নিরাপত্তার ‘মহড়া’ বনাম আসল নিরাপত্তা by এ কে এম জাকারিয়া
রাজধানীর গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ায় গত শনিবার রাতে বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। ছবিটি জাতিসংঘ সড়ক থেকে তোলা। ছবি: ফাইল ছবি |
দুই
বিদেশি নাগরিক হত্যার পর স্বাভাবিক কারণেই এ দেশে অবস্থানকারী কূটনীতিক ও
বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তায় বাড়তি কিছু উদ্যোগ জরুরি হয়ে পড়েছে। তাঁরা
মূলত যেসব এলাকায় থাকেন, সেই গুলশান-বনানী-বারিধারার কূটনৈতিক এলাকায় সে
বিবেচনা থেকেই নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এই এলাকা ঘিরে একটি
নিরাপত্তাবেষ্টনী সব সময়েই থাকে। স্থায়ী কিছু চেকপোস্টও রয়েছে। ইতালির
নাগরিক খুন হওয়ার ঘটনাটি প্রমাণ করে এই ব্যবস্থায় হয়তো ফাঁক আছে। ফলে
সেখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থার দৃশ্যমান উন্নতি ঘটানো হয়তো জরুরি ছিল।
চেকপোস্টের সংখ্যা বেড়েছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনের
উপস্থিতি বেড়েছে। সেখানে এখন বিজিবি টহল দিচ্ছে। রোববার সন্ধ্যার পর ওই
এলাকায় ঘুরতে গিয়ে চেকপোস্টগুলোর তৎপরতা ও কিছু রাস্তা বন্ধ করে এক পাশ
দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা দেখা গেল। গত শনিবার তো গাড়ি-মোটরসাইকেল নিয়ে সেই
অঞ্চল দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি মহড়াও হয়েছে। বিদেশি নাগরিক
বা কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করতেই হয়তো এসব। কিন্তু এ ধরনের দৃশ্যমান
নিরাপত্তার উদ্যোগ একটি অস্বাভাবিক পরিবেশের বোধও তৈরি করে। মনে প্রশ্ন
জেগেছে, এ ধরনের উদ্যোগ আসলে কতটুকু কার্যকর। বিদেশিরা কি এতে সত্যিই
আশ্বস্ত বোধ করবেন? নাকি এত সাজ সাজ রব দেখে বরং ভীতিই বাড়বে? এ ধরনের
পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা জোরদার করার উপায়ই বা কী?
উন্নত দেশগুলোতে দেখেছি, সাধারণভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সরব বা দৃশ্যমান উপস্থিতি থাকে না। কিন্তু কোনো ঘটনা ঘটলে দেখবেন ঠিকই পুলিশ হাজির। আমাদের এখানে যেন ঠিক তার উল্টো। রাস্তাঘাটে অসংখ্য পুলিশ চোখে পড়বে, চেকপোস্ট দেখা যাবে, কিন্তু এরপরও সেই নিরাপত্তাবেষ্টনী মধ্যেই অঘটন ঘটবে এবং সন্ত্রাসী বা অপরাধীরা তা ঘটিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যাবে। ইতালীয় নাগরিকের খুনের ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তাবেষ্টনী দিয়ে সুরক্ষিত এলাকার মধ্যে ঘটেছে। সেখানে কীভাবে সন্ত্রাসীরা এই ঘটনা ঘটাতে পারল বা এরপর পালিয়ে যেতে পারল?
কোনো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর সেখানে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার বা এ নিয়ে মহড়ার বিষয়টি নিরাপত্তার কৌশল হিসেবে কতটা কার্যকর, তা জানতে ফোন করেছিলাম নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে। তিনি বললেন, ‘দেখুন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে “শো অব ফোর্স” বলে একটি বিষয় রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ সেকেলে ও পুরোনো হয়ে গেছে। আধুনিক নিরাপত্তাব্যবস্থার মূল কৌশল হচ্ছে গোয়েন্দা নজরদারি। মানুষ ও প্রযুক্তি দুটোকে কাজে লাগিয়েই তা করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন সেখানে কার্যত অদৃশ্য থাকে। প্রয়োজনের সময় হাজির হওয়ার সময় বা কুইক রেসপন্সের জন্য বাহিনীকে কাছাকাছি প্রস্তুত রাখতে হবে। যাতে কোনো ঘটনা ঘটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থালে হাজির হতে পারে।’
আধুনিক অপরাধ ও সন্ত্রাসের ধরন ও কৌশল বিবেচনায় নিলে সাধারণভাবে এটা ধারণা করা যায়, কোনো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃশ্যমান বাড়তি উপস্থিতি তেমন কার্যকর কিছু নয়। নতুন কোনো অঘটনের আশঙ্কা থাকলে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদারের মধ্যেই তা নজরদারি ও মোকাবিলা করতে হবে। বর্তমানে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে ওই নির্দিষ্ট এলাকায় হয়তো একধরনের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার বোধ তৈরি কার যাবে। তবে বিদেশিরা তখনই পুরোপুরি স্বস্তি পাবেন, যখন ঘটনার রহস্যভেদ ও জড়িত ব্যক্তিরা শনাক্ত হবে।
যে চক্র বা যারা দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার সঙ্গে জড়িত, ‘শো অব ফোর্স’-এর কৌশল তাদের সতর্ক করতে বা ভয় দেখাতে যে খুব কার্যকর কিছু নয়, এর প্রমাণ মিলেছে গুলশানে ইতালির নাগরিক হত্যার চার দিনের মাথায় জাপানি নাগরিক হত্যার ঘটনা। একই কায়দায় দুটি ঘটনা ঘটেছে বলে ঘটনা দুটির মধ্যে যোগসূত্র বা একই গোষ্ঠী এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে নানা মহল থেকে ধারণা করা হচ্ছে। যদি তা-ই হয়ে থাকে, তবে বলতে হবে, গুলশানে ইতালীয় নাগরিক খুনের পর যখন সেখানে নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে, তখন সেই চক্র খুনের জন্য বেছে নিয়েছে রংপুরের মতো একটি জায়গা। বর্তমান দুনিয়ায় সন্ত্রাস যে নতুন নতুন রূপ নিচ্ছে ও যেসব কৌশল কাজে লাগাচ্ছে, তা মোকাবিলায় ‘শো অব ফোর্স’ কার্যকর কিছু নয়।
গোয়েন্দা তৎপরতাই আধুনিক নিরাপত্তার মূল কৌশল হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে। ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত বললেন, ‘কেউ যখন লন্ডনে কোনো বিমানবন্দরে নামেন, তখন সেখান থেকে গন্তব্যে যাওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যক্তির গতিবিধির অসংখ্য ছবি থাকে। আমাদের কূটনৈতিক এলাকাটি যদি কার্যকর ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় থাকত, তাহলে কারও পক্ষে এখানে খুন করে পালিয়ে যাওয়া কঠিন হতো। তবে এটি শুধু ক্যামেরা থাকার বিষয় নয়, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে নজরদারি বা সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো জনবলও আশপাশে মজুত ও প্রস্তুত থাকতে হয়।’
গুলশান ও বারিধারা এলাকায় বর্তমানে প্রায় শ খানেক সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। গুলশান সোসাইটির উদ্যোগে এগুলো বসানো হয়েছে। গুলশান থানায় এর নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র রয়েছে। মাস দুয়েক আগে প্রথম আলোয় এ নিয়ে এক প্রতিবেদন হয়েছিল। শিরোনাম ছিল ‘গুলশানে ভয় দেখাতে ১০০ ক্যামেরা!’ (প্রথম আলো ২৫ আগস্ট ২০১৫)। সেই প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, ছবি দেখে নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয় না। ক্যামেরার ফুটেজ দেখে উল্লেখযোগ্য কোনো অপরাধীকে ধরা হলেও পুলিশ দাবি করেছে, সিসি ক্যামেরার ‘ভয়ে’ অপরাধ কমেছে।
এটা এখন মানতেই হবে যে এ ধরনের ‘ভয়’ দেখানোর নিরাপত্তাব্যবস্থা দিয়ে কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা যাবে না। ২৮ সেপ্টেম্বর যারা গুলশানে ইতালীয় নাগরিককে খুন করেছে, তারা এই ‘ভয়কে’ আদৌ পাত্তাই দেয়নি। সিসি ক্যামেরাগুলো ঠিকঠাক কাজ করলে, নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে বসে সার্বক্ষণিক নজরদারি চললে ইতালীয় নাগরিক খুনের ঘটনা এড়ানো যেত কি না জানি না কিন্তু ঘটনার পর হয়তো তাদের পিছু নেওয়া যেত, হয়তো ধরাও যেত। অথবা এসব কিছু না হলেও এখন অন্তত জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে এতটা হাতড়ে বেড়াতে হতো না। নিরাপত্তার ‘মহড়া’ নয়, আমাদের দরকার আসল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
উন্নত দেশগুলোতে দেখেছি, সাধারণভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সরব বা দৃশ্যমান উপস্থিতি থাকে না। কিন্তু কোনো ঘটনা ঘটলে দেখবেন ঠিকই পুলিশ হাজির। আমাদের এখানে যেন ঠিক তার উল্টো। রাস্তাঘাটে অসংখ্য পুলিশ চোখে পড়বে, চেকপোস্ট দেখা যাবে, কিন্তু এরপরও সেই নিরাপত্তাবেষ্টনী মধ্যেই অঘটন ঘটবে এবং সন্ত্রাসী বা অপরাধীরা তা ঘটিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যাবে। ইতালীয় নাগরিকের খুনের ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তাবেষ্টনী দিয়ে সুরক্ষিত এলাকার মধ্যে ঘটেছে। সেখানে কীভাবে সন্ত্রাসীরা এই ঘটনা ঘটাতে পারল বা এরপর পালিয়ে যেতে পারল?
কোনো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর সেখানে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার বা এ নিয়ে মহড়ার বিষয়টি নিরাপত্তার কৌশল হিসেবে কতটা কার্যকর, তা জানতে ফোন করেছিলাম নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে। তিনি বললেন, ‘দেখুন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে “শো অব ফোর্স” বলে একটি বিষয় রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ সেকেলে ও পুরোনো হয়ে গেছে। আধুনিক নিরাপত্তাব্যবস্থার মূল কৌশল হচ্ছে গোয়েন্দা নজরদারি। মানুষ ও প্রযুক্তি দুটোকে কাজে লাগিয়েই তা করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন সেখানে কার্যত অদৃশ্য থাকে। প্রয়োজনের সময় হাজির হওয়ার সময় বা কুইক রেসপন্সের জন্য বাহিনীকে কাছাকাছি প্রস্তুত রাখতে হবে। যাতে কোনো ঘটনা ঘটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থালে হাজির হতে পারে।’
আধুনিক অপরাধ ও সন্ত্রাসের ধরন ও কৌশল বিবেচনায় নিলে সাধারণভাবে এটা ধারণা করা যায়, কোনো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃশ্যমান বাড়তি উপস্থিতি তেমন কার্যকর কিছু নয়। নতুন কোনো অঘটনের আশঙ্কা থাকলে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদারের মধ্যেই তা নজরদারি ও মোকাবিলা করতে হবে। বর্তমানে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে ওই নির্দিষ্ট এলাকায় হয়তো একধরনের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার বোধ তৈরি কার যাবে। তবে বিদেশিরা তখনই পুরোপুরি স্বস্তি পাবেন, যখন ঘটনার রহস্যভেদ ও জড়িত ব্যক্তিরা শনাক্ত হবে।
যে চক্র বা যারা দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার সঙ্গে জড়িত, ‘শো অব ফোর্স’-এর কৌশল তাদের সতর্ক করতে বা ভয় দেখাতে যে খুব কার্যকর কিছু নয়, এর প্রমাণ মিলেছে গুলশানে ইতালির নাগরিক হত্যার চার দিনের মাথায় জাপানি নাগরিক হত্যার ঘটনা। একই কায়দায় দুটি ঘটনা ঘটেছে বলে ঘটনা দুটির মধ্যে যোগসূত্র বা একই গোষ্ঠী এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে নানা মহল থেকে ধারণা করা হচ্ছে। যদি তা-ই হয়ে থাকে, তবে বলতে হবে, গুলশানে ইতালীয় নাগরিক খুনের পর যখন সেখানে নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে, তখন সেই চক্র খুনের জন্য বেছে নিয়েছে রংপুরের মতো একটি জায়গা। বর্তমান দুনিয়ায় সন্ত্রাস যে নতুন নতুন রূপ নিচ্ছে ও যেসব কৌশল কাজে লাগাচ্ছে, তা মোকাবিলায় ‘শো অব ফোর্স’ কার্যকর কিছু নয়।
গোয়েন্দা তৎপরতাই আধুনিক নিরাপত্তার মূল কৌশল হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে। ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত বললেন, ‘কেউ যখন লন্ডনে কোনো বিমানবন্দরে নামেন, তখন সেখান থেকে গন্তব্যে যাওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যক্তির গতিবিধির অসংখ্য ছবি থাকে। আমাদের কূটনৈতিক এলাকাটি যদি কার্যকর ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় থাকত, তাহলে কারও পক্ষে এখানে খুন করে পালিয়ে যাওয়া কঠিন হতো। তবে এটি শুধু ক্যামেরা থাকার বিষয় নয়, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে নজরদারি বা সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো জনবলও আশপাশে মজুত ও প্রস্তুত থাকতে হয়।’
গুলশান ও বারিধারা এলাকায় বর্তমানে প্রায় শ খানেক সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। গুলশান সোসাইটির উদ্যোগে এগুলো বসানো হয়েছে। গুলশান থানায় এর নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র রয়েছে। মাস দুয়েক আগে প্রথম আলোয় এ নিয়ে এক প্রতিবেদন হয়েছিল। শিরোনাম ছিল ‘গুলশানে ভয় দেখাতে ১০০ ক্যামেরা!’ (প্রথম আলো ২৫ আগস্ট ২০১৫)। সেই প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, ছবি দেখে নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয় না। ক্যামেরার ফুটেজ দেখে উল্লেখযোগ্য কোনো অপরাধীকে ধরা হলেও পুলিশ দাবি করেছে, সিসি ক্যামেরার ‘ভয়ে’ অপরাধ কমেছে।
এটা এখন মানতেই হবে যে এ ধরনের ‘ভয়’ দেখানোর নিরাপত্তাব্যবস্থা দিয়ে কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা যাবে না। ২৮ সেপ্টেম্বর যারা গুলশানে ইতালীয় নাগরিককে খুন করেছে, তারা এই ‘ভয়কে’ আদৌ পাত্তাই দেয়নি। সিসি ক্যামেরাগুলো ঠিকঠাক কাজ করলে, নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে বসে সার্বক্ষণিক নজরদারি চললে ইতালীয় নাগরিক খুনের ঘটনা এড়ানো যেত কি না জানি না কিন্তু ঘটনার পর হয়তো তাদের পিছু নেওয়া যেত, হয়তো ধরাও যেত। অথবা এসব কিছু না হলেও এখন অন্তত জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে এতটা হাতড়ে বেড়াতে হতো না। নিরাপত্তার ‘মহড়া’ নয়, আমাদের দরকার আসল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
No comments