নিরাপত্তাগত আশঙ্কাতেই কিশোরীদের বিয়ে -বিবিসি বাংলাকে অধিকারকর্মীদের মূল্যায়ন
দেশে
কিশোরীদের অধিকার নিয়ে কর্মরত সমাজ ও উন্নয়নকর্মীরা বলেছেন, অধিকাংশ
কিশোরীর পরিবার নিরাপত্তাগত আশঙ্কায় মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়। তবে অসচেতনতা ও
দারিদ্র্যকে এর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। খবর বিবিসি বাংলার।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশে কন্যাশিশুদের উন্নয়নে অগ্রগতি হলেও তাদের নিরাপত্তাহীনতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। রংপুরের কিশোরী লাবণী আক্তারের উদাহরণ টেনে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই পরিবার তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। বখাটেরা উত্ত্যক্ত করে—লাবণী এ কথা পরিবারকে জানালে তার মতামত ছাড়াই প্রায় ২০ বছর বয়সী এক যুবকের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এক বছরের মাথায় ভেঙে যায় সে বিয়ে। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় বাবার বাড়িতে ফিরে যায় লাবণী।
কাজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার বলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হয়। অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে ও মাতৃত্বের কারণে তাদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠায় বাধা সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ বিষয়ে মনোযোগী হলে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের মতে, বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে ‘নিরাপত্তাহীনতাই’ কিশোরীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। আর বাল্যবিবাহকে এর আশু সমাধান বলে ভাবা হচ্ছে। কেবল গ্রামে নয়, শহরের ঘনবসতিপূর্ণ ও বস্তি এলাকার চিত্রও একই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, গ্রামের মেয়েরা এসএসসি পাস করে শহরে পড়তে যায়। তারা পড়ালেখা শেষ করেই বিয়ে করে, এমন উদাহরণও রয়েছে। তাই নিরাপত্তাহীনতাই একমাত্র কারণ নয়। বাল্যবিবাহের জন্য সচেতনতার অভাব ও দারিদ্র্যও দায়ী।
বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪৫ শতাংশ ১৮ বছরের কম বয়সী, যাদের ৪৮ শতাংশই কন্যাশিশু। এই কন্যাশিশুদের জীবনকে আরও বেশি সুন্দর ও সহজ করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী গতকাল রোববার কন্যাশিশু দিবস পালিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, কন্যাশিশুদের সামগ্রিক উন্নয়নে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকার ওপর জোর দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশে কন্যাশিশুদের উন্নয়নে অগ্রগতি হলেও তাদের নিরাপত্তাহীনতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। রংপুরের কিশোরী লাবণী আক্তারের উদাহরণ টেনে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই পরিবার তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। বখাটেরা উত্ত্যক্ত করে—লাবণী এ কথা পরিবারকে জানালে তার মতামত ছাড়াই প্রায় ২০ বছর বয়সী এক যুবকের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এক বছরের মাথায় ভেঙে যায় সে বিয়ে। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় বাবার বাড়িতে ফিরে যায় লাবণী।
কাজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার বলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হয়। অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে ও মাতৃত্বের কারণে তাদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠায় বাধা সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ বিষয়ে মনোযোগী হলে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের মতে, বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে ‘নিরাপত্তাহীনতাই’ কিশোরীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। আর বাল্যবিবাহকে এর আশু সমাধান বলে ভাবা হচ্ছে। কেবল গ্রামে নয়, শহরের ঘনবসতিপূর্ণ ও বস্তি এলাকার চিত্রও একই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, গ্রামের মেয়েরা এসএসসি পাস করে শহরে পড়তে যায়। তারা পড়ালেখা শেষ করেই বিয়ে করে, এমন উদাহরণও রয়েছে। তাই নিরাপত্তাহীনতাই একমাত্র কারণ নয়। বাল্যবিবাহের জন্য সচেতনতার অভাব ও দারিদ্র্যও দায়ী।
বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪৫ শতাংশ ১৮ বছরের কম বয়সী, যাদের ৪৮ শতাংশই কন্যাশিশু। এই কন্যাশিশুদের জীবনকে আরও বেশি সুন্দর ও সহজ করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী গতকাল রোববার কন্যাশিশু দিবস পালিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, কন্যাশিশুদের সামগ্রিক উন্নয়নে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকার ওপর জোর দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
No comments