে গেলে বাবা সুলতান তাকে ধরে রাস্তা দিয়ে টেনে হিচড়ে বনকুড়ি ব্রিজে নিয়ে আসে। পরে তার সহযোগী শামীম ও এনামুলসহ কয়েকজন এলোপাথারিভাবে মারপিটের পর তার মাথায় রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ও তার বাম পা এবং হাত ভেঙ্গে দেয়। বাবা সুলতার চলে যাওয়ার পর এলাকাবাসী আহত গৃহবধু ফজিলা বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে ‘বাবা সুলতান’ খ্যাত সুলতান আহমেদ ২০১১ সালের ২৫ জুন ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের কারণে তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা হলে তিনি চলে যান আত্মগোপনে। বেশির ভাগ সময়ই ইউনিয়ন পরিষদ চলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিয়ে। সুলতান আতঙ্কে সাধারণ মানুষেরা কেউ আর ইউনিয়ন কার্যালয়ে যায় না। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে একটি গোপন কক্ষ রয়েছে। সেটা সবার কাছে সুলতানের টর্চার সেল নামে পরিচিত। নির্যাতনের ভয়ে প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতেও চায় না। বগুড়া অবস্থান করে সপ্তাহে ২/১দিন তিনি অফিস করেন।
এর আগে এই চেয়ারম্যান সুলতানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে দুর্নীতিসহ সতেরোটি অভিযোগে তার উপর অনাস্থা এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেন ইউনিয়ন পরিষদের ১০ ইউপি সদস্য। পরে চেয়ারম্যানের রোষানল থেকে বাঁচতে রাতেই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সিংড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তারা।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বাবা সুলতানের মোবাইল নম্বরে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সিংড়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন মন্ডল বলেছেন, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি। মামলা করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments