‘গোল্ডেন রাইস চাষীদের অধিকার কেড়ে নেবে'
জেনিটিক্যালি
মোডিফায়েড ‘গোল্ডেন রাইস'-এর পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷
ওদিকে দেশি জাতের ধান রক্ষায় যারা কাজ করছেন তাদের দাবি, এই রাইসের মাধ্যমে
বহুজাতিক কোম্পানি বাংলাদেশের ধান দখল করতে চান৷
দেশীয় ধানে বিটা ক্যারেটিন বা ভিটামিন এ নেই৷ অন্যদিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মাধ্যমে আবিষ্কৃত ‘গোল্ডেন রাইস'-এ ভিটামিন এ পাওয়া যাবে৷ বাংলাদেশ রাইস রিচার্স ইনস্টিটিউটের (বিরি) বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ধান শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের ভিটামিন এ-এর অভাব পূরণ করবে৷ শিশুদের রক্ষা করবে রাতকানা রোগ থেকে৷
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংবাদমাধ্যকে জানান, ‘‘বিরি-র অনুরোধে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল কমিটি অন ক্রপ বায়োটেকনোলজি গত ২০শে সেপ্টেম্বর মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে এই ধান উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে৷
ভুট্টা অথবা সূর্যমুখী বীজের জিনের সহায়তায় জিআর-২-ই বিরি ধান ২৯ কে গোল্ডেন রাইনে রূপন্তরের গবেষণা পর্যায়ের উৎপাদন এরইমধ্যে সফল করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা, গাজীপুরের বিরি সদর দপ্তরে স্বচ্ছ পর্দাঘেরা জায়গায়৷ বিরি-র মহাপরিচালক ড. জীবন কুমার বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘আগামী নভেম্বরে বেরো মৌসুমে বিরি সংলগ্ন আলাদা মাঠে এই ধান চাষ করা হবে৷ এরপর একাধিক মাঠে৷ তারপর কৃষকদের মধ্যে বীজ বিতরণের পরিকল্পনাও রয়েছে৷''
তবে এই গোল্ডেন রাইসের বিরোধিতা করেছেন বাংলাদেশে দেশি ধানের জাত নিয়ে কাজ করা উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ) নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আক্তার৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘কথিত গোল্ডেন রাইসের নামে বহুজাতিক কোম্পানি বাংলাদেশের ধানকে দখল করতে চাইছে৷ ফলে দেখা যাবে, এর ‘কপিরাইট' এবং বীজের জন্য আমাদের কৃষক বহুজাতিক কোম্পানির কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের ভিটামিন এ-এর অভাব পূরণের জন্য নানা শাক-সবজি আছে৷ সেগুলোর চাষ বাড়ানো যায়৷ কিন্তু ধানের মাধ্যমে ভিটামিন এ-এর অভাব পূরণ হাস্যকর৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে জিএম ফুড নিষিদ্ধ হচ্ছে, সেখানে আমরা সেটাই আমন্ত্রণ জানাচ্ছি৷ এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে?''
ফরিদা আক্তারের কথায়, ‘‘জিএম ফুড বিটি বেগুন বাংলাদেশের বেগুন চাষীদের নিঃস্ব করছে৷ আর এবার গোল্ডেন রাইস বাংলাদেশের চাষীদের কাছ থেকে ধানের অধিকারও কেড়ে নেবে৷''
বহুজাতিক কোম্পানি সিনজেনটা-র সঙ্গে চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে বিরি এই প্রযুক্তি নিয়েছে৷ এই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক ইগনো প্রটেকাস এবং জার্মানির ফ্রাইবুর্গ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পেটার বায়ার৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে
দেশীয় ধানে বিটা ক্যারেটিন বা ভিটামিন এ নেই৷ অন্যদিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মাধ্যমে আবিষ্কৃত ‘গোল্ডেন রাইস'-এ ভিটামিন এ পাওয়া যাবে৷ বাংলাদেশ রাইস রিচার্স ইনস্টিটিউটের (বিরি) বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ধান শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের ভিটামিন এ-এর অভাব পূরণ করবে৷ শিশুদের রক্ষা করবে রাতকানা রোগ থেকে৷
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংবাদমাধ্যকে জানান, ‘‘বিরি-র অনুরোধে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল কমিটি অন ক্রপ বায়োটেকনোলজি গত ২০শে সেপ্টেম্বর মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে এই ধান উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে৷
ভুট্টা অথবা সূর্যমুখী বীজের জিনের সহায়তায় জিআর-২-ই বিরি ধান ২৯ কে গোল্ডেন রাইনে রূপন্তরের গবেষণা পর্যায়ের উৎপাদন এরইমধ্যে সফল করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা, গাজীপুরের বিরি সদর দপ্তরে স্বচ্ছ পর্দাঘেরা জায়গায়৷ বিরি-র মহাপরিচালক ড. জীবন কুমার বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘আগামী নভেম্বরে বেরো মৌসুমে বিরি সংলগ্ন আলাদা মাঠে এই ধান চাষ করা হবে৷ এরপর একাধিক মাঠে৷ তারপর কৃষকদের মধ্যে বীজ বিতরণের পরিকল্পনাও রয়েছে৷''
তবে এই গোল্ডেন রাইসের বিরোধিতা করেছেন বাংলাদেশে দেশি ধানের জাত নিয়ে কাজ করা উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ) নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আক্তার৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘কথিত গোল্ডেন রাইসের নামে বহুজাতিক কোম্পানি বাংলাদেশের ধানকে দখল করতে চাইছে৷ ফলে দেখা যাবে, এর ‘কপিরাইট' এবং বীজের জন্য আমাদের কৃষক বহুজাতিক কোম্পানির কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের ভিটামিন এ-এর অভাব পূরণের জন্য নানা শাক-সবজি আছে৷ সেগুলোর চাষ বাড়ানো যায়৷ কিন্তু ধানের মাধ্যমে ভিটামিন এ-এর অভাব পূরণ হাস্যকর৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে জিএম ফুড নিষিদ্ধ হচ্ছে, সেখানে আমরা সেটাই আমন্ত্রণ জানাচ্ছি৷ এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে?''
ফরিদা আক্তারের কথায়, ‘‘জিএম ফুড বিটি বেগুন বাংলাদেশের বেগুন চাষীদের নিঃস্ব করছে৷ আর এবার গোল্ডেন রাইস বাংলাদেশের চাষীদের কাছ থেকে ধানের অধিকারও কেড়ে নেবে৷''
বহুজাতিক কোম্পানি সিনজেনটা-র সঙ্গে চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে বিরি এই প্রযুক্তি নিয়েছে৷ এই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক ইগনো প্রটেকাস এবং জার্মানির ফ্রাইবুর্গ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পেটার বায়ার৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে
No comments