বনায়ন ধ্বংস করে ভাগাড়! by সুমনকুমার দাশ
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের সামনের বনায়ন ধ্বংস করে নির্মাণ করা হচ্ছে ময়লা–আবর্জনার ভাগাড়। -প্রথম আলো |
সৌন্দর্য
বাড়াতে স্টেশনের সামনে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০০ চারা গাছ
লাগিয়েছিল। এক দশক আগে লাগানো সে চারাগুলো এখন বড় বড় গাছে পরিণত হয়েছে।
স্টেশনে ঢুকতেই এমন সবুজ-শ্যামল বনায়নে মুগ্ধ যাত্রী, দর্শনার্থী সবাই।
এখন সেই বনায়ন ধ্বংস করে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড় নির্মাণ করছে সিলেট
সিটি করপোরেশন।
এই ভাগাড় না করতে সিটি করপোরেশনকে একাধিকবার লিখিতভাবে আবেদন করা হলেও তারা তা আমলে নিচ্ছে না বলে জানান সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, এখানে ভাগাড় হলে রেলযাত্রীদের উৎকট দুর্গন্ধে নাকাল হতে হবে। তা ছাড়া বনায়নের অংশ ছাড়াও আশপাশেই সওজের আরও অনেক উন্মুক্ত জায়গা রয়েছে। সেখানেই এই ভাগাড় করা যেত।
পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ভূমিসন্তান বাংলাদেশ’-এর সমন্বয়কারী আশরাফুল কবীর বলেন, যেখানে নতুন করে পর্যাপ্ত পরিমাণে বনায়নের দাবি করে আসছেন পরিবেশবাদীরা, সেখানে গাছ কেটে ভাগাড় কিংবা নালা নির্মাণের বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
গতকাল রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বনায়নের উত্তর অংশে ভাগাড় নির্মাণের কাজ চলছে। ৩০ জন শ্রমিক মাটি খোঁড়াখুঁড়ি ও গাছ কাটার কাজ করছেন। তাঁরা জানান, প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাগাড়টি নির্মাণ করা হচ্ছে। গত বুধবার থেকে তাঁরা কাজ শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত পাঁচটি বড় রেইনট্রি, কদম ও বেলজিয়ামগাছ কাটা হয়েছে। আরও গাছ কাটা লাগবে।
তবে গাছ কাটার আর প্রয়োজন পড়বে না বলে জানিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিপন বক্স বলেন, ভাগাড় করাটা এলাকার বাসিন্দাদের জন্য খুবই জরুরি। তা ছাড়া এতে পুরো বনায়ন ধ্বংস হচ্ছে না। প্রয়োজনে সেখানে কিছু গাছ রোপণ করে দেওয়া হবে।
স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে গাছ কাটা দেখছিলেন ঢাকাগামী যাত্রী আবদুল কুদ্দুস। সিলেট নগরের বালুচর এলাকার এই বাসিন্দা বলেন, ‘যেখানে শহরজুড়ে কোথাও সবুজের লেশমাত্র নেই, সেখানে একটি বনায়ন ধ্বংস করে কেমনভাবে আবর্জনার ভাগাড় বানানোর সিদ্ধান্ত হয়—সেটিই তো মাথায় ঢুকছে না।’
সিলেট পুরোনো রেলওয়ে স্টেশন ভবনটি স্থানান্তরিত করে ২০০৪ সালের ১৬ জুলাই দক্ষিণ সুরমার কদমতলী বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন স্থানে নিয়ে আসা হয়। সেখানে স্টেশনের সামনে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রায় সোয়া এক একর জায়গা উন্মুক্ত ছিল। সে সময় যোগাযোগ সচিব এবং সড়ক ও জনপথসচিবের মৌখিক নির্দেশনায় ওই জায়গা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতি পেয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে পুরো জায়গায় কাঁটাতারের বেষ্টনী দিয়ে প্রায় ২০০ চারা রোপণ করে বনায়ন প্রতিষ্ঠা করে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত বছরের ৩ নভেম্বর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী (বর্তমানে কারাগারে আটক) ওই উন্মুক্ত জায়গাসহ সওজের অধীনে থাকা আশপাশের আরও কিছু জমি সিটি করপোরেশনকে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আবেদন করেন।
সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে জায়গাটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না, সেটি আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীবও ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে’ বলে জানান। এর বাইরে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, বনায়ন ধ্বংস করে কোনো কাজ না করতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।
এই ভাগাড় না করতে সিটি করপোরেশনকে একাধিকবার লিখিতভাবে আবেদন করা হলেও তারা তা আমলে নিচ্ছে না বলে জানান সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, এখানে ভাগাড় হলে রেলযাত্রীদের উৎকট দুর্গন্ধে নাকাল হতে হবে। তা ছাড়া বনায়নের অংশ ছাড়াও আশপাশেই সওজের আরও অনেক উন্মুক্ত জায়গা রয়েছে। সেখানেই এই ভাগাড় করা যেত।
পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ভূমিসন্তান বাংলাদেশ’-এর সমন্বয়কারী আশরাফুল কবীর বলেন, যেখানে নতুন করে পর্যাপ্ত পরিমাণে বনায়নের দাবি করে আসছেন পরিবেশবাদীরা, সেখানে গাছ কেটে ভাগাড় কিংবা নালা নির্মাণের বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
গতকাল রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বনায়নের উত্তর অংশে ভাগাড় নির্মাণের কাজ চলছে। ৩০ জন শ্রমিক মাটি খোঁড়াখুঁড়ি ও গাছ কাটার কাজ করছেন। তাঁরা জানান, প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাগাড়টি নির্মাণ করা হচ্ছে। গত বুধবার থেকে তাঁরা কাজ শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত পাঁচটি বড় রেইনট্রি, কদম ও বেলজিয়ামগাছ কাটা হয়েছে। আরও গাছ কাটা লাগবে।
তবে গাছ কাটার আর প্রয়োজন পড়বে না বলে জানিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিপন বক্স বলেন, ভাগাড় করাটা এলাকার বাসিন্দাদের জন্য খুবই জরুরি। তা ছাড়া এতে পুরো বনায়ন ধ্বংস হচ্ছে না। প্রয়োজনে সেখানে কিছু গাছ রোপণ করে দেওয়া হবে।
স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে গাছ কাটা দেখছিলেন ঢাকাগামী যাত্রী আবদুল কুদ্দুস। সিলেট নগরের বালুচর এলাকার এই বাসিন্দা বলেন, ‘যেখানে শহরজুড়ে কোথাও সবুজের লেশমাত্র নেই, সেখানে একটি বনায়ন ধ্বংস করে কেমনভাবে আবর্জনার ভাগাড় বানানোর সিদ্ধান্ত হয়—সেটিই তো মাথায় ঢুকছে না।’
সিলেট পুরোনো রেলওয়ে স্টেশন ভবনটি স্থানান্তরিত করে ২০০৪ সালের ১৬ জুলাই দক্ষিণ সুরমার কদমতলী বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন স্থানে নিয়ে আসা হয়। সেখানে স্টেশনের সামনে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রায় সোয়া এক একর জায়গা উন্মুক্ত ছিল। সে সময় যোগাযোগ সচিব এবং সড়ক ও জনপথসচিবের মৌখিক নির্দেশনায় ওই জায়গা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতি পেয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে পুরো জায়গায় কাঁটাতারের বেষ্টনী দিয়ে প্রায় ২০০ চারা রোপণ করে বনায়ন প্রতিষ্ঠা করে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত বছরের ৩ নভেম্বর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী (বর্তমানে কারাগারে আটক) ওই উন্মুক্ত জায়গাসহ সওজের অধীনে থাকা আশপাশের আরও কিছু জমি সিটি করপোরেশনকে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আবেদন করেন।
সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে জায়গাটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না, সেটি আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীবও ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে’ বলে জানান। এর বাইরে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, বনায়ন ধ্বংস করে কোনো কাজ না করতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।
No comments