রাজনীতি ব্যবসায়ীদের পকেটে, মন্তব্য রাষ্ট্রপতির
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আজ সোমবার বিকেলে এক নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। |
রাষ্ট্রপতি
আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘দেশের রাজনীতি চলে গেছে ব্যবসায়ীদের পকেটে। আর তা
আমাদের দেশের জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়। যেকোনো ভাবেই হোক এ থেকে দেশকে মুক্ত
করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি আজ সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক নাগরিক সমাবেশে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার কারণে এলাকাবাসীসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় দুঃখপ্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আপনারা ইচ্ছে করলেই এখন আর আগের মতো আমার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। কাছে আসতে পারেন না। নিরাপদ দূরত্বে বজায় রেখে চলতে হয়। আমাকে বন্দী কইরা রাখা হইছে, আর আপনাদের রাখা হইছে বেড়া দিয়ে।’ তবে তিনি বলেন, ‘সারা জীবন তো আমি রাষ্ট্রপতি থাকব না, সে সময় আবার আপনারা আমার কাছে আসতে পারবেন, আর আমি আপনাদেরর কাছে যেতে পারব।’
হাওর সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের সবচেয়ে অবহেলার পাত্র এ হাওরাঞ্চল। প্রতিনিয়ত প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করে বাঁচতে হয় হাওরবাসীকে। বর্ষায় বড় বড় ঢেউ, নদী ভাঙন, ঝড়, তুফান ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে বাস করতে হয়। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নদীপথ। তাই সুবিধা বঞ্চিত হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের মানুষজনের জীবনমান উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, মৃত্যুর পর এক সময় হাওরের মানুষকে কবর দেওয়া যেত না। পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হতো। এখন আর কাউকে পানির মধ্যে ভাসাতে হয় না। এরই মধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে স্কুল, কলেজ, এতিমখানাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন চলছে দ্রুত গতিতে। সাড়ে চার শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম হাইওয়ে সড়ক। ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্রুতই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। বিদ্যুতের দুর্ভোগ দূর করতে আরও নতুন তিন শ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা হবে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি আজ সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক নাগরিক সমাবেশে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার কারণে এলাকাবাসীসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় দুঃখপ্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আপনারা ইচ্ছে করলেই এখন আর আগের মতো আমার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। কাছে আসতে পারেন না। নিরাপদ দূরত্বে বজায় রেখে চলতে হয়। আমাকে বন্দী কইরা রাখা হইছে, আর আপনাদের রাখা হইছে বেড়া দিয়ে।’ তবে তিনি বলেন, ‘সারা জীবন তো আমি রাষ্ট্রপতি থাকব না, সে সময় আবার আপনারা আমার কাছে আসতে পারবেন, আর আমি আপনাদেরর কাছে যেতে পারব।’
হাওর সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের সবচেয়ে অবহেলার পাত্র এ হাওরাঞ্চল। প্রতিনিয়ত প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করে বাঁচতে হয় হাওরবাসীকে। বর্ষায় বড় বড় ঢেউ, নদী ভাঙন, ঝড়, তুফান ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে বাস করতে হয়। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নদীপথ। তাই সুবিধা বঞ্চিত হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের মানুষজনের জীবনমান উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, মৃত্যুর পর এক সময় হাওরের মানুষকে কবর দেওয়া যেত না। পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হতো। এখন আর কাউকে পানির মধ্যে ভাসাতে হয় না। এরই মধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে স্কুল, কলেজ, এতিমখানাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন চলছে দ্রুত গতিতে। সাড়ে চার শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম হাইওয়ে সড়ক। ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্রুতই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। বিদ্যুতের দুর্ভোগ দূর করতে আরও নতুন তিন শ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা হবে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি।
ধলেশ্বরী নদীর ওপর ৩৪১ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু’ উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি। ছবি: প্রথম আলো |
নিজের
সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমার রাজনীতি মানুষের
কল্যাণে। অবৈধভাবে সরকারি কাজ থেকে একটি লাল পয়সাও পকেটে নেইনি। আর
বর্তমানে ব্যবসায়ীদের দখলে রাজনীতি। এ কারণে রাজনীতি আজ তাদের জন্য
কলুষিত। এই কলঙ্ক থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।’
নাগরিক কমিটি আহ্বায়ক ও অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক হায়দারীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ রেজওয়ান আহমেদ, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান, অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম।
এর আগে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ৩৪১ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু’ উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি। এই সেতুর নির্মাণ হওয়ার কারণে অষ্টগ্রাম সদর, পূর্ব অষ্টগ্রাম, কাস্তল, বাঙ্গালপাড়া ও দেউঘর ইউনিয়নের মানুষ সড়ক পথে যাতায়াত করতে পারবেন।
নাগরিক কমিটি আহ্বায়ক ও অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক হায়দারীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ রেজওয়ান আহমেদ, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান, অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম।
এর আগে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ৩৪১ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু’ উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি। এই সেতুর নির্মাণ হওয়ার কারণে অষ্টগ্রাম সদর, পূর্ব অষ্টগ্রাম, কাস্তল, বাঙ্গালপাড়া ও দেউঘর ইউনিয়নের মানুষ সড়ক পথে যাতায়াত করতে পারবেন।
No comments