সরকার দেশকে বন্দিশালায় পরিণত করেছে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর
চন্দ্র রায়কে গ্রেফতারের ঘটনা অবৈধ সরকারের প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ উল্লেখ
করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, সব দেখে মনে হয়, ওই সন্ত্রাসী দুঃশাসনের প্রধান মুখপাত্র হচ্ছেন
স্বয়ং বর্তমান অবৈধ সরকারের প্রধান। তার কাছে অহম ও ক্ষমতালিপ্সা
বাংলাদেশের চেয়েও প্রিয়। একদলীয় অপশাসনের শৃংখলে গোটা দেশকেই বন্দিশালায়
পরিণত করা হয়েছে। সরকারকে হুশিয়ার করে তিনি বলেন, মিছিলে মিছিলে সংগ্রামী
জনগণ এখন শৃংখল ভেঙে এই অবৈধ ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতাবিলাসের যবনিকাপাত ঘটাতে
ধেয়ে আসছে। গয়েশ্বরের গ্রেফতারের প্রতিবাদে শুক্রবার দলের যুগ্ম-মহাসচিব
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খালেদা
জিয়া বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার শেষ মরণকামড় দেয়ার জন্য বিএনপির
নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে। কারণ ক্ষমতা জবরদখলকারী
এ অবৈধ সরকার কোনোভাবেই জনগণকে কাছে টানতে না পেরে বীভৎস প্রতিহিংসায় মেতে
উঠেছে। সেই প্রতিহিংসার সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ ঘটল গয়েশ্বরকে গ্রেফতারের মধ্য
দিয়ে।
তিনি বলেন, আদালতে আমার হাজিরাকে কেন্দ্র করে ২৪ ডিসেম্বর বকশীবাজার এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সশস্ত্র পাণ্ডারা যেভাবে পৈশাচিক হামলা চালিয়েছে, তাতে মনে হয় এই অবৈধ সরকার এক বর্বর হিংসাযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। এ যুদ্ধে তারা মূলত জনগণকেই প্রতিপক্ষ বানিয়েছে।
তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে, জাতীয় সংসদ দখল করে ও জনগণের নাগরিক স্বাধীনতাকে হরণ করে মনে করেছিল চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতার রাজদণ্ড ধরে রাখবে। আর এজন্য তারা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নিজেদের অঙ্গ সংগঠনগুলোকে দুর্বৃত্ত বাহিনীতে পরিণত করেছে। তাদের সর্বনাশা আশকারা দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলকে দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু তারা বাংলাদেশের জনগণকে স্বস্তি ও নিরাপত্তা দিতে পারে না। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এখন ভয়াবহ সংকটের মুখে। সাজানো প্রশাসন ও দুষ্কৃতকারী যুবলীগ-ছাত্রলীগের পাণ্ডাদের দিয়েই এ ভোটারবিহীন সরকার গুম, অপহরণ, গুপ্তহত্যার পথ ধরে জনগণের প্রতিবাদী স্বরকে থামাতে অপচেষ্টা করা, বিরুদ্ধ মত পেশের কোনো জায়গা না রাখা এবং রাজনৈতিক বন্দিদের ওপর অত্যাচার ও জুলুম অব্যাহত রেখেছে। আর এভাবে নিজেদের মসনদ গায়ের জোরে ধরে রাখতে তারা মূলত দেশের জনগণকেই পরাধীন করে রেখেছে।
গ্রেফতারের উদ্দেশে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলের বাসায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশিকে এ অবৈধ সরকারের দুর্বৃত্তায়িত চরিত্রেরই পুনরাবৃত্তি বলে উল্লেখ করেন তিনি। বকশীবাজারের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না করে আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি নেতা হাবিব-উন নবী খান, আজিজুল বারী হেলাসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও গয়েশ্বরের মুক্তি দাবি করেন বিএনপি প্রধান।
তিনি বলেন, আদালতে আমার হাজিরাকে কেন্দ্র করে ২৪ ডিসেম্বর বকশীবাজার এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সশস্ত্র পাণ্ডারা যেভাবে পৈশাচিক হামলা চালিয়েছে, তাতে মনে হয় এই অবৈধ সরকার এক বর্বর হিংসাযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। এ যুদ্ধে তারা মূলত জনগণকেই প্রতিপক্ষ বানিয়েছে।
তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে, জাতীয় সংসদ দখল করে ও জনগণের নাগরিক স্বাধীনতাকে হরণ করে মনে করেছিল চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতার রাজদণ্ড ধরে রাখবে। আর এজন্য তারা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নিজেদের অঙ্গ সংগঠনগুলোকে দুর্বৃত্ত বাহিনীতে পরিণত করেছে। তাদের সর্বনাশা আশকারা দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলকে দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু তারা বাংলাদেশের জনগণকে স্বস্তি ও নিরাপত্তা দিতে পারে না। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এখন ভয়াবহ সংকটের মুখে। সাজানো প্রশাসন ও দুষ্কৃতকারী যুবলীগ-ছাত্রলীগের পাণ্ডাদের দিয়েই এ ভোটারবিহীন সরকার গুম, অপহরণ, গুপ্তহত্যার পথ ধরে জনগণের প্রতিবাদী স্বরকে থামাতে অপচেষ্টা করা, বিরুদ্ধ মত পেশের কোনো জায়গা না রাখা এবং রাজনৈতিক বন্দিদের ওপর অত্যাচার ও জুলুম অব্যাহত রেখেছে। আর এভাবে নিজেদের মসনদ গায়ের জোরে ধরে রাখতে তারা মূলত দেশের জনগণকেই পরাধীন করে রেখেছে।
গ্রেফতারের উদ্দেশে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলের বাসায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশিকে এ অবৈধ সরকারের দুর্বৃত্তায়িত চরিত্রেরই পুনরাবৃত্তি বলে উল্লেখ করেন তিনি। বকশীবাজারের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না করে আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি নেতা হাবিব-উন নবী খান, আজিজুল বারী হেলাসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও গয়েশ্বরের মুক্তি দাবি করেন বিএনপি প্রধান।
No comments