মামলায় নাম, খালেদাকে গ্রেপ্তারের পথ খোলা রাখার কৌশল
যাত্রাবাড়ীতে
বাসে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম
খালেদা জিয়ার নাম নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। মামলার এজাহারে খালেদার নাম
উল্লেখ করা হলেও আসামির তালিকায় তার নাম নেই। এ কারণে খালেদা জিয়াকে আসামি
করা হয়েছে কিনা বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারাও
আনুষ্ঠানিকভাবে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের
উপদেষ্টা এবং দেশের শীর্ষ স্থানীয় ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ খন্দকার মাহবুব
হোসেন বলেন, এ মামলায় আসামির তালিকায় খালেদা জিয়ার নাম নেই। তাই তাকে আসামি
বলা ঠিক হবে না। তবে এ ক্ষেত্রে সরকার ও পুলিশ কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। তারা
খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের পথ খোলা রাখার জন্যই এ কৌশল অবলম্বন করেছে। তিনি
বলেন, আসামি তালিকায় নাম থাকলে হাইকোর্টে আগাম জামিন চাওয়ার সুযোগ পেতেন
খালেদা জিয়া। কিন্তু এখন তার সামনে সে সুযোগও রাখা হয়নি। শুধু হয়রানি করার
জন্যই এজাহারে নাম দেয়া হয়েছে। আর যে অভিযোগে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে
মামলাটি দায়ের করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। গত শুক্রবার
রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরী পরিবহনের একটি বাসে পেট্রল বোমা
ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই বাসের ৩১ যাত্রী দগ্ধ হয়। পরদিন শনিবার
যাত্রাবাড়ী থানার এসআই কে এম নুরুজ্জামান বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি
মামলা (নং ৫৯) দায়ের করেন। মামলায় বিএনপি ও জোটের ১৮ কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৬৮
নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। তবে এজাহারে আসামিদের নাম উল্লেখ করার
পাশাপাশি বলা হয়, গত ৫ই জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রধান
বেগম খালেদা জিয়া দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দেন এবং
তাদের নেতাকর্মীদের সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত দেশে অচলাবস্থা নিশ্চিত করার
জন্য বিএনপি এবং জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দেন। তারই নির্দেশে
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, অ্যাডভোকেট খন্দকার
মাহাবুব হোসেন (বার কাউন্সিলের সভাপতি), শিমুল বিশ্বাস, এম কে আনোয়ার,
শওকত মাহমুদ (সাংবাদিক), শিরিন সুলতানা, শায়রুল কবির, দিদার, মারুফ কামাল
খান, সেলিমা রহমান, রিজভী আহমেদ, বরকত উল্লাহ ভুলু, আমান উল্লাহ আমান,
সরফুদ্দিন সফু, হাবিবুন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল, কাইয়ুম কমিশনার ও
লতিফ কমিশনারসহ অন্যরা প্রকাশ্যে বিভিন্নভাবে সহযোগী সংগঠন ও স্থানীয়
নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরিকল্পনা এবং এলাকা ভিত্তিক নাশকতা করার জন্য প্রত্যক্ষ
ও পরোক্ষভাবে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন। তাদের নির্দেশ ও পরিকল্পনায়
যাত্রাবাড়ী এলাকার স্থানীয় আরও ৫০ জন নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতনামারা নৈরাজ্য ও
ভীতি সৃষ্টি ও পুড়িয়ে মানুষ মারার জন্য গাড়িতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে
অগ্নিসংযোগ করে। আসামিরা সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কার্যক্ষমতা ব্যাহত
করা ও নাশকতামূলক কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য ষড়যন্ত্র ও প্রস্তুতি গ্রহণ করে
এবং নাশকতা সৃষ্টির জন্য চলন্ত গাড়ির সকল যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার
উদ্দেশ্যে এবং পুলিশের কার্যক্রমে বাধাদানসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পেনাল
কোডের ১৪৩/১২৬/৩০৭/৩৫৩/৪৩৫/৪২৭/১০৯/১১৪/৩৪ সহ বিস্ফোরক আইনের ৪/৫ ধারায়
অপরাধ করেছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আইনে হুকুমের আসামি বলে কিছু
নেই। খালেদার নাম এজাহারে থাকায় পুলিশ চাইলে তাকে যে কোন সময় গ্রেপ্তার
করতে পারবে। আর সরাসরি নাশকতাকারীদের কারও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে
যদি শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বা খালেদা জিয়ার নাম আসে তাহলে চার্জশিটে তার নাম
থাকতে পারে।
আন্দোলন চলবে, শোকগ্রস্ত খালেদার বিরুদ্ধে মামলা অমানবিক
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে জনগণের সম্মিলিত শক্তিতে অবরোধ-হরতাল অব্যাহতভাবে চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে বিএনপি। যাত্রাবাড়ীতে বাসে দুর্বৃত্তদের পেট্রলবোমায় অনেক মানুষ দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র নেতা ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং চক্রান্তমূলক মামলা দায়েরের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। গতকাল এক বিবৃতিতে দলের দপ্তরের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এ কথা জানান। সেই সঙ্গে বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমান জবরদখলকারী ভোটারবিহীন সরকার হিংস্র অমানবিকতার যে আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পুত্রশোকে কাতর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। কতখানি নিষ্ঠুর ও বিবেকশূন্য হলে একটি সরকার এ জঘন্য অপকর্মটি করতে পারে তা দুনিয়াতে মনে হয় নজিরবিহীন। এ ভোটারবিহীন সরকার মনুষ্যত্বের সকল বৈশিষ্ট্য জলাঞ্জলি দিয়েছে। তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকার ও তাদের আন্দোলনের ফসল ওয়ান ইলেভেন সরকারের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনে প্রায় সাড়ে ৭ বছর ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। ২০০৭ সালের মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকার খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের দিনই কোকোকে আটক করে। আটকের পর তার ওপর চালানো হয় অমানুষিক অত্যাচার। এ অত্যাচারেই গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হন কোকো। এরপর আওয়ামী মহাজোট সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করতে থাকে কোকোর বিরুদ্ধে। মায়ের কাছ থেকে সন্তান ও সন্তানের পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের ফলে অসুস্থতায় ভুগতে ভুগতে কোকো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। রিজভী বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারকে ধারাবাহিকভাবে ধ্বংস করার একটিমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্রকে উচ্ছেদ করে এক ব্যক্তির একক রাজত্ব চালিয়ে যাওয়ার পথে বাধা দূর করা। রিজভী আহমেদ বলেন, কোকোর মৃত্যুতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করতে আসাটাকে আমরা ইতিবাচক অর্থেই গ্রহণ করেছিলাম। রাজনীতির বাইরে সামাজিক দায়িত্ববোধের তাগিদেই প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে সমবেদনা জানাতে এসেছেন বলে ধরে নিয়েছিলাম। কিন্তু বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় এটা সুস্পষ্ট যে, কোকোর মৃত্যু সংবাদে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতি জানাতে আসাটা ছিল নিছকই ছলনা। একটি প্রহসনের মহড়ামাত্র। কোকোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর সমবেদনা জানানোটা যেন কুমিরের কান্না। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার রাজনৈতিক বিরোধীদের গভীর শোকের সময়ও তাদের বিরুদ্ধে নিজের অন্তরের বিদ্বেষ-বিষ দূরীভূত করতে পারেননি। খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করার নীলনকশা তারা অনেক দিন ধরেই এঁটে আসছে। তাকে দায়ী করে আটক করার জন্যই একের পর এক পেট্রলবোমা মেরে নাশকতার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, সরকারি এজেন্টরাই বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই নাশকতাগুলো করছে। সেই উদ্দেশ্যটা হচ্ছে গণবিরোধী ভোটারবিহীন সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভকে ভিন্ন দিকে ঘুুরিয়ে দেয়া। চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা। আর সেজন্যই খালেদা জিয়াসহ নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে নিজ বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, তাকে এবং তার ছেলেদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের, ছেলেদের মায়ের কাছ থেকে দূরে রাখতে বাধ্য করাসহ এমন কোন উৎপীড়নের পন্থা নেই যা এ অবৈধ সরকার অবলম্বন করেনি। কিন্তু তারপরেও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। এ অবৈধ অপশক্তির কোন অশুভ পরিকল্পনাই ফলপ্রসূ হবে না।
জনগণ এখন রাস্তায় নেমে এসেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে জনগণের সম্মিলিত শক্তিতে অবরোধ-হরতাল অব্যাহতভাবে চলতে থাকবে। রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ সকল নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় সরকারকে ভয়াবহ পরিণতির জন্য আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। তিনি যাত্রাবাড়ীতে দুস্কৃতকারীদের কর্তৃক পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। রিজভী আহমেদ যাত্রাবাড়ীতে পেট্রলবোমার আঘাতে দগ্ধ মানুষদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আন্দোলন চলবে, শোকগ্রস্ত খালেদার বিরুদ্ধে মামলা অমানবিক
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে জনগণের সম্মিলিত শক্তিতে অবরোধ-হরতাল অব্যাহতভাবে চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে বিএনপি। যাত্রাবাড়ীতে বাসে দুর্বৃত্তদের পেট্রলবোমায় অনেক মানুষ দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র নেতা ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং চক্রান্তমূলক মামলা দায়েরের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। গতকাল এক বিবৃতিতে দলের দপ্তরের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এ কথা জানান। সেই সঙ্গে বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমান জবরদখলকারী ভোটারবিহীন সরকার হিংস্র অমানবিকতার যে আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পুত্রশোকে কাতর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। কতখানি নিষ্ঠুর ও বিবেকশূন্য হলে একটি সরকার এ জঘন্য অপকর্মটি করতে পারে তা দুনিয়াতে মনে হয় নজিরবিহীন। এ ভোটারবিহীন সরকার মনুষ্যত্বের সকল বৈশিষ্ট্য জলাঞ্জলি দিয়েছে। তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকার ও তাদের আন্দোলনের ফসল ওয়ান ইলেভেন সরকারের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনে প্রায় সাড়ে ৭ বছর ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। ২০০৭ সালের মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকার খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের দিনই কোকোকে আটক করে। আটকের পর তার ওপর চালানো হয় অমানুষিক অত্যাচার। এ অত্যাচারেই গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হন কোকো। এরপর আওয়ামী মহাজোট সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করতে থাকে কোকোর বিরুদ্ধে। মায়ের কাছ থেকে সন্তান ও সন্তানের পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের ফলে অসুস্থতায় ভুগতে ভুগতে কোকো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। রিজভী বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারকে ধারাবাহিকভাবে ধ্বংস করার একটিমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্রকে উচ্ছেদ করে এক ব্যক্তির একক রাজত্ব চালিয়ে যাওয়ার পথে বাধা দূর করা। রিজভী আহমেদ বলেন, কোকোর মৃত্যুতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করতে আসাটাকে আমরা ইতিবাচক অর্থেই গ্রহণ করেছিলাম। রাজনীতির বাইরে সামাজিক দায়িত্ববোধের তাগিদেই প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে সমবেদনা জানাতে এসেছেন বলে ধরে নিয়েছিলাম। কিন্তু বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় এটা সুস্পষ্ট যে, কোকোর মৃত্যু সংবাদে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতি জানাতে আসাটা ছিল নিছকই ছলনা। একটি প্রহসনের মহড়ামাত্র। কোকোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর সমবেদনা জানানোটা যেন কুমিরের কান্না। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার রাজনৈতিক বিরোধীদের গভীর শোকের সময়ও তাদের বিরুদ্ধে নিজের অন্তরের বিদ্বেষ-বিষ দূরীভূত করতে পারেননি। খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করার নীলনকশা তারা অনেক দিন ধরেই এঁটে আসছে। তাকে দায়ী করে আটক করার জন্যই একের পর এক পেট্রলবোমা মেরে নাশকতার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, সরকারি এজেন্টরাই বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই নাশকতাগুলো করছে। সেই উদ্দেশ্যটা হচ্ছে গণবিরোধী ভোটারবিহীন সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভকে ভিন্ন দিকে ঘুুরিয়ে দেয়া। চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা। আর সেজন্যই খালেদা জিয়াসহ নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে নিজ বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, তাকে এবং তার ছেলেদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের, ছেলেদের মায়ের কাছ থেকে দূরে রাখতে বাধ্য করাসহ এমন কোন উৎপীড়নের পন্থা নেই যা এ অবৈধ সরকার অবলম্বন করেনি। কিন্তু তারপরেও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। এ অবৈধ অপশক্তির কোন অশুভ পরিকল্পনাই ফলপ্রসূ হবে না।
জনগণ এখন রাস্তায় নেমে এসেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে জনগণের সম্মিলিত শক্তিতে অবরোধ-হরতাল অব্যাহতভাবে চলতে থাকবে। রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ সকল নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় সরকারকে ভয়াবহ পরিণতির জন্য আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। তিনি যাত্রাবাড়ীতে দুস্কৃতকারীদের কর্তৃক পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। রিজভী আহমেদ যাত্রাবাড়ীতে পেট্রলবোমার আঘাতে দগ্ধ মানুষদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
No comments