বাংলাদেশী হাই কমিশনারকে তলব করবে পাকিস্তান
যুদ্ধাপরাধের
অভিযোগে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী
আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির জের ধরে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের
হাই কমিশনারকে তলব করবে পাকিস্তান সরকার। ওই ফাঁসি কার্যকরের পর পাকিস্তান
কড়া সমালোচনা করে। তার পাল্টা জবাবও দিয়েছে বাংলাদেশ। এবার প্রতিবাদ হিসেবে
পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
দেশটি। বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে এমপিদের কাছে এ কথা বলেছেন
ক্ষমতাসীন দলের এক এমপি। এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত প্রভাবশালী
পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের পাকিস্তানি সংস্করণ এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। এতে
বলা হয়, বাংলাদেশী ওই দু’নেতাকে ‘ত্রুটিপূর্ণ বিচার’ করার অভিযোগে এমপিরা
সর্বসম্মতভাবে নিন্দা জানান। এর একদিন পরই জাতীয় পরিষদ সদস্য শেখ আফতাব
আহমেদ এ ঘটনা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-এ তোলার জন্য
পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের রিপোর্টে বলা
হয়েছে, রোববার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের
চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি
কার্যকর হয়। একে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। পাকিস্তানের এমন অবস্থানের জবাবে
বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে প্রতিবাদ পাঠিয়েছে। তারা ঢাকায় নিযুক্ত
পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ সরকার এ
বিষয়টিকে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে মনে করে এবং এটাকে
অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করে। বুধবার পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর তোলা এক
নোটিশের জবাবে বুধবার জাতীয় পরিষদে বক্তব্য রাখেন শেখ আফতাব আহমদ। জামায়াতে
ইসলামী থেকে দেয়া নোটিশে বলা হয়েছিল, ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও
ভারতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তা লঙ্ঘন করেছেন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এর জবাবে আফতাব আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে যে যুদ্ধ
হয়েছে তা ছিল পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে। যেসব মানুষ পাকিস্তানের সমর্থক
ছিলেন তাদের বিচার করা ছিল অযৌক্তিক। প্রতিবাদ স্বরূপ ঢাকায় নিয়োজিত
পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে ডেকে পাঠানোর আহ্বান জানান পাকিস্তান তেহরিকে
ইনসাফ দলের এমপি শিরিন মাজারি।
No comments