১ ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানী অচল
এক
ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় ঢাকার বেশির ভাগ রাস্তা। হাঁটুপানি থেকে কোথাও
কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি হয়েছে। ড্রেনগুলো বন্ধ থাকায় ময়লা-নোংরা পানিতে
একাকার ছিল রাস্তাগুলো। বেশ কিছু রাস্তায় স্যুয়ারেজের ময়লা পানি উপচে পানির
সাথে মিশে যায়।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। সকাল ১০টায় বৃষ্টিপাত সূচিত হয়। প্রথমে মনে হয়েছিল এই বৃষ্টি কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি থেমে যাবে। না, সে আশায় গুড়ে বালি। বেলা দেড়টা থেকে দুইটা পর্যন্ত একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়েছে। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত বিরতি ছিল। সন্ধ্যার পর আবার প্রবল বর্ষণ শুরু হয় ঢাকায়।
ময়লা-নোংরা ও দুর্গন্ধে একাকার ছিল পরিবেশ। আশ্বিনের শেষ সময়ে এ ধরনের ভারী বর্ষণ প্রত্যাশিত ছিল না। সাধারণত এ সময়ে হালকা ধরনের বৃষ্টি হয়ে থাকে। শরতের শেষ দিকে এ ধরনের ভারী বর্ষণের নজির খুব বেশি নেই। আবহাওয়া অফিস চলতি মাসের প্রথম দিক থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব মওসুমি বায়ু দেশের উত্তর ও মধ্যভাগ থেকে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেও এখনো তা অব্যাহত রয়েছে দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, হঠাৎ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সক্রিয় হয়ে ওঠায় মওসুমি বায়ুপ্রবাহ সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং বায়ু ভূভাগের দিকে প্রচুর জলীয়বাষ্প নিয়ে আসছে। এটি প্রবল বর্ষণের কারণ হয়েছে।
ভারী বর্ষণে গতকাল দুপুর ১২টার পর থেকে পুরো ঢাকা যেন আরো স্থবির হয়ে পড়ে। যানবাহনগুলো গন্তব্যে পৌঁছার জন্য দ্রুত চলতে শুরু করে। ইন্টারসেকশনগুলোতে বিপরীতমুখী যানবাহন একই সাথে চলতে গিয়ে শুরু হয়ে জট। সবাই শুধু আগে যেতে চায়। এই প্রতিযোগিতায় গাড়িগুলো থেমে যায় ইন্টারসেকশনগুলোতে। একটা সময় কেউই সামনে এগোতে পারছিল না। যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়েছে। রিকশাওয়ালাদের সামলানো আরো কঠিন ছিল। রিকশাওয়ালারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলতে চান না। একটু ফাঁকফোকর পেলেই সামনে বাড়তে শুরু করেন। ফলে যানজটের তীব্রতা বাড়ে।
গতকাল ঢাকার অনেক স্কুলে পরীক্ষা চলছিল। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দেখা যায় বৃষ্টির মধ্যেই ভিজে স্কুলে যেতে। রিকশাওয়ালাদের আকাশছোঁয়া ভাড়া হাঁকানোয় ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা হতাশ হয়ে বৃষ্টিতে ভিজেই স্কুলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রবল বর্ষণে রাজধানীতে যানজটের সাথে জনদুর্ভোগও শুরু হয় বেশ। ঢাকায় বাংলামোটর থেকে মগবাজার-মালিবাগ হয়ে শান্তিনগর পর্যন্ত এবং মৌচাক থেকে রামপুরার দিকে যেতে চৌধুরীপাড়া পর্যন্ত প্রধান রাস্তায় ফাইওভার নির্মাণকাজ চলছে। এ রাস্তার বেশির ভাগ দখল করে আছে নির্মাণসামগ্রী। এ ছাড়া পিলার নির্মাণের জন্য বিশাল বিশাল গর্ত খোঁড়া হয়। ফলে এসব গর্তের ময়লা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। এ ছাড়া দীর্ঘ দিন থেকে আবাসিক এলাকার রাস্তাগুলো সংস্কার না হওয়ায় সেগুলো খানাখন্দে ভরে গেছে।
নিম্নাঞ্চলের পানি নিচের দিকে যাওয়ায় রাস্তার নিচে অনেকের ঘরে ও দোকানপাটে প্রবেশ করে প্রচুর ক্ষতি করে। দোকানে ঢুকে যাওয়ায় পানিতে নষ্ট হয় এমন পণ্যগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
আবহাওয়া অফিসের কর্তব্যরত আবহাওয়াবিদ জানান, বৃষ্টি সারা দেশে ঘটেনি। কেবল দেশের মধ্যাঞ্চল, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে হয়েছে। এসব অঞ্চলে এখনো মওসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। আবহাওয়া অফিস আবারো জানায়, সামনের দুই দিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে যাবে এবং আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দেশের অবশিষ্ট অঞ্চল বিরাজমান মওসুমি বায়ুমুক্ত হবে। গত রোববার ভারতের হিমালয় অঞ্চলে এক স্থল লঘুচাপ বিরাজ করছিল। গত বিকেল থেকে সাগরে লঘুচাপটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অক্টোবরের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে দু’টি নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে; যা থেকে কমপক্ষে ঝড় হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও পাশের এলাকায় ঘূর্ণায়মান লঘুচাপটি আরো শক্তিশালী হবে কি না অথবা এটি থেকে কোনো নিম্নচাপের সৃষ্টি হবে কি না সেটি বলার সময় এখনো আসেনি।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। সকাল ১০টায় বৃষ্টিপাত সূচিত হয়। প্রথমে মনে হয়েছিল এই বৃষ্টি কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি থেমে যাবে। না, সে আশায় গুড়ে বালি। বেলা দেড়টা থেকে দুইটা পর্যন্ত একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়েছে। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত বিরতি ছিল। সন্ধ্যার পর আবার প্রবল বর্ষণ শুরু হয় ঢাকায়।
ময়লা-নোংরা ও দুর্গন্ধে একাকার ছিল পরিবেশ। আশ্বিনের শেষ সময়ে এ ধরনের ভারী বর্ষণ প্রত্যাশিত ছিল না। সাধারণত এ সময়ে হালকা ধরনের বৃষ্টি হয়ে থাকে। শরতের শেষ দিকে এ ধরনের ভারী বর্ষণের নজির খুব বেশি নেই। আবহাওয়া অফিস চলতি মাসের প্রথম দিক থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব মওসুমি বায়ু দেশের উত্তর ও মধ্যভাগ থেকে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেও এখনো তা অব্যাহত রয়েছে দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, হঠাৎ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সক্রিয় হয়ে ওঠায় মওসুমি বায়ুপ্রবাহ সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং বায়ু ভূভাগের দিকে প্রচুর জলীয়বাষ্প নিয়ে আসছে। এটি প্রবল বর্ষণের কারণ হয়েছে।
ভারী বর্ষণে গতকাল দুপুর ১২টার পর থেকে পুরো ঢাকা যেন আরো স্থবির হয়ে পড়ে। যানবাহনগুলো গন্তব্যে পৌঁছার জন্য দ্রুত চলতে শুরু করে। ইন্টারসেকশনগুলোতে বিপরীতমুখী যানবাহন একই সাথে চলতে গিয়ে শুরু হয়ে জট। সবাই শুধু আগে যেতে চায়। এই প্রতিযোগিতায় গাড়িগুলো থেমে যায় ইন্টারসেকশনগুলোতে। একটা সময় কেউই সামনে এগোতে পারছিল না। যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়েছে। রিকশাওয়ালাদের সামলানো আরো কঠিন ছিল। রিকশাওয়ালারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলতে চান না। একটু ফাঁকফোকর পেলেই সামনে বাড়তে শুরু করেন। ফলে যানজটের তীব্রতা বাড়ে।
গতকাল ঢাকার অনেক স্কুলে পরীক্ষা চলছিল। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দেখা যায় বৃষ্টির মধ্যেই ভিজে স্কুলে যেতে। রিকশাওয়ালাদের আকাশছোঁয়া ভাড়া হাঁকানোয় ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা হতাশ হয়ে বৃষ্টিতে ভিজেই স্কুলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রবল বর্ষণে রাজধানীতে যানজটের সাথে জনদুর্ভোগও শুরু হয় বেশ। ঢাকায় বাংলামোটর থেকে মগবাজার-মালিবাগ হয়ে শান্তিনগর পর্যন্ত এবং মৌচাক থেকে রামপুরার দিকে যেতে চৌধুরীপাড়া পর্যন্ত প্রধান রাস্তায় ফাইওভার নির্মাণকাজ চলছে। এ রাস্তার বেশির ভাগ দখল করে আছে নির্মাণসামগ্রী। এ ছাড়া পিলার নির্মাণের জন্য বিশাল বিশাল গর্ত খোঁড়া হয়। ফলে এসব গর্তের ময়লা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। এ ছাড়া দীর্ঘ দিন থেকে আবাসিক এলাকার রাস্তাগুলো সংস্কার না হওয়ায় সেগুলো খানাখন্দে ভরে গেছে।
নিম্নাঞ্চলের পানি নিচের দিকে যাওয়ায় রাস্তার নিচে অনেকের ঘরে ও দোকানপাটে প্রবেশ করে প্রচুর ক্ষতি করে। দোকানে ঢুকে যাওয়ায় পানিতে নষ্ট হয় এমন পণ্যগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
আবহাওয়া অফিসের কর্তব্যরত আবহাওয়াবিদ জানান, বৃষ্টি সারা দেশে ঘটেনি। কেবল দেশের মধ্যাঞ্চল, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে হয়েছে। এসব অঞ্চলে এখনো মওসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। আবহাওয়া অফিস আবারো জানায়, সামনের দুই দিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে যাবে এবং আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দেশের অবশিষ্ট অঞ্চল বিরাজমান মওসুমি বায়ুমুক্ত হবে। গত রোববার ভারতের হিমালয় অঞ্চলে এক স্থল লঘুচাপ বিরাজ করছিল। গত বিকেল থেকে সাগরে লঘুচাপটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অক্টোবরের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে দু’টি নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে; যা থেকে কমপক্ষে ঝড় হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও পাশের এলাকায় ঘূর্ণায়মান লঘুচাপটি আরো শক্তিশালী হবে কি না অথবা এটি থেকে কোনো নিম্নচাপের সৃষ্টি হবে কি না সেটি বলার সময় এখনো আসেনি।
No comments