রাফায়েল না তেজস : ভারতীয় বিমানবাহিনীতে বিতর্ক
ভারতের
বিমান বাহিনীর চাপ থাকা সত্ত্বেও ফরাসি রাফায়েল যুদ্ধবিমানের সংখ্যা
বাড়াতে রাজি নয় নরেন্দ্র মোদির সরকার৷এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একটা
চাপা টেনশনও তৈরি হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য, কোষাগারের
উপর চাপ বাড়িয়ে বিদেশ থেকে ক্রমাগত অস্ত্র আমদানির ‘বদভ্যাস’ ত্যাগ করতে
হবে৷প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্করকে উদ্ধৃত করে তাঁরই দফতরের এক
অফিসার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ৩৬টির বেশি রাফায়েল কেনার মতো টাকা ভারতের
হাতে নেই৷পক্ষান্তরে বিমান বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিমান বহরের
সামর্থ বাড়াতে হলে ফরাসি সংস্থা দাসাউ এভিয়েশনের কাছ থেকে ৪৪টির কম
যুদ্ধবিমান কিনে কোনো লাভ নেই৷ ভারত সরকার বিমান বাহিনীকে জানিয়ে দিয়েছে,
ডিআরডিও-র পরিকল্পনামাফিক হ্যালে তৈরি তেজস যুদ্ধবিমানই আগামী দিনে শত্রু
মোকাবিলায় তাদের সহায়ক হবে৷কিন্তু ভারতের বিমান বাহিনীর যুক্তি, তেজস
হালকা যুদ্ধবিমান (লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট)৷ অথচ, রাফায়েল হল মিডিয়াম
মালটি-রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট৷এই মুহূর্তে এই ধরনের যুদ্ধবিমানের সংখ্যা
না বাড়লেই নয়৷
কিছু দিন আগেই বিমান বাহিনীর তরফ থেকে একটি হিসাব দিয়ে দেখানো হয়েছিল, এই মুহূর্তে পাকিস্তান এবং চীন, দুই ফ্রন্টেই যদি ভারতকে যুগপৎ আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে তার মোকাবিলায় অন্তত ৪৫টি ফাইটার স্কোয়াড্রন তাকে নামাতে হবে৷বাস্তবে ভারতের বিমান বাহিনীর হাতে রয়েছে যুদ্ধের উপযুক্ত ৩৫টি স্কোয়াড্রন৷সাবেক মিগ-২১ বিমানগুলিকে বাতিল করতে হচ্ছে৷ কিন্তু সেই জায়গায় নতুন বিমান বাড়ছে না৷বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহাও মিডিয়াম মালটি-রোল কমব্যাট যুদ্ধবিমানের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ অর্থাৎ, রাফায়েলের সংখ্যা বাড়াতে তিনিও আগ্রহী৷তার উপর এই বছরের মাঝামাঝি নাগাদ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের নিজস্ব অনুসন্ধানও লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে৷ক্যাগের বক্তব্য, যতটা হালকা বলে তেজসকে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে, এই যুদ্ধবিমান তত হালকা নয়৷তাছাড়া, প্রযুক্তিগত সুবিধা ও ইঞ্জিন নিয়েও চিন্তার কারণ আছে৷
যদিও ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রযুক্তিবিদদের মতে, তেজসের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নের কোনো অবকাশই ওঠে না৷ তেজস তো তার তেজ দেখানোর কোনও সুযোগই পায়নি৷বিমান বাহিনীর বক্তব্য, তাদের কেবল আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, আগামী বছরের গোড়ায় তারা একটিমাত্র তেজস হাতে পাবে৷ ডিআরডিও-র পালটা জবাব, দিল্লির সবুজ সংকেত পেলেই তারা তেজসের উৎপাদন অনায়াসে বাড়াতে পারে৷ এই প্রসঙ্গে ডিআরডিও-র এয়ারোস্পেস প্রধান কে তামিলমণি বিরক্তির সঙ্গে মন্তব্য করেন, ‘‘আমরা ভারতীয়রা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতেই বেশি পছন্দ করি৷’’ তার দাবি, চাইলে ২০১৭ সালের মধ্যে তেজস মডেলের কমপক্ষে ১৬টি যুদ্ধবিমান ভারত নির্মাণ করতে পারে৷যদিও এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহার যুক্তি অনুসারে, ফরাসি রাফায়েলের মতো যুদ্ধবিমানের অন্তত ছটি স্কোয়াড্রন তাদের নাকি চাই-ই চাই৷
এর মধ্যে সুইডিশ সাব সংস্থা অবশ্য ঠারেঠোরে জানিয়ে দিয়েছে, চাইলে মেক-ইন-ইন্ডিয়া নীতির আওতাতেই ভারতের বিমানবাহিনীকে তারা তাদের হালকা অথচ চোস্ত যুদ্ধবিমান গ্রিপেন সরবরাহ করতে পারে৷ তাদের বক্তব্য, ‘‘অনতিবিলম্বে তোমাদের যদি তেজস ওয়ান-এ’র সাতটি স্কোয়াড্রনও গঠিত হয়, তার পরও তোমাদের চাহিদা থাকবে৷ সেই চাহিদা গ্রিপেন অনায়াসেই পূরণ করতে পারবে৷’’
কিছু দিন আগেই বিমান বাহিনীর তরফ থেকে একটি হিসাব দিয়ে দেখানো হয়েছিল, এই মুহূর্তে পাকিস্তান এবং চীন, দুই ফ্রন্টেই যদি ভারতকে যুগপৎ আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে তার মোকাবিলায় অন্তত ৪৫টি ফাইটার স্কোয়াড্রন তাকে নামাতে হবে৷বাস্তবে ভারতের বিমান বাহিনীর হাতে রয়েছে যুদ্ধের উপযুক্ত ৩৫টি স্কোয়াড্রন৷সাবেক মিগ-২১ বিমানগুলিকে বাতিল করতে হচ্ছে৷ কিন্তু সেই জায়গায় নতুন বিমান বাড়ছে না৷বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহাও মিডিয়াম মালটি-রোল কমব্যাট যুদ্ধবিমানের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ অর্থাৎ, রাফায়েলের সংখ্যা বাড়াতে তিনিও আগ্রহী৷তার উপর এই বছরের মাঝামাঝি নাগাদ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের নিজস্ব অনুসন্ধানও লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে৷ক্যাগের বক্তব্য, যতটা হালকা বলে তেজসকে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে, এই যুদ্ধবিমান তত হালকা নয়৷তাছাড়া, প্রযুক্তিগত সুবিধা ও ইঞ্জিন নিয়েও চিন্তার কারণ আছে৷
যদিও ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রযুক্তিবিদদের মতে, তেজসের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নের কোনো অবকাশই ওঠে না৷ তেজস তো তার তেজ দেখানোর কোনও সুযোগই পায়নি৷বিমান বাহিনীর বক্তব্য, তাদের কেবল আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, আগামী বছরের গোড়ায় তারা একটিমাত্র তেজস হাতে পাবে৷ ডিআরডিও-র পালটা জবাব, দিল্লির সবুজ সংকেত পেলেই তারা তেজসের উৎপাদন অনায়াসে বাড়াতে পারে৷ এই প্রসঙ্গে ডিআরডিও-র এয়ারোস্পেস প্রধান কে তামিলমণি বিরক্তির সঙ্গে মন্তব্য করেন, ‘‘আমরা ভারতীয়রা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতেই বেশি পছন্দ করি৷’’ তার দাবি, চাইলে ২০১৭ সালের মধ্যে তেজস মডেলের কমপক্ষে ১৬টি যুদ্ধবিমান ভারত নির্মাণ করতে পারে৷যদিও এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহার যুক্তি অনুসারে, ফরাসি রাফায়েলের মতো যুদ্ধবিমানের অন্তত ছটি স্কোয়াড্রন তাদের নাকি চাই-ই চাই৷
এর মধ্যে সুইডিশ সাব সংস্থা অবশ্য ঠারেঠোরে জানিয়ে দিয়েছে, চাইলে মেক-ইন-ইন্ডিয়া নীতির আওতাতেই ভারতের বিমানবাহিনীকে তারা তাদের হালকা অথচ চোস্ত যুদ্ধবিমান গ্রিপেন সরবরাহ করতে পারে৷ তাদের বক্তব্য, ‘‘অনতিবিলম্বে তোমাদের যদি তেজস ওয়ান-এ’র সাতটি স্কোয়াড্রনও গঠিত হয়, তার পরও তোমাদের চাহিদা থাকবে৷ সেই চাহিদা গ্রিপেন অনায়াসেই পূরণ করতে পারবে৷’’
No comments